৬ টি সেরা হাসির গল্প – ছোট গল্প
হাসির গল্প (Hasir Golpo) বলতে মজার গল্প বা ফানি গল্পকে বোঝানো হয়। হাসির গল্প হলো এক ধরনের বিনোদনমূলক গল্প। মজার গল্পের মতোই হাসির গল্পের মূল বিষয়বস্তু হলো হাসি, তামাশা, ঠাট্টা, বিদ্রূপ, ব্যাঙ্গ, রসিকতা ইত্যাদি।
Hasir Golpo refers to funny stories or funny stories. Laughter is a kind of entertaining story. Just like a funny story, the main content of a funny story is laughter, jokes, jokes, mockery, banter, jokes, etc.
বাংলা ছোট হাসির গল্প। সেরা হাসির ছোট গল্প।
বাংলা ছোট হাসির গল্প 1:-
আমাদের পাড়ার রোহিত ভাই অত্যন্ত ব্যস্ত মানুষ। ব্যবসা-বানিজ্য তার পেশা। আর এর জন্য তাকে ঘুরতে হয় দেশ বিদেশে। গেল বছর তার ব্যবসা একটি থেকে বেড়ে দুটি হয়েছে। কারণ সে যাকে বিবাহ করেছে সেই মেয়েটিও একজন ব্যবসায়ী। সেবার রোহিত ভাই ব্যবসার কাজে ইজিপ্ট গিয়েছিলেন। কিন্তু তার বউ কে সঙ্গে নিয়ে যান নি। তার বউ দেশের মাটিতেই তার ব্যবসা দেখছিল।
রাতে রোহিত তার স্ত্রী কে ফোন করে এবং ইজিপ্টের কোথায় সে আছে সেই ঠিকানা দিয়ে দেয়। এবং তাকে সেখানে যেতে বলে। রোহিত তার কাজ সেরেই তার স্ত্রী কে একটি ম্যাসেজ করে দেয়, যাতে তার বউ চিন্তিত না হয়, কোথায় আসবে কিভাবে আসবে সব বলে ফেলে। কিন্তু এখানেই হয়ে গেল বিপত্তি।
রোহিত কারও নাম্বার মোবাইলে সেভ করে রাখে না। এমনকি নিজের বউ এর নাম্বারও নয়। তার নাকি এমনিতেই মনে থাকে। কিন্তু সেদিন তার স্ত্রীর নাম্বার সে ভুল টাইপ করে এবং তার স্ত্রীকে পাঠানো ম্যাসেজ চলে যায় একজন সদ্য বিধবার কাছে। মাত্র কয়েকদিন আগেই এই মহিলার স্বামী মারা গিয়েছিলেন। বিধবা মহিলাটি সেই ম্যাসেজটি দেখেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়।
এরপর বাড়ির লোকেরা ছুটে আসে, তারা সবাই অবাক হয়ে যায়। কারণ ম্যাসেজে লেখা ছিল-
“হাই, ডার্লিং আমি এখানে সকালে ঠিক মতই পৌঁছে গেছি। এখানে তোমার আসার সব প্রস্তুতি আমি করে রেখেছি। আমি তোমার প্রিয় ফুল রজনীগন্ধা নিয়ে আছি। তুমি তাড়াতাড়ি চলে এসো। আশা করছি, অতি শীঘ্রই আমাদের দেখা হবে।“
বাংলা ছোট হাসির গল্প 2 :-
আমার বন্ধু গুড্ডু। সে অনেক চালাক। তাকে যে প্রশ্নই করা হোক না কেন, সে এমনভাবে তার উত্তর দিয়ে দিবে যে, প্রশ্নকর্তা নিজেই থ বনে যাবে। এই তো সেদিন এক বয়স্ক ব্যক্তি তার জীবন বৃত্তান্ত শোনাচ্ছিলেন। পাড়ার মোড়ে। শ্রোতা সবাই যুবক। সে তার ছেলেবেলায় কি করেছিল, তার স্বপ্ন কি ছিল। কিভাবে তার স্বপ্ন পূর্ণ হতে হতে ব্যর্থ হয়ে যায়, সব শোনাচ্ছিলেন।
সবাই চুপচাপ তার কথা শুনেই যাচ্ছিল। সবার নীরবতা কাটিয়ে আমাদের গুড্ডু বলে উঠল- আপনার অর্ধেক স্বপ্ন কিভাবে পূর্ণ হবে, সেটা আমি জানি। আপনি যদি অনুমতি দেন তাহলে কি আমি আমার মতামত পেশ করতে পাড়ি?
