বিজ্ঞান জিজ্ঞাসা

বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে জ্বিনের অস্তিত্বের প্রমাণ

বল, ‘আমার প্রতি ওহী করা হয়েছে যে, নিশ্চয় জিনদের একটি দল মনোযোগ সহকারে শুনেছে। অতঃপর বলেছে, ‘আমরা তো এক বিস্ময়কর কুরআন শুনেছি, আল-বায়ান

বল, ‘‘আমার কাছে ওয়াহী করা হয়েছে যে, জিন্নদের একটি দল মনোযোগ দিয়ে (কুরআন) শুনেছে অতঃপর তারা বলেছে ‘আমরা এক অতি আশ্চর্যজনক কুরআন শুনেছি 

বলঃ আমার প্রতি অহী প্রেরিত হয়েছে যে, জিনদের একটি দল মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করেছে এবং বলেছে, আমরাতো এক বিস্ময়কর কুরআন শ্রবণ করেছি। 

জ্বিন বা জিনি পরকালে পৌরাণিক কাহিনীগুলির একটি মৌলিক অংশ। এগুলি আধুনিক সাহিত্যে, বিশেষভাবে আরব ও ইসলামী সাহিত্যে, অসংখ্য কাহিনী এবং গল্পে প্রকাশ পেয়েছে। জ্বিন বা জিন বিশেষভাবে দরিদ্র এবং শক্তিশালী হওয়ার সাথে জড়িত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে গিয়ে জ্বিন বা জিন নিয়ে গবেষণা এবং অনুসন্ধান অভিযান অনেকে করে আসছে। এছাড়া, জ্বিন বা জিন সংক্রান্ত কাহিনীগুলি প্রতিষ্ঠিত সাহিত্যিক ও গল্পকাররা অসংখ্য সাহিত্যিক উৎস হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন।

জ্বিন বা জিন নিয়ে গল্প লেখা একটি মজাদার উপায় হতে পারে, যেখানে দরিদ্রতা, শক্তি, মহান কার্যকলাপ ইত্যাদি বিষয়গুলি উপস্থাপন করা হয়।

 

বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে ব্যাখাঃ আধুনিক পদার্থ বিজ্ঞান জ্বিন জাতির অস্তিত্ব অস্বিকার করে না। অস্বিকার করার মত কোন যুক্তি বা মতবাদও আজ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠিত হয়নি। বরং এ্যন্টি ম্যাটার সম্পর্কে মানুষের জ্ঞান যত বৃদ্ধি পাচ্ছে জ্বিনের অস্তিত্বের পক্ষে যুক্তি ততই প্রগাড় হচ্ছে।

 

আসুন জানি এ্যন্টি ম্যাটার কিঃ

 

পৃথিবীতে যেমন বস্তু রয়েছে। তেমনভাবে অবস্তুও থাকতে পারে। আসুন দেখি এন্টিম্যাটার সম্পর্কে উইকিতে কি বলা হয়েছেঃ

 

পার্টিক্যাল ফিজিক্সে এ্যন্টি ম্যাটারেরর ধারণা প্রতিপদার্থের ধারণা রুপ নিয়েছে। ধারণা করা হয়েছে যেভাবে কণা দ্বারা পদার্থ গঠিত হয় ঠিক তেমনিভাবে প্রতিকণা দ্বারা প্রতিপদার্থ গঠিত হয়। উদাহরণস্বরুপ, একটি প্রতিইলেকট্রন (পজিট্রন) এবং একটি প্রতিপ্রোটন মিলিত হয়ে গঠন করে একটি প্রতিহাইড্রোজেন পরমাণু, যেমন করে একটি ইলকট্রন ও প্রোটন মিলে তৈরি করে একটি হাইড্রোজেন পরমাণু। উপরন্তু কণা এবং প্রতিকণা মিলিত হলে যেভাবে পূর্ণবিলয়ের মাধ্যমে সকল শক্তি বিমুক্ত হয়, তেমনি পদার্থ এবং প্রতিপদার্থের মিলনে পূর্ণবিলয়ের সৃষ্টি হয় বলে ধারণা করা হয়েছে। এ ধরণের পূর্ণবিলয়ের ফলে প্রকৃতপক্ষে উচ্চ শক্তির ফোটন (গামা রশ্মি) এবং বহু কণা-প্রতিকণা জোড়ার সৃষ্টি হয়। এই পূর্ণবিলয়ে বিমুক্ত কণাগুলোর মধ্যে বিপুল পরিমাণ শক্তি থাকে। এই শক্তির মান পূর্ণবিলয়ের ফলে সৃষ্ট বস্তুসমূহের নিশ্চল ভর এবং মূল পদার্থ-প্রতিপদার্থ জোড়ার অন্তর্ভুক্ত বস্তুসমূহের নিশ্চল ভরের পার্থক্যের সমান।

 

অর্থাৎ আমাদের মহাবিশ্বে যত পার্টিক্যাল আছে ঠিক তত পরিমান এ্যন্টি পার্টিক্যাল আছে। শক্তির নিত্যতা সূত্রানুযায়ী।

 

এ্যান্টিপার্টিকেল অদৃশ্য। এগুলোর মুভমেন্ট কোন যন্ত্র দ্বারা পর্যবেক্ষন করা যায় না। কিন্তু বিজ্ঞান এগুলোর অস্তিত্বকে অস্বিকার করতে পারছে না।

 

পৃথিবীতে ৬৫০ কোটি মানুষ আছে। এ্যান্টি পার্টিকেল থিওরি অনুযায়ী প্রতিটি মানুষের জন্যে একটি করে প্রতিমানুষ থাকলে সেগুলোর সংখ্যা হবে ৬৫০ কোটি। এগুলো মানুষের মতই কিন্তু অদৃশ্য।

 

এগুলোকেই জ্বিন বলা হয় যা বিজ্ঞান সম্মত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link