হাই কোলেস্টেরল থেকে মুক্তির উপায়

 হাই কোলেস্টেরল কি?

 

রক্তের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল কোলেস্টেরল। রক্তে উপস্থিত ৭৫ শতাংশ কোলেস্টেরল স্বাভাবিকভাবে আমাদের দেহে এমনিই উত্পাদন হয়। কিন্তু বাকি ২৫ শতাংশ কোলেস্টেরল আসে বিভিন্ন প্রাণীজ খাবার থেকে। এখন এই কোলেস্টেরল ভালো না খারাপ? রক্তে উপস্থিত এই কোলেস্টেরল দুধরনের, এলডিএল (লো ডেনসিটি লিপিড প্রোফাইল) ও এইচডিএল  (হাই ডেনসিটি লিপিড প্রোফাইল)। এরমধ্যে এইচডিএল-কে বলা হয় ‘গুড কোলেস্টেরল’ আর এলডিএল -কে বলা হয় ‘ব্যাড কোলেস্টেরল’।

হাই কোলেস্টেরল থেকে মুক্তির উপায় 

 

  • যখন জীবনশৈলী এবং খাদ্যতালিকায় পরিবর্তন।

করেও বর্ধিত কোলেস্টরলের মাত্রা কমান যায় না।

 

  • হৃদরােগে আক্রান্ত হওয়ার ইতিহাস থাকে।

 

  • খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা বেশি থাকে।

 

  • ৪০-৭৫ বছরের ব্যক্তি যাঁদের হৃদরােগের ঝুঁকি বেশি

থাকে।

 

  • যাঁদের ডায়বিটিস অথবা হার্টের রােগ থাকে। রক্তে বর্ধিত কোলেস্টরলের মাত্রা কমাতে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ প্রয়ােগ করা হয়ে থাকে। আপনার বয়স, স্বাস্থ্যের বর্তমান পরিস্থিতি, হৃদরােগ বা স্ট্রোকের সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে আপনার চিকিৎসক আপনার জন্য নির্দিষ্ট ওষুধের পরামর্শ দেবেন। ওষুধের মধ্যে থাকে: 

 

  • বর্ধিত কোলেস্টরলের মাত্রা কমাতে সাধারণত

স্ট্যাটিন ব্যবহার করা হয়। যকৃতে কোলেস্টরলের উৎপাদন বন্ধ করে দেয় স্ট্যাটিন। 

 

  • যকৃতের ওপর পিসিএসকেনাইন ইনহিবিটরের মত ওষুধ ভাল কাজ করে এবং রক্ত এলডিএল মুক্ত করতে যকৃতকে সাহায্য করে। রক্তে

ট্রাইগ্লিসারাইড কমাতেও এই ওষুধ সাহায্য করে।

 

  • বাইল অ্যাসিড সিকোয়েসট্র্যান্ট (খাদ্যে গুণমান বাড়ায়) বাইল অ্যাসিডের ওপর প্রতিক্রিয়া করে রক্তে কোলেস্টরলের মাত্রা কমায়।।

 

  • নিয়াসিন (ভাইটামিন বি-৩ বা নিকোটিনিক অ্যাসিড)  এলডিএল ( খারাপ কোলেস্টরল) কমায় এবং  এইচডিএল ( ভাল কোলেস্টরল) বাড়ায়।

জীবনধারা পরিবর্তন 

  • খাদ্যতালিকায় পরিবর্তন 

 

০ ভেষজ জীবনশৈলী বলে যে ধারণা প্রচলিত আছে তা রক্তে খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী, নিম্নলিখিত খাদ্যতালিকা অনুসরণ করা উচিত: 

READ MORE:  হঠাৎ নাক দিয়ে রক্ত পড়ার কারণ এবং তার ঘরোয়া চিকিৎসা

 

০ আপনার দৈনিক প্রয়ােজনীয় ক্যালরির ৭% আসবে সম্পৃক্ত চর্বি (স্যাচুরেটেড ফ্যাটমাংস, ডেয়ারি পণ্য, অন্যন্য খাবারের সঙ্গে ভাজাভুজি) থেকে, এবং সামগ্রিকভাবে স্নেহজাতীয় খাদ্য থেকে আসবে দৈনিক

প্রয়ােজনীয় মােট ক্যালরির ৩৫% । দৈনিক ২০০ (মিগ্রা)কোলেস্টরল গ্রহণ

করা যেতে পারে। 

 

০ খাদ্যতালিকায় বেশি মাত্রায় থাকবে দ্রবণীয় তন্তু (ফাইবার) যার মধ্যে আছে শস্যদানা, ফল এবং শুটিজাতীয় সবজি (উদাহরণ: ওট, আপেল, কলা, নাসপাতি, কমলালেবু, রাজমা বা শিম, ডাল, ছােলা)। সবজি এবং ফলে দ্রবণীয় তন্তু (ফাইবার)কোলেস্টরল শােষণে বাধা দেয়। মাছে খুব ভাল পরিমাণে ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড আছে বলে হার্টের বিভিন্ন রােগ এবং হৃদরােগে আক্রান্ত হওয়া থেকে রক্ষা করে। 

 

০ সীমিত মাত্রায় লবণ এবং কম মদ্যপান রক্তচাপ এবং রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইড নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।