স্বাস্থ্য

মৌমাছির কামড়ের প্রাথমিক চিকিৎসা

মৌমাছি কামড় দিলে তা আমাদের জন্য অনেক ব্যথার কারণ হয়। মৌমাছি কামড় দিলে সাথে সাথে কি প্রাথমিক চিকিৎসা করবেন তা আমাদের জন্য জানা অত্যন্ত জরুরি।  

 

মৌমাছি বা বোলতা কামড়ালে কী করবেন জেনে নিন–

 

১. মৌমাছি বা বোলতা হুল ফুটিয়ে বসে থাকলে তা তুলে ফেলুন। এরা সাধারণত ত্বকের সঙ্গে একই সমতলে আঁকড়ে ধরে থাকে। তাই সরানোর জন্য ধীরে ধীরে এদের ওপরে এবং পাশে আঙুল বোলান, তার পর আচমকা ঠেলে ফেলে দিন।

 

২. খামচে বা চিমটি কেটে মৌমাছি অথবা বোলতাকে তোলার চেষ্টা করবেন না। কারণ এর ফলে বিষের থলি থেকে সমস্ত বিষ বেরিয়ে পড়বে এবং হুলের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করবে। তাই খামচে তোলার পরিবর্তে ঠেলে ফেলে দিন।

 

৩. হুল ফোটানোর পর সেই স্থানটিতে গরম লেগে জ্বালা করে এবং লাল হয়ে ফুলে যায়। তাই প্রভাবিত স্থানে সবার আগে বরফ ডলুন।

 

৪. কিছুক্ষণ ঠান্ডা শেঁক দেওয়ার পর সেখানে অ্যান্টিবায়োটিক ক্রিম লাগান।

 

৫. ক্রিম লাগানোর পাশাপাশি অ্যান্টি হিস্টামিন ওষুধ খান। ব্যথার জন্য প্যারাসিটামল তো রয়েছেই।৪. কিছুক্ষণ ঠান্ডা শেঁক দেওয়ার পর সেখানে অ্যান্টিবায়োটিক ক্রিম লাগান।

 

৬. ক্রিম লাগানোর পাশাপাশি অ্যান্টি হিস্টামিন ওষুধ খান। ব্যথার জন্য প্যারাসিটামল তো রয়েছেই।

 

৭. হুল ফোটানোর কারণে অনেকের মাথা ব্যথা, বমি, শ্বাসকষ্ট হয়। আবার প্রভাবিত স্থান চুলকাতে পারে, চাকা হয়ে ফুলে যেতেও পারে। এমনকি শরীর ফুলে যাওয়া ও পেটে তীব্র ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। এমন হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন

 

 যদি আপনি মৌমাছির দ্বারা দংশিত হন, তবে কিছু টেস্ট করার পরামর্শ দেওয়া হয় যাতে জানা যায় আপনার মৌমাছির বিষে অ্যালার্জি আছে কিনা। এই টেস্টগুলির মধ্যে আছে: 

 

কিছু অ্যান্টিবডি যাদেরকে আই জি ই অ্যান্টিবডি বলা হয়ে থাকে তাদের মাত্রা যাচাই করার জন্য রক্ত পরীক্ষা করতে দেওয়া হয়। ত্বকের প্যাচ বা সামান্য অংশ পরীক্ষা, যেখানে। অল্প বিষ প্রয়ােগ করে দেখা হয় যে কোন

প্রতিক্রিয়া হচ্ছে কিনা। 

 

  • যে কামড়ে লঘু প্রতিক্রিয়া হয়, সেক্ষেত্রে, হুলটি শরীর থেকে বার করা দরকার যাতে শরীরে বিষের প্রবেশ কমে এবং তারপর কোন সাময়িকভাবে কার্যকরী স্টেরােয়েড ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। অ্যান্টিহিস্টামাইনও ব্যবহার করা যায়, তার সাথে কোল্ড কমপ্রেস বা ঠান্ডা কিছু চাপা দেওয়া।

 

  • আরও গুরুতর ক্ষেত্রে, অ্যানফাইলাক্সিসের জন্য তাৎক্ষণিক চিকিৎসা প্রয়ােজন, যার মধ্যে এপিনেফ্রিন ইনজেকশন, অক্সিজেন সরবরাহ এবং শিরায় তরল প্রবেশ ঘটানাে দরকার। অ্যানফাইলাক্সিসকে একটি চিকিৎসাগত জরুরী অবস্থা বলে মনে করা হয় এবং এর তাৎক্ষণিক চিকিৎসা করা দরকার।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link