বাংলা উচ্চারণসহ আযান ও ইকামত
আযন হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে সুমধুর ধ্বনি। আযান দেওয়া হয় উচ্চস্বরে এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আগে। আযান দেওয়া সুন্নতে মুয়াক্কাদ।
আযান ও ইকামতের বাক্যগুলো প্রায় একই। ইকামত দেওয়া হয় জামাতে নামাজ শুরু করার আগে। জামাত শুরু করার আগে ইকামত দেওয়া সুন্নত। আযান একটি সুমিষ্ট ধ্বন।
আযান দিতে হয় অজু করে পবিত্র জায়গায় কিবলামুখী দাঁড়িয়ে দুই হাতের দুই শাহাদাত আঙ্গুল দুই কর্ণকুহরে প্রবেশ করিয়ে খুব জোরে ও মিষ্টি সুরে ধীরস্থিরভাবে। আমরা আজকে এই পোস্টে আলোচনা করব আযান ও ইকামতের বাংলা উচ্চারণ নিয়ে
আযান দেওয়ার সময় যে বাক্যগুলো উচ্চারণ করা হয় এর বাংলা উচ্চারণ হলোঃ ১.আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার। ২.আশহাদু আল্লাহ ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আশহাদু আল্লাহ ইলাহা ইল্লাল্লাহ। ৩.আশহাদু আন্না মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ। ৪.হাইয়া আলাস সালাহ্, হাইয়া আলাস সালাহ্।
৫.হাইয়া আলাল ফালা, হাইয়া আলাল ফালা। ৬. আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার। ৭.লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ। আযান ও ইকামতের বাক্যগুলো প্রায় একই। ইকামতের বাক্যগুলো হলোঃ
১.আল্লাহু আকবার। (৪বার) ২. আশহাদু আল্লাহ ইলাহা ইল্লাল্লাহ। (২বার) ৩.আশহাদু আন্না মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ। (২বার) ৪.হাইয়া আলাস সালাহ। (২বার) ৫.হাইয়া আলাল ফালা। (২বার) ৬.কদ কামাতিস সালাত। (২বার)
৭.আল্লাহু আকবার। (২বার) ৮.লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ। (১বার). আযান ও ইকামত এর বাক্যগুলো প্রায় একই হলেও এদের মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে। অনেকেই জানে না যে, আযান ও ইকামতের মধ্যে পার্থক্য কোনটি।
তাই আমরা এই পোস্টে আলোচনা করব আযান ও ইকামতের পার্থক্য নিয়ে। আপনারা যারা আযান ও ইকামতের পার্থক্য জানতে চান আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
আজান হচ্ছে প্রত্যেক মুসলমান ব্যক্তিকে নামাজে আহ্বান করা জন্য কতগুলো শব্দমালা বা বাক্য। যা উচ্চ ও সুমিষ্ট স্বরে দিতে হয়। আর ইকামত দিতে হয় আযানের পর নামাজ শুরু করার ঠিক আগ মুহূর্তে।
ইকামতের বাক্যগুলো তাড়াতাড়ি উচ্চারণ করতে হয়। আর আযানের বাক্যগুলো খুব ধীরস্থিরভাবে উচ্চারণ করতে হয়। আযানে “কদকমাতিস সালাত, কদকমাতিস সালাত”
এই বাক্যটি উচ্চারণ করতে হয়না. কিন্তু ইকামতে “হাইয়া আলাল ফালা” এরপরে “কদকমাতিস সালাত” এই বাক্যটি উচ্চারণ করতে হয়।আযান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময় টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
মোয়াজ্জিন যখন আযান দেন তখন তার সাথে সাথে আযানের জবাব দিতে হয়। এরপর আযানের দোয়া পড়তে হয়। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রত্যেক ব্যক্তিকে আযানের পর আল্লাহর কাছে দোয়া চাইতে বলেছেন।
আজান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়ে কেউ যদি আল্লাহর কাছে দোয়া চায় তখন আল্লাহ কারো দোয়া ফিরিয়ে দেন না।