সেই বয়স্ক লোকটি মৃদু হেঁসে বলল- তাই, বল এখনই বল।
গুড্ডু- একদম সাধারণ ব্যাপার, আপনি বাড়ি গিয়ে আবার ঘুমিয়ে পড়ুন, আপনার অর্ধেক স্বপ্ন পূর্ণ করার এটাই একমাত্র উপায়।
আবার আরেকদিন শুনি, গুড্ডু পাড়ার ছেলে দের জ্ঞান দিচ্ছে, কিভাবে স্মার্টলি কাজ করতে হয়। আমিও গেলাম তার ফালতু জ্ঞান শুনতে। আমি শুনলাম সে বলছে- ঘুমের পিছনে কখনো দৌড়াবেনা, পাড়লে পড়াশোনার পিছনে দৌড়াও ঘুম নিজে থেকেই চলে আসবে। স্মার্ট হও বন্ধুরা স্মার্ট হও। স্মার্ট ভাবে কাজ করতে শিখো।
বাংলা ছোট হাসির গল্প 3 :-
বল্টুর পায়ে খুবই ব্যাথা। কারণ সে পায়ে চোট পেয়েছে। ডাক্তারের ওষুধ এবং মলমেও কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। বল্টুর পা ফুলে ফুটবলের মত হয়ে গেছে। বাধ্য হয়েই সে আবার সেই ডাক্তারের কাছে গেল। ডাক্তারের কাছে গিয়ে সে চিল্লানো শুরু করে দিল, কারণ এত টাকার ওষুধ কিনে নিয়েও তার কোনো কাজ হয়নি।
ডাক্তার তাকে থামানোর চেষ্টা করে বললেন- have a relax. আমি আপনাকে যেটা বলেছিলাম সেটা আপনি করেছিলেন কি না?
বল্টু- হ্যাঁ আপনি যেটা বলেছিলেন আমি ঠিক সেই মতই কাজ করেছি, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বরং পা আবার বেশি ফুলে গেছে।
ডাক্তার- উঁহু, এরকম হওয়াটা তো কাম্য নয়। আপনি ঠিক মত ওষুধ লাগিয়েছিলেন তো?
বল্টু- আরে বাবা হ্যাঁ। আপনি যেমন বলেছিলেন যেখানে ব্যাথা লেগেছিল, সেখানে মলম লাগাতে, আমিও ঠিক সেখানেই মলম লাগিয়েছি। তবে ওষুধটা তাকে খাওয়াতে পারিনি।
ডাক্তার অবাক হয়ে বললেন- তাকে মানে কার কথা বলছেন আপনি?
বল্টু- কেন আমার বাড়ির টেবিলের পায়ার কথা বলছি। ব্যাটা কিছুতেই ওষুধ খাচ্ছে না। তবে মলম টা লাগিয়ে দিয়েছি।
ডাক্তার- আপনি কি পাগল হয়ে গেছেন নাকি?
