আরব আফ্রিকা এত উষ্ণ এবং শুষ্ক হওয়ার পরও মানুষের রং কেন ভিন্ন?
আপনি হয়ত খেয়াল করেছেন আরব আফ্রিকায় এত উষ্ণতা, মরুভূমি, শুষ্কতা হওয়ার পরও আরব তথা মধ্যপ্রাচ্যের মানুষ গুলো ফর্সা। আবার একই পরিমান গরম পরিবেশ থাকার পরও আফ্রিকার মানুষ গুলো কালো। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন আসতে পারে আরব আফ্রিকা এত উষ্ণ এবং শুষ্ক হওয়ার পরও মানুষের রং কেন ভিন্ন?
চলুন এবারের পর্বে তবে দেখে নেওয়া যাক এর মূল কারন,
মানুষের ত্বকের রঙ নির্ধারণ করে তার পূর্বপুরুষরা যে অঞ্চলে বাস করতেন। নিরক্ষীয় অঞ্চলের মানুষের ত্বক বেশি কালো কারণ তাদের ত্বকে বেশি মেলানিন থাকে, যা সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে রক্ষা করে। আরব আফ্রিকার কিছু অঞ্চল নিরক্ষীয় অঞ্চল থেকে দূরে অবস্থিত, তাই সেখানকার মানুষের ত্বক কম কালো। এছাড়া, আরব আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের ত্বকের রঙ ভিন্ন হতে পারে কারণ তাদের পূর্বপুরুষরা বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এসেছেন।
উদাহরণস্বরূপ, সুদানের মানুষের ত্বক সাধারণত কালো হয়, কারণ তারা নিরক্ষীয় অঞ্চলের কাছে বাস করেন। মিশরের মানুষের ত্বক সাধারণত হালকা বাদামী হয়, কারণ তারা নিরক্ষীয় অঞ্চল থেকে দূরে বাস করেন। আরব উপদ্বীপের মানুষের ত্বক সাধারণত ফর্সা হয়, কারণ তারা আরব আফ্রিকার অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় আরও শুষ্ক অঞ্চলে বাস করেন।
মানুষের ত্বকের রঙের বৈচিত্র্যের কারণগুলি হল:
- জলবায়ু: আরব আফ্রিকা একটি বিস্তৃত অঞ্চল, যার জলবায়ু খুবই পরিবর্তনশীল। কিছু অঞ্চল খুব উষ্ণ এবং শুষ্ক, অন্যদিকে কিছু অঞ্চল খুব উষ্ণ এবং আর্দ্র। উষ্ণ এবং শুষ্ক জলবায়ুতে বসবাসকারী মানুষের ত্বক সাধারণত কালো হয়, কারণ কালো ত্বক সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করে। উষ্ণ এবং আর্দ্র জলবায়ুতে বসবাসকারী মানুষের ত্বক সাধারণত ফর্সা হয়, কারণ ফর্সা ত্বক সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে কম রক্ষা করে।
- ইতিহাস: আরব আফ্রিকা একটি সমৃদ্ধ ইতিহাসের অঞ্চল। এই অঞ্চলে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুষ বসবাস করেছে। এই জাতিগোষ্ঠীগুলির মধ্যে বিভিন্ন ত্বকের রঙ ছিল। এই কারণেই আরব আফ্রিকার মানুষের ত্বকের রঙের বৈচিত্র্য রয়েছে।
- সাংস্কৃতিক প্রভাব: আরব আফ্রিকা একটি বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক অঞ্চল। এই অঞ্চলে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুষ বসবাস করে। এই জাতিগোষ্ঠীগুলির মধ্যে বিভিন্ন ত্বকের রঙের মানুষ রয়েছে। এই কারণেই আরব আফ্রিকার মানুষের ত্বকের রঙের বৈচিত্র্য রয়েছে।
আরব আফ্রিকার মানুষের ত্বকের রঙের বৈচিত্র্য একটি প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য। এটি কোনও জাতিগত বা বর্ণগত বৈষম্য নয়। এটি আমাদেরকে মনে করিয়ে দেয় যে আমরা সকলেই একই মানব জাতির অন্তর্ভুক্ত।