কে এই সালাউদ্দিন সুমন?

সালাউদ্দিন সুমন। নামটি বর্তমানে সবার কাছেই বেশ পরিচিত। তিনি বাংলাদেশের এমন একজন ব্যক্তি, যিনি তার ফেসবুক পেজের মাধ্যমে আমাদের নিয়ে গেছেন হাজার বছর পুরনো বাংলার ইতিহাসের ছায়াতলে। তার অসাধারণ বর্ণনা এবং নাম না জানা ইতিহাসের জায়গায় ভ্রমণ সবকিছু মিলিয়ে আপনি চলে যাবেন অন্য এক মনোমুগ্ধকর জগতে। 

 

বর্তমানে সুমন বিবিসি বাংলার ফ্রিল্যান্সার সাংবাদিক হিসাবে কাজ করছেন। সাথে অনুসন্ধানী চোখ নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন দেশ-বিদেশের নানা প্রান্তে। খুঁজে বেড়াচ্ছেন ইতিহাসের কথা। ইতিহাসের এসব আবেদন, নিবেদন তুলে ধরছেন হাজারো দর্শকের কাছে। এত ব্যস্ততার মাঝেও সুমন তার ছোটবেলার শখ লেখালেখিকে ভুলে থাকেননি। ইতোমধ্যেই প্রকাশ করেছেন তিনটি গ্রন্থ। তার প্রথম উপন্যাস প্রকাশিত হয় ২০০০ সালে। নাম ছিল ‘অনুভবে তুমি’। ভবিষ্যতে তিনি ভিডিও কন্টেন্ট তৈরির পাশাপাশি লেখালেখিকেও চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা রাখেন। তিনি সুযোগ পেলেই হাজির হোন অনুসন্ধানী চোখ নিয়ে  মুঘল সম্রাজ্যের প্রাণকেন্দ্র মুর্শিদাবাদের অলি-গলিতে, কখনো বাংলার শেষ স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত যাওয়ার নাটক যুদ্ধের মাঠ পলাশীর প্রান্তরে, আবার কখনোবা তার দেখা মেলে ২০০ বছরের ঐতিহ্যের সাক্ষী টাঙ্গাইলের বিখ্যাত তাঁতের শাড়ির হাটে।

 

সুমনের জন্ম বগুড়ার আদমদীঘিতে। ১৯৮০ সালের ১লা জানুয়ারি তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ছোট বেলায় ইচ্ছা জাগে লেখক হবার। সেই সুবাদে ছাপা পত্রিকার প্রতি একটা আগ্রহ তৈরি হয়। এই আগ্রহ থেকেই সাংবাদিকতায় পদার্পণ। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগ থেকে স্নাতক পাশের পর চাকরি পান একটি বেসরকারি টেলিভিশনের বুরো প্রধান হিসাবে। চাকরি করেন দীর্ঘদিন। একটা পর্যায়ে এসে সুমন অনুধাবন করেন তার আগ্রহ ভিন্ন একটা জায়গায়। ইতিহাস, ঐতিহ্য বিশেষ মুঘলদের রাজধানী মুর্শিদাবাদের ইতিহাস যেন তাকে খুব করে টানছে। 

 

একদিন সুযোগ পেতেই চেপে বসলেন ঢাকা থেকে কলকাতাগামী একটি ট্রেনে। সাথে ছিল ছোট একটি মোবাইল ফোন। সেই মোবাইল দিয়েই ভিডিও করেন ঢাকা-কলকাতা যাত্রা এবং কলকাতা শহরের কিছু অংশ। ফিরে এসে ভিডিওটি ইউটিউব ও ফেসবুকে প্রকাশ করলে দারুণ সাড়া মেলে। সেই থেকে শুরু হয় সুমনের নতুন পথযাত্রা। এরপর থেকে শুরু করেন ভিডিও কন্টেন্ট তৈরির কাজ। আর এরপর থেকে তিনি একের পর এক জায়গা ভ্রমণ করে যাচ্ছেন এবং আমাদের নিয়ে যাচ্ছেন ইতিহাসের অতল গহ্বরে বাংলার সমৃদ্ধশীল অধ্যায়ে। 

READ MORE:  ভালো থাকা