রোজার নিয়ত আরবি এবং বাংলা অর্থসহ
সেহরি এবং ইফতারে রয়েছে নিয়ত। রোজার নিয়তও গুরুত্বপূর্ণ। তবে এ ক্ষেত্রে রোজা রাখার উদ্দেশ্যে ঘুম থেকে ওঠা এবং সেহরি খাওয়াও রোজার নিয়তের অন্তর্ভুক্ত। মূলত মনের ইচ্ছাই হলো- নিয়ত। এটি মুখে উচ্চারণ করা জরুরি নয়। তাই কেউ মুখে নিয়ত না করলেও তার রোজা আদায় হয়ে যাবে। (সূত্র : আল-বাহরুর রায়েক : ২/৪৫২; আল-জাওহারুতুন নাইয়্যিরাহ : ১/১৭৬; রাদ্দুল মুহতার : ৩/৩৩৯, ৩৪১; ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ১/১৯৫)
রোজার নিয়ত
নিয়ত আরবি শব্দ। এর শাব্দিক অর্থ হলো মনে মনে ইচ্ছা করা। অতএব কেউ যদি সূর্যাস্তের পরবর্তী কোনো একসময়ে মনে মনে এই ইচ্ছা করে যে, আমি আগামীকাল রমজানের রোজা রাখব, তা হলে তার নিয়ত পূরণ হয়ে যাবে। নিয়ত সহিহ হওয়ার জন্য মুখে উচ্চারণ করা শর্ত নয়। তবে মুখে উচ্চারণ করা উত্তম। (ফাতাওয়া আলমগিরি-১/১৯৫)
রোজার নিয়ত যেভাবে
সূর্যাস্তের পর থেকে পূর্ব অর্থাৎ সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্তের মধ্যবর্তী সময়ের আগ পর্যন্ত রমজানের রোজার নিয়ত করার সুযোগ আছে। তবে সুবহে সাদিকের আগেই নিয়ত করে নেওয়া উত্তম। (বাদায়েউস সানায়ে- ২/২২৯; আল বাহরুর রায়েক-২/২৫৯)
তবে রোজার জন্য সাহরি খেলেও রোজার নিয়ত হয়ে যায়। আল বাহরুর রায়েক-২/২৫৯; ফাতাওয়া হিন্দিয়া- ১/১৯৫
আরবি নিয়ত :
نَوَيْتُ اَنْ اُصُوْمَ غَدًا مِّنْ شَهْرِ رَمْضَانَ الْمُبَارَكِ فَرْضَا لَكَ يَا اللهُ فَتَقَبَّل مِنِّى اِنَّكَ اَنْتَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْم
বাংলা উচ্চারণ : নাওয়াইতু আন আছুমা গাদাম, মিন শাহরি রমাদানাল মুবারাক; ফারদাল্লাকা ইয়া আল্লাহু, ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নিকা আনতাস সামিউল আলিম।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আগামীকাল পবিত্র রমজানের তোমার পক্ষ থেকে নির্ধারিত ফরজ রোজা রাখার ইচ্ছা পোষণ (নিয়্যত) করলাম। অতএব তুমি আমার পক্ষ থেকে (আমার রোযা তথা পানাহার থেকে বিরত থাকাকে) কবুল কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী।
রোজা সহিহ হওয়ার শর্ত
রোজা সহিহ হওয়ার শর্ত দুটি।
১. রোজার নিয়ত করা। সুতরাং কেউ নিয়ত না করে সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার এবং স্ত্রী মিলন থেকে বিরত থাকলেও শরীয়তের দৃষ্টিতে তা রোজা হিসেবে গণ্য হবে না।
২. নারী হায়েজ ও নেফাস থেকে পবিত্র হওয়া। অতএব মাসিক পিরিয়ড বা নেফাস চলাকালীন কোনো মহিলা রোজা রাখলে তার রোজা শুদ্ধ হবে না। (ফাতাওয়া আলমগিরি-১/১৯৫)