মিলিয়ে নিন নিজের সাথে আপনি কি উদ্যোক্তা হতে চাচ্ছেন?
যদি এক কথায় এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যায় তবে এইভাবে বলা যায় যে, একজন উদ্যোক্তা এবং একজন সাধারন মানুষের মধ্যে মূল পার্থক্য তাদের চিন্তা ভাবনায়।
খুব সহজ করে বললে, একজন উদ্যোক্তা একটি বিষয়ে যত গভীরে যেতে পারে একজন সাধারন মানুষ সেখানে যেতে পারে না।
যেমন, একজন সাধারন মানুষ যখন একটি কফি শপে যায় তখন তিনি সেখানে গিয়ে আয়েশ করে বসে মেনু দেখে একটি কফি অডার করে। কফিতে চুমুক দিয়ে চক্ষু বন্ধ করে কফির স্বাদ গ্রহন করে।
কফির কিছু সুন্দর ছবি তুলে সোসাল মিডিয়ায় পোস্ট করে সারা বিশ্বকে জানিয়ে দেন যে, তিনি এখন কফি পান করছে।
অন্যদিকে একজন উদ্যোক্তা ঐ একই কফি শপে গিয়ে আশপাশটা পর্যবেক্ষণ করে। কতজন গ্রাহক বর্তমানে কফি শপটিতে আছে, ডেকোরেশন কেমন, এই কফি শপটিতে বিশেষত্ব কি আছে, তাদের সার্ভিস কেমন তা পর্যবেক্ষণ করার চেষ্টা করে। পকেট থেকে মোবাইলটি বের করে কফি শপটির আয় ব্যয়ের একটি সম্ভাব্য হিসাব করে।
আবার ধরুন, একজন সাধারন মানুষ বাসে করে ঢাকা থেকে চট্রগ্রাম যাচ্ছে। তিনি বাসে উঠে সবার আগে তার সিটে বসে মোবাইল চালাবে, কিংবা কানে হেডফোন লাগিয়ে লম্বা ঘুম দিবে।
অন্যদিকে একজন উদ্যোক্তা বাসের সুপারভাইজারের কাছে এই বাসের মালিকের ব্যবসা সম্পর্কে জানতে চাইবে। কতগুলো বাস রয়েছে, কোন রুটে যায়, কত জন স্টাফ আছে তা জানতে চাইবে।
কিংবা জানালা দিকে তাকিয়ে আশে পাশের দোকান-পাট, ব্যবসা-বানিজ্য দেখতে দেখতে তার গন্তব্যে চলে যাবে।
একজন সাধারন মানুষ তার ইনকাম করা টাকা জমাতে ব্যস্ত থাকে। অন্যদিকে একজন উদ্যোক্তা তার ইনকাম করা টাকাকে বিনিয়োগের মধ্যে রাখে।
একজন সাধারন মানুষ রিস্ক বা ঝুঁকি থেকে সব সময়ে নিজেকে দূরে রাখে অন্যদিকে একজন উদ্যোক্তা ঝুঁকির গভীরতা বুঝে ঝুঁকি নিয়ে থাকে।
একজন সাধারন মানুষের কাছে যা সমস্যা একজন উদ্যোক্তার কাছে তাই সম্ভাবনা।
একজন সাধারন মানুষ ভাগ্যের উপর তার ভবিষ্যৎ ছেড়ে দেয় অন্যদিকে একজন উদ্যোক্তা কর্মের মাধ্যমে তার ভবিষ্যৎ গড়ার চেষ্টা করে।
একজন সাধারন মানুষ নির্ধারিত পথে হাঁটে অন্যদিকে একজন উদ্যোক্তা নিজের পথ নিজে তৈরিতে বিশ্বাসী, এমকি উদ্যোক্তাদের এই পথ ব্যবসায়ীদের জন্য একটি গাইডলাইন হয়ে যায়।