স্বাস্থ্য

সয়াবিন তেল এর বিকল্প কোন তেলগুলো হতে পারে?

সয়াবিল তেলের মূল্য রেকর্ড ছাড়িয়ে গিয়েছে বাংলাদেশে। ইউক্রেন-রাশিয়া সংকট এবং দেশীয় সিন্ডিকেট চক্রের কারণে হয়তো দাম আর কিছুদিন পর লিটার প্রতি ৫০০ টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে। এ সংকট সহজে নিরসন হবে বলে মনে হয় না। এমতাবস্থায়  সয়াবিন তেলের বিকল্প কি হতে পারে চলুন জেনে নেওয়া যাক।  

 

সরিষার তেল

 

সয়াবিন তেলের একটি সহজলভ্য বিকল্প সরিষার তেল। এতে মাত্র ৭ শতাংশ স্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে। এই তেলে ভিটামিন ‘ই’ এবং ‘কে’, উদ্ভিদ স্টেরলের মতো উপকারি উপাদান রয়েছে। হৃদপিণ্ড ভালো রাখতে সাহায্য করে। সরিষার তেলে রয়েছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। সুস্বাস্থ্যের জন্য যা বেশ উপকারি। 

 

নারিকেল তেল

 

আমাদের দেশে কেবল চুলের যত্নে নারিকেল তেল ব্যবহার করা হয়। বহু দেশেই কিন্তু রান্নার জন্যও এই তেল ব্যবহার করা হয়। খাবার হজম এবং দ্রুত দেহের শক্তি বৃদ্ধিতে দারুণ কাজ করে নারিকেল তেল। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে এটি। কেক, কুকিজের মতো বেকিং পদের জন্যও এই তেল ব্যবহার করা হয়। তবে নারিকেল তেলে স্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি থাকায় এটি পরিমিত খাওয়া উচিত।

 

চিনাবাদাম তেল

 

স্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় চিনাবাদাম তেল। চিনাবাদাম তেলে স্যাচুরেটেড ফ্যাট কম থাকে। এটি প্রাকৃতিকভাবে চর্বিমুক্ত। এটি রক্তনালীতে চর্বি জমা হ্রাস করে। সয়াবিনের পরিবর্তে এই তেল ব্যবহার করা যায়।

 

তিল তেল

 

খুব একটা ব্যবহার দেখা না গেলেও রান্নার ক্ষেত্রে তিলের তেল হতে পারে দারুণ একটি বিকল্প। এটি সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর। তবে বেকিং এর ক্ষেত্রে এই তেল এড়িয়ে চলাই ভালো। কারণ এটি সহজেই অন্যান্য স্বাদকে নষ্ট করে দিতে পারে।

 

সূর্যমুখী তেল

 

দেহের জন্য উপকারি সূর্যমুখী তেল। এটি বিপাক ক্রিয়া তরান্বিত করে। হৃদপিণ্ডজনিত রোগের ঝুঁকি কমায়। কোলেস্টেরলের মাত্রা কম থাকায় যারা ডায়েট করেন তাদের জন্য উপযোগী। সূর্যমুখী তেল উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায়। এতে থাকা অসম্পৃক্ত ফ্যাট দেহের ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায় এবং খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা কমায়।

READ MORE:  হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস সম্পর্কে আজই জানুন, নইলে বিপদ।

 

জলপাই তেল

 

রান্নায় জলাপাই তেল বা অলিভ অয়েলের ব্যবহারের ইতিহাস অনেক আগের। শত শত বছর ধরে ভূমধ্যসাগর অঞ্চলে এই তেল ব্