কোরবানির দোয়া বাংলা উচ্চারণ ও আরবি সহ | kurbanir dua

কোরবানি ইসলামের অন্যতম ইবাদত। যাদের জাকাতের নিসাবের সমপরিমাণ নিসাব আছে, তাদের ওপর কোরবানি ওয়াজিব। কোরবানির দিন বিভিন্ন দোয়া পড়া সুন্নত। জবাইয়ের জন্য পশুকে কিবলার দিকে ফিরানোর সময়, জবেহ করার সময় ও জবাইশেষে দোয়াগুলো পড়লে সুন্নত আদায়ের পাশাপাশি সওয়াবও লাভ হয়। নিচে কোন সময় কী দোয়া পড়তে হয়, তা উচ্চারণ ও অর্থসহ দেওয়া হলো।

 

কোরবানির দোয়া আরবি, কুরবানির দোয়া আরবি | kurbanir dua arabic 

 

-اَللَّهُمَّ إِنِّي وَجَّهْتُ وَجْهِيَ لِلَّذِي فَطَرَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ عَلَى مِلَّةِ اِبْرَاهِيْمَ حَنِيفًا وَمَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ – إِنَّ صَلَاتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ – لَا شَرِيكَ لَهُ وَبِذَٰلِكَ أُمِرْتُ وَأَنَا مِنَ الْمُسْلِمِينَ – بِسْمِ اللهِ اَللهُ اِكِبَر – اَللَّهُمَّ مِنْكَ وَ لَكَ

কোরবানির দোয়া বাংলা উচ্চারণ, কুরবানির দোয়া বাংলা উচ্চারণ | kurbanir dua bangla uccharon 

আল্লাহুম্মা ইন্নী ওয়াজ্জা ওয়াজহিয়া লিল্লাযী ফাত্বারাস সামাওয়াতি ওয়াল আরয; ‘আলা মিল্লাতি ইব্রাহীমা হানীফাঁও ওয়া মা আনা মিনাল মুশরিকীন। ইন্না ছলাতী ওয়া নুসুকী ওয়া মাহইয়ায়া ওয়া মামাতী লিল্লাহি রব্বিল ‘আলামীন। লা শারীকা লাহু ওয়া বিযালিকা উমিরতু ওয়া আনা মিনাল মুসলিমীন। আল্লাহুম্মা মিনকা ওয়া লাকা; (মিন্নী ওয়া মিন আহলে বায়তী) বিসমিল্লাহি ওয়াল্লাহু আকবার’ অথবা ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার’।

কোরবানির দোয়া বাংলা অর্থ , কুরবানির দোয়া বাংলা অনুবাদ | kurbanir dua bangla

নিশ্চয়ই আমি দৃঢ়ভাবে সেই মহান রবের অভিমুখী হলাম, যিনি আসমান এবং জমিন সৃষ্টি করেছেন। আমি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত নই। নিশ্চয়ই আমার সালাত, আমার কুরবানি, আমার জিবন ও আমার মরণ—সব কিছুই বিশ্ব প্রতিপালক মহান আল্লাহ তায়ালার জন্য নিবেদিত। তাঁর কোনো শরীক নেই। আমি এ কাজের জন্যই আদিষ্ট হয়েছি। আর আমি আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে একজন। আল্লাহর নামে, আল্লাহ সবচেয়ে মহান।’ (আবু দাউদ, হাদিস নং- ২৭৮৬; ইবনে মাজাহ, হাদিস নং- ৩১২১)

 

READ MORE:  সালামি কি হারাম?

কুরবানীর আরো কিছু দো‘আ 

 

  • বিসমিল্লা-হি ওয়াল্লা-হু আকবার (আল্লাহ্র নামে, আর আল্লাহ সবার চেয়ে বড়) 
  • বিসমিল্লা-হি আল্লা-হুম্মা তাক্বাব্বাল মিন্নী ওয়া মিন আহলে বায়তী (আল্লাহ্ নামে, হে আল্লাহ! তুমি কবুল কর আমার ও আমার পরিবারের পক্ষ হ’তে)। এখানে কুরবানী অন্যের হ’লে তার নাম মুখে বলবেন অথবা মনে মনে নিয়ত করে বলবেন ‘বিসমিল্লা-হি আল্লা-হুম্মা তাকাব্বাল মিন ফুলান ওয়া মিন আহলে বায়তিহী’ (আল্লাহ্ নামে, হে আল্লাহ! তুমি কবুল কর অমুকের ও তার পরিবারের পক্ষ হ’তে)। 
  • ‘বিসমিল্লা-হি ওয়াল্লা-হু আকবার, আল্লা-হুম্মা তাকাব্বাল মিন্নী কামা তাকাব্বালতা মিন ইব্রাহীমা খালীলিক’ (…হে আল্লাহ! তুমি আমার পক্ষ হ’তে কবুল কর যেমন কবুল করেছ তোমার বন্ধু ইব্রাহীমের পক্ষ হ’তে)৷
  • যদি দো‘আ ভুলে যান বা ভুল হবার ভয় থাকে, তবে শুধু ‘বিসমিল্লাহ’ বলে মনে মনে কুরবানীর নিয়ত করলেই যথেষ্ট হবে।

 

ইদের নামাজের পূর্বে কুরবানী দিলে করনীয় কি

ঈদের ছালাত ও খুত্বা শেষ হওয়ার পূর্বে কুরবানী করা নিষিদ্ধ। করলে তাকে তদস্থলে আরেকটি কুরবানী দিতে হবে। অনেকে কুরবানী করার অজুহাতে খুৎবা শেষ হওয়ার আগেই চলে যান। তারা সুন্নাত বিরোধী কাজ করেন এবং খুৎবা শোনার নেকী থেকে বঞ্চিত হন।