আপনার কি ব্রংকাইটিস হয়েছে?

ব্রংকাইটিস কি 

 

মানবদেহের শ্বাসনালির সংক্রমণই হচ্ছে ব্রংকাইটিস। অর্থাৎ, শ্বাসনালীর ভিতরে আবৃত ঝিল্লিতে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণকেই ব্রংকাইটিস বলে। এ সংক্রমণের ফলে ঝিল্লিগাত্রে প্রদাহ হয়। এ রোগটি এক ধরণের ভাইরাস থেকে হয়।

 

এটি একটি সাধারণ ফুসফুসের অবস্থা, যেখানে টিউবগুলোর লাইনিং উদ্দীপ্ত হয়। আর এ টিউবগুলো ফুসফুসের ভিতরে ও বাইরে বাতাস নিয়ে যায় এবং এদের জ্বালা, বাতাস চলাচলের জায়গা সরু হওয়ার কারণে শ্বাস-প্রশ্বাসে অসুবিধা করে। ঘন মিউকাস সৃষ্টি হবার জন্য সাধারণত ব্রংকাইটিস কাশি হয়।

 

ব্রংকাইটিসের ধরণ

ব্রংকাইটিস ২ ধরণের হয়। যথা –

 

১.তীব্র ব্রংকাইটিস

২. দীর্ঘস্থায়ী ব্রংকাইটিস

 

ব্রংকাইটিসের কারণ

 

. ধুলাবালি ও ধোঁয়াময় পরিবেশের জন্য।

 

.অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বাস করলে।

 

.স্যাঁতস্যাতে ধূলিকণা মিশ্রিত আবহাওয়া।

 

.ঠান্ডা লাগা

 

.নিয়মিত ধূমপান করা। ইত্যাদি কারণে এ রোগ হতে পারে।

 

.ব্রংকাইটিসের লক্ষণ / উপসর্গ

 

.কাশি, বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট হয়।

 

.বুক শক্ত হয়ে যায়।

 

.কাশির সময় বুকে ব্যথা অনুভব হয়।

 

.শক্ত খাবার খেতে পারে না।

 

.জ্বর হয়।

 

.শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে।

 

.কাশির সাথে অনেক সময় কফ বা রক্ত বের. হয় ইত্যাদি।

 

.তীব্র ব্রংকাইটিস

 

.ঠান্ডার উপসর্গগুলো দেখা দেয়।

 

.সামান্য জ্বর থাকে।

 

.শরীর ব্যথা।

 

.দীর্ঘস্থায়ী ব্রংকাইটিস

 

.বার বার কাশি হওয়া।

 

.সামান্য কাশি বা খুব বেশি হতে পারে।

 

.নিম্নে তিন মাস থাকে।

 

ব্রংকাইটিসের প্রতিকার

 

  • ধূমপান ও সকল প্রকার নেশা জাতীয় জিনিস পান করা বন্ধ করা।
  • অক্সিজেন থেরাপি দেওয়া।
  • ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী রোগীর চিকিৎসা করা।
  • পুষ্টিকর তরল ও নরম খাবার খাওয়ানো।
  • রোগীকে শুষ্ক পরিবেশে রাখা।
  • সম্পূর্ণ বিশ্রাম নেওয়া। ইত্যাদি।
  • ব্রংকাইটিসের প্রতিরোধ
  • ধূমপান, মদ্যপান, নেশা জাতীয় জিনিস থেকে দূরে থাকা।
  • অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ থেকে দূরে থাকা।
  • ধূলাবালিযুক্ত পরিবেশে কাজ করা থেকে বিরত থাকা।
  • ঠান্ডা যাতে না লাগে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকা।
  • বাইরে গেলে মাস্ক ব্যবহার করা। ইত্যাদি।
READ MORE:  এলডিএল এর যত খারাপ দিক