কেনও জাপানি নারীরা বেশি ধর্ষণের শিকার হোন?

জাপানীদের আমরা ভদ্র জাতি হিসেবেই জানি। কিন্তু জেনে অবাক হবেন, জাপানী নারীরা ধর্ষণের শিকার অনেক বেশি হোন। জাপানে ধর্ষণ বেশি হওয়ার জন্য দায়ী এর অদ্ভুত রকমের আইন। যে আইনের কারণে ধর্ষক ছাড় পেয়ে যায় এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ধর্ষণ হিসেবে ঘটনাকে বিবেচনা করা হয় না। সেদেশের বিচারক এবং বিচার ব্যবস্থা ধর্ষণের খুবই সংকীর্ণ একটি সংগা দিয়েছে।

 

উদাহরণ স্বরুপ এই ঘটনাটি জানাই যথেষ্ট হবে। টোকিওতে ২০১৪ সালের একটা ঘটনার কথা উল্লেখ করা যেতে পারে: এক ব্যক্তি ১৫ বছর বয়সী একটি মেয়েকে দেয়ালের সঙ্গে চেপে ধরে তার সঙ্গে যৌন মিলন করে। এসময় মেয়েটি তাকে বাধাও দিয়েছিল। কিন্তু পরে তাকে ধর্ষণের অভিযোগ থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

 

আদালতের আদেশে বলা হয়েছে ওই লোকটি যা করেছে সেটা ঠেকানো ওই মেয়েটির জন্য “খুব বেশি কঠিন ছিল না”। বিচারের সময় ওই মেয়েটিকে একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারী হিসেবে দেখা হয়, কারণ জাপানে জাপানে কারো ১৩ বছর হলেই তিনি সম্মতি কিম্বা অসম্মতি জানাতে পারেন। বিশ্বের ধনী গণতান্ত্রিক দেশগুলোর মধ্যে এই বয়স-সীমা সবচেয়ে কম। 

জাপানের বর্তমান আইনে যে যৌন মিলন “জোরপূর্বক” এবং “আক্রমণ অথবা ভয়-ভীতি প্রদর্শন” অথবা একজন ব্যক্তির “অচেতন অবস্থা অথবা প্রতিরোধের অক্ষমতার” সুযোগ নিয়ে করা হয় তাকে ধর্ষণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

 

অন্যান্য অনেক দেশের আইনের সঙ্গে এখানেই জাপানি আইনের তফাৎ। অনেক দেশের আইনে সম্মতি ছাড়া যৌন মিলন অথবা যৌন সম্পর্ককে আরো বিস্তৃতভাবে ধর্ষণ হিসেবে ধরা হয়- যেখানে না মানে না।

 

তাহলে এমন অদ্ভুত রকম ব্যাখ্যা যে দেশে দেয়া হয়, সে দেশে তো ধর্ষণের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবেই। কারণ ধর্ষক সহজেই আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে বের হয়ে যায়। এ কারণে জাপানি নারীরা ধর্ষিত হওয়ার পর পুলিশের কাছে অভিযোগ দিতেও এখন আগ্রহী নয়। 

READ MORE:  বজ্রপাতের সময় ঘরের বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির সংযোগ বন্ধ করা কি যুক্তিসঙ্গত?