বল্টু- কেন আপনিই তো বলেছিলেন যেখানে ব্যাথা লেগেছে সেখানে মলম লাগাতে আর ওষুধ খেতে। আমি আমার টেবিলের পায়াতে ব্যাথা পেয়েছি, তাই আমি সেখানেই মলম লাগিয়েছি।
ডাক্তারের জ্ঞান হারানোর মত অবস্থা।
বাংলা ছোট হাসির গল্প 4:-
আমাদের পাড়ায় একজন মানব দরদী শিক্ষক ছিলেন। তিনি অনেক কম বেতন দিয়েই ছাত্রদের পড়াতেন। আর খুব সুন্দর ভাবেই পড়াতেন। যার ফলে অনেক আগে থেকেই তার কাছে সীট বুকিং করতে হত।
এদিকে বল্টুর বাবা তাকে বলে দিয়েছে, যে করেই হোক সেই টিচারের কাছে তাকে পড়তেই হবে। বল্টুও চায় সেই শিক্ষকের সাথে পড়তে, কিন্তু কি আর করবে সে, আগেই যে সব সীট বুকিং হয়ে আছে। স্যারের অ্যাসিস্ট্যান্টকে অনেক বলেকয়েও সে কোনো ব্যবস্থা করতে পাড়ল না। এবার বল্টুর মাথায় একটি বুদ্ধি খেলে গেল।
সে সরাসরি সেই শিক্ষকের সাথে দেখা করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল। বল্টু যাচ্ছে সেই শিক্ষকের সাথে সরাসরি আলাপ করতে যে বল্টু সারাদিন adidas এর জুতো পড়ে ঘুরত সেই বল্টুর পায়ে ছেঁড়া চপ্পল। গায়ে নোংরা জামা।
শিক্ষকের কাছে যেতেই সে অনেক অনুরোধ করতে লাগল- স্যার আমি খুব গরীব, আমার ইচ্ছে পড়াশোনা করার কিন্তু টাকার অভাবে ভালোমত পড়াশোনা করতে পারছি না। আমি আপনার কাছে পড়তে চাই। দয়া করে না করবেন না।
অবশেষে সেই শিক্ষকটি রাজী হয়ে যায়। এবং তাকে গেট পাশ, ভর্তির রসিদ সব দিয়ে দেয়।
এরপর যেদিন সেই শিক্ষকের টিউশন শুরু হল, সেদিন দেখা গেল, ছেঁড়া চপ্পলের জায়াগায় চলে এসেছে দামি বুট জুতো, আর পড়নে চলে এসেছে দামি কাপড়। আর R15 গাড়ির উপর চেপে সে চলে এসেছে টিউশনে। এটি দেখে সেই শিক্ষকটি মনে মনে বলতে লাগলেন- আরে এ তো বকের আড়ালে শেয়ালের বাচ্চা বেড়িয়ে এল।
বাংলা ছোট হাসির গল্প 5:-
বল্টুর বাবা তাকে বকছে- দেখ তৃষা, কত নাম্বার পেয়েছে। আর তুই এবারেও ফেল করলি।
তুই আমাদের সব মান-সম্মান নষ্ট করে দিলি। তৃষাকে দেখ, ওকে দেখে কিছু শেখ।
বল্টু, মাথা নিচু করে- তাকে দেখেই তো এবার নিয়ে পাচবার ফেল হলাম। আবার তাকেই দেখতে বলছ। তার মানে তুমিও চাও যে, তোমার ছেলে একজন মেয়েকে লাইন মারুক। বা এরকম বাবাই চাই। ব্যাস বাবার কথা উধাও।
বাংলা ছোট হাসির গল্প 6:-
সাহিল অনেক দুষ্টু ছেলে। যদিও সে এখন অনেক ছোট। সে সারাদিন দুষ্টুমি করে বেড়ায়। একদিন সাহিল তার মাকে জিজ্ঞেস করল- “মা তোমার মাথার কয়েকটা চুল সাদা কেন?” সাহিলের মা ভাবল হুম এবার একে একটু জব্দ করা যাক। মা বলল- “এটা সব তোমার জন্যই হয়েছে। তুমি যতই দুষ্টুমি করবে, ততই আমার মাথার এক একটি চুল সাদা হয়ে যাবে।“
এবার সাহিল বলল- “আচ্ছা, এই জন্যই তাহলে দিদার মাথার সব চুল সাদা, কারণ তুমি আমার থেকেও অনেক দুষ্টুমি করো।“
এদিকে সাহিলের মা নিজের জালে নিজেই ফেসে গেছে। ছেলেকে জব্দ করার জায়গায় সে নিজেই এখন জব্দ।