বিমানে ভ্রমণের আগে যা আপনাকে জানতেই হবে

যদি জীবনে প্রথম বারের মতো বিমানে ভ্রমণ করতে যান তাহলে কিছু বিষয় আগে থেকে খেয়াল রাখা জরুরি। নয়তো আপনার জীবনের প্রথম বিমান ভ্রমণ এর অভিজ্ঞতা বিরক্তিকর হতে পারে। চলুন জেনে নেয়া যাক বিমানে ভ্রমণের আগে যে বিষয়গুলো অবশ্য করণীয় আপনার জন্য- 

 

লাগেজ

 

আপনার টিকেট এ উল্লেখিত পরিমানের অতিরিক্ত ওজন যাতে না হয় আপনার লাগেজ, সেদিকে খেয়াল করবেন, কেননা অতিরিক্ত ওজনের জন্য আপনাকে অনেক বেশি মাশুল গুনতে হবে । যেকোন তরল জাতীয় ( সামফু, বডি স্প্রে ইত্যাদি) ও ধারালো পন্য (রেজর, নেইল কাটার ইত্যাদি) আপনার হাতব্যাগে রাখবেন না, এসব পণ্য আপনার লাগেজ এ রাখবেন।

 

বোর্ডিং পাস

 

বিমান বন্দরে পৌঁছে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনস কাউন্টার এ বোর্ডিং পাস নিয়ে নিতে ভুলবেন না । আগে ভাগে বোর্ডিং পাস নিয়ে রাখলে সুবিধামতো সিট এর পাশাপাশি শেষ মুহূর্তে ছুটোছুটি থেকে রেহাই পাওয়া যায় ৷

 

ইমিগ্রেশন

 

এরপর ইমিগ্রেশন চেক ইন এ আপনার পাসপোর্ট, বোর্ডিং পাশ, সংশ্লিষ্ট দেশের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ( অফার লেটার, আমন্ত্রণ পত্র বা জব লেটার) ইমিগ্রেশন অফিসার কে দিয়ে সাহায্য করুন ।

 

ওয়াশরুম

 

আপনি যদি তাড়াতাড়ি বিমানে ওঠার অপেক্ষায় থাকেন তবে বিমানে ওঠার আগেই টার্মিনাল থেকে ফ্রেস হয়ে নিন । তাহলে বিমানে ওঠার পর আর আলাদাভাবে কোনো বিড়ম্বনা পোহাতে হবেনা ।

 

সিট বেল্ট

 

বিমানে উঠে নিজের আসনে বসেই প্রধান কাজ হচ্ছে নিজের সিট বেল্ট বেঁধে নেয়া । আপনাকে বিমানক্রুরা কিভাবে সিট বেল্ট বাঁধতে হবে তা শুরুতেই জানিয়ে দিবে। যদি না পারেন তবে বিমানক্রুদের সাহায্য চাইলে তারাই বেঁধে দেবে ।

 

অক্সিজেন মাস্ক

 

সিট বেল্ট বেঁধেই দেখে নিন আপনার অক্সিজেন মাস্ক কোথায় রাখা আছে এবং কিভাবে ব্যবহার করতে হবে । না বুঝলে অবশ্যই বিমানক্রুদের সাহায্য নিতে পারেন ।

READ MORE:  পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান

 

ফোন ব্যবহার

 

বিমানে ফোন কিংবা রেডিও ওয়েবজাতীয় সকল তরঙ্গ ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। ফোন এরোপ্লেন মুডে রাখুন ৷

 

বিমানের শৌচাগারের ব্যবহার

 

বিমানের শৌচাগারে বেশি সময় না নেওয়াই ভালো। এ ছাড়া বাসার শৌচাগারের মতো নোংরা অবস্থায় রেখে আসা উচিত নয়। আপনার স্বাস্থ্যের কথা ভেবে বিমানের ময়লা শৌচাগারে যেকোনো ধরনের যৌনাচার থেকে বিরত থাকা উচিত।

 

 তীব্র গন্ধযুক্ত 

 

মনে রাখবেন, তীব্র গন্ধযুক্ত কোনো আতর বা পারফিউম মেখে বিমান ভ্রমণ না করাই ভালো। এতে আপনার অন্য যাত্রীরা অসুবিধার সম্মুখীন হতে পারে। এ ছাড়া বিমানে এমন খাবার নিয়ে ওঠা উচিত না, যা তীব্র গন্ধ ছড়ায়।

 

সন্তানদের দেখে রাখুন

 

বিমানে ওঠার আগে নানা ধরনের নিয়মকানুন মানতে গিয়ে হয়তো আপনি ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। কিন্তু সন্তানকে দেখে রাখা আপনার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। তেমনি অন্য বাচ্চারা দুষ্টুমি করলে আপনার উচিত তাদের বাবা-মাকে বিষয়টা জানানো। বিমানে অন্য কারো বাচ্চাকে ধমক দেওয়ার সঠিক জায়গা নয়।

 

বিমানে ঘুমানো

 

দীর্ঘ বিমান যাত্রাকাল (৮ ঘন্টা+) আপনাকে

 

বিমানে ঘুমাতেই হবে। অনেকে বসে অল্প জায়গায় ঘুমিয়ে অভ্যস্ত না, এক্ষেত্রে সিট টা একটু পিছিয়ে দিন, বিমানে যে বালিশ আছে সেটা ব্যবহার করুন, খেয়াল রাখবেন আশেপাশের যাত্রীর যেন কোনো সমস্যা না হয় 

 নামার প্রস্তুতি নিন। বিমানে আপনি চাইলে আধশোয়া হয়ে ঘুমাতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে আসনটিকে আধশোয়া করে শোয়ার উপযুক্ত করে নিতে হবে। আর সেটি করার সময় আপনার পেছনের যাত্রীর দিকে খেয়ার রাখুন। আপনার আসনটি আধশোয়ার উপযুক্ত করতে গিয়ে সেটি যেন আবার তার পানীয়, ল্যাপটপ বা পায়ের সঙ্গে না লেগে যায়।

 

বিমান উড্ডয়নের সময়

 

মনে রাখবেন বিমান আকাশে উড়ার সময় একটা ঝাঁকি দেয় এবং প্রথম বিমান ভ্রমণে আপনার আলাদা একটা অনুভূতি হতে পারে ।

READ MORE:  যে সব ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে জয় বাংলা স্লোগান।

 

নামার সময়

 

বিমান থেকে নামার সময় আপনার সঙ্গে থাকা ব্যাগ এবং জিনিসপত্র সব ভালোভাবে গুছিয়ে নিন। তাড়াহুড়ো করবেন না, শান্তভাবে নামার প্রস্তুতি নিন।