এন্টিবায়োটিক রেসিস্ট্যান্ট কি?
এন্টিবায়োটিক রেসিস্ট্যান্ট একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা আমরা বাঙালিরা জানি না।
এন্টিবায়োটিক রেসিস্ট্যান্ট সম্পর্কে না জানার ফলে আমাদের মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে আছি। যদি এন্টিবায়োটিক রেসিস্ট্যান্ট সম্পর্কে আমরা না জানি তবে আমরা সচেতন হতে পারব না৷ চলুন জেনে আসি এন্টিবায়োটিক রেসিস্ট্যান্ট কি? এন্টিবায়োটিক রেসিস্ট্যান্ট প্রতিরোধে করণীয় কি?
আমাদের দেশে চারভাবে এন্টিবায়োটিক প্রেস্ক্রাইবড হয়, যথা:
ক. চিকিৎসক দ্বারা যৌক্তিক এন্টিবায়োটিক প্রেস্ক্রিপশন,
খ. চিকিৎসক দ্বারা অযৌক্তিক এন্টিবায়োটিক প্রেস্ক্রিপশন,
গ. কোয়াকদের প্রেস্ক্রিপশনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হচ্ছে এন্টিবায়োটিক,
ঘ. রোগী নিজেই দোকান থেকেই কিনে খান।
‘ক’ গ্রুপের অধীনে যেসব রোগী আছেন তারা নির্দিষ্ট কারণ ছাড়া এন্টিবায়োটিক সেবন করেন না। কিন্তু অন্য তিনটি গ্রুপের মাধ্যমে এন্টিবায়োটিক রেসিস্ট্যান্ট ব্যাক্টেরিয়া সমাজে ছড়িয়ে পড়ে। ‘ক’ গ্রুপ এক্ষেত্রে বৃথা কষ্ট করছেন। কারণ যারা যৌক্তিকভাবে এন্টিবায়োটিক সেবন করছেন, তারা অযৌক্তিকভাবে এন্টিবায়োটিক সেবনকারীদের মাধ্যমে তৈরি হওয়া রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়া দিয়ে আক্রান্ত হচ্ছেন।
ফলে বিচ্ছিন্নভাবে যৌক্তিক এন্টিবায়োটিক সেবন বা প্রেস্ক্রিপশন করে কোনো লাভ নেই। সুতরাং এটি কঠোরভাবে একযোগে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তা না হলে ভবিষ্যৎ অন্ধকার।
এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে এক সময় আপনার শরীরে আর কোন এন্টিবায়োটিক কাজ করবে না৷ ছোট কাঁটা ছেড়া বা সামান্য ঠাণ্ডা কাশিতেও মৃত্যুর মুখে পতিত হতে পারেন।
পরিশেষে, আমাদের ঠাণ্ডা জ্বর বেশিরভাগ সময় ভাইরাসজনিত। ৫-৭ দিনে এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। আর এন্টিবায়োটিক শুধুমাত্র ব্যাক্টেরিয়াকে ধ্বংস করার জন্য। তাই দয়া করে শুধু শুধু এন্টিবায়োটিক খাবেন না।