কোন ডিমে পুষ্টি বেশি ? হাঁসের নাকি মুরগীর?
ডিম খেতে সকলেই ভালোবাসে। সবার কাছে মুরগির ডিমই বেশি পছন্দের। অনেকেই হাঁসের ডিমও পছন্দ করেন৷ কিন্তু প্রশ্ন হলো কোন ডিম বেশি পুষ্টিকর? কোন ডিমটি বেশি ভালো? হাঁস নাকি মুরগির?
প্রথমেই বলে নিই, আমাদের সমাজে প্রচলিত কিছু ধারণা সম্পর্কে। প্রচলিত ধারণা হচ্ছে মুরগির ডিমে বেশি পুষ্টি থাকে।
এ ছাড়া হাঁসের ডিমের রয়েছে নানা বদনাম। যেমন অনেকেই মনে করেন, হাঁসের ডিমে হাঁপানী হয় কিংবা হাঁপানি বাড়ে।
আবার অনেকের ধারণা হাঁসের ডিম অ্যালার্জির উদ্রেক করে। কাজেই ডিম যদি খেতেই হয় তো মুরগির ডিমই খাওয়া ভালো- এমন ধারণায় আমরা অনেকেই বন্দি।
কিন্তু আসলেই কি তাই? উত্তরটি হলো, স্বাদ, পছন্দ কিংবা দামের বিবেচনায় হাঁস এবং মুরগির ডিমকে পার্থক্য করা গেলেও পুষ্টিমানের বিবেচনায় ঊভয় ডিমের মূল্যই সমান বলা যায়।
খাদ্যবিজ্ঞানীদের মতে, হাঁস এবং মুরগি উভয় ডিমেরই পুষ্টিমূল্য সমান। একই ওজনের একটি হাঁসের ডিম ও একটি মুরগির ডিমের পুষ্টিমান প্রায় একই রকম হবে। তাই আপনি আপনার পছন্দ মতো যেকোনো টি খেতে পারেন।
তবে স্বাদ পছন্দের কথা আলাদা, কেউ যদি মুরগির ডিম খেতে পছন্দ করেন এবং সে কারণেই বেশি দাম দিয়ে মুরগীর ডিম কিনে নেন তাহলে কোন কথা নেই।
কিন্তু মুরগির ডিমে পুষ্টি বেশি মনে করে থাকলে একটি কথা আছে। আর তা হলো, আপনি ভুল করছেন।
পুষ্টিমানের বিবেচনায় মুরগির ডিম ও হাঁসের ডিমের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই বললেই চলে।
আর হাঁসের ডিমের সঙ্গে হাঁপানির কোন সম্পর্ক নেই। আর এলার্জি এর সাথে কোনো ডিমেরই কোনো সম্পর্ক নেই। যেকোনো খাবার খেলেই এলার্জি হতে পারে। তাই আজ থেকে বাচ বিচার করা বাদ দিয়ে আপনার পছন্দ মতো হাঁস মুরগী যেকোনো ডিমই খেতে পারেন।