কী এবং কেন?স্বাস্থ্য

স্বাস্থ্য সাথী কার্ড চেক করুন খুবই সহজে

স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এক অনবদ্য প্রকল্প। এই প্রকল্পের সুবিধাগুলো হলো- 

 

১) সাধারণ মানুষের জন্য একেবারে বিনামূল্যে চিকিৎসা।

 

২) অসংখ্য লোক এই প্রকল্পের সুবিধা ভোগ করতে পারবে।

 

৩) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুই হাজার কুড়ি সালের ২৬ শে নভেম্বর এই প্রকল্পটি চালু করেছেন।

 

৪) তবে এই প্রকল্পটির আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১৬ সালে চালু করা হয়েছিল।

 

৫) এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সাথে সাথে সুবিধাভোগীরা স্বাস্থ্যবীমা কভারেজ ৫ লক্ষ টাকা পাবেন।

 

৬) তবে এর আগে প্রায় সাড়ে ৭.৫ কোটি মানুষ স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের আওতায় ছিল।

 

৭) সম্পূর্ণ প্রকল্প টি উপভোক্তা দের সুবিধার্থে ডিজাইন করা হয়েছে। এটি একটি কাগজবিহীন স্কিম অথবা প্রকল্পও।

 

৮) উপভোক্তা রা একটি স্মার্ট কার্ড পাবেন।

 

৯) হাসপাতালে থাকাকালীন রোগীর সকল রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং সমস্ত রকম প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র বিনামূল্যে দেওয়া হবে।

 

১০) ওই পরিষেবার অন্তর্গত পরিবারের অন্যান্য সদস্য এবং ওই পরিবারের সাথে যুক্ত নির্ভরশীল সন্তান সদস্যের সংখ্যা এবং বয়সের কোনো রকম সীমাবদ্ধতা নেই।

 

 

১১) এই প্রকল্পের পরিষেবা পাওয়া যাবে জেলার নথিভুক্ত সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে।

 

স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর জন্য ফর্ম কোথায় জমা দেবেন:

 

অনলাইনের মাধ্যমে ফর্ম ডাউনলোড করে সেটিকে ভালো করে ফিলাপ করে উপরে উল্লেখিত জরুরি ডকুমেন্টস গুলির জেরক্স কঁপি  ফর্ম য়ের সাথে যুক্ত করে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে স্বাস্থ্য সাথী কাউন্টারে জমা দিতে হবে আপনাকে।

 

দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে স্বাস্থ্য সাথী ফর্ম জমা দেওয়ার পর আপনার কাছে একটি এসএমএস আসবে, তার জন্য কিছুটা সময় লাগতে পারে। তারপর আপনাকে স্বাস্থ্য সাথীর এজেন্ট আপনার সাথে যোগাযোগ করবে। তারপর আপনার ফটো ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়া হবে। তারপরেই আপনি আপনার স্বাস্থ্য সাথী কার্ড অথবা স্বাস্থ্যসাথী স্মার্ট কার্ড আপনার হাতে পেয়ে যাবেন।

READ MORE:  এপেন্ডিক্স এর লক্ষণ এবং এপেন্ডিসাইটিস অপারেশন

 

স্বাস্থ্যসাথী লিস্টে আপনার নাম চেক করার পদ্ধতি

 

আপনি যদি স্বাস্থ্য সাথী কাদের জন্য ফর্ম ফিলাপ করে থাকেন তাহলে এই সহজ কটি পদক্ষেপের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন যে আপনার কার্ড হয়েছে কিনা অথবা লিস্টের নাম চেক করে নিতে পারেন:

 

১) প্রথমত আপনাকে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আসতে হবে। ওয়েবসাইটের নাম এই আর্টিকেলের ইমেজে লিখা রয়েছে। 

 

২) এরপর আপনাকে ফাইন্ড ইউর নেইম অপশনে ক্লিক করে আগে এগিয়ে যেতে হবে।

 

 

৩) তারপরে আপনার রেজিস্টার্ড মোবাইল নাম্বার অথবা আপনার পরিবারের যে কোনো সদস্যের মোবাইল নাম্বার দিতে হবে। তবে অবশ্যই সেই সদস্যের নাম যেন স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এ থাকে। তারপর সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন।

 

৪) নতুন একটি পেজ ওপেন হবে, সেখানে আপনার জেলার নাম, ব্লগ, মিউনিসিপালিটির নাম, ওয়ার্ড নাম্বাার, গ্রামের নাম, ইত্যাদি বসিয়ে সাবমিট বাটনে ক্লিক করতে হবে।

 

৫) এরপর আপনি অনায়াসেই দেখতে পাবেন আপনার নাম স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর লিস্টে আছে কিনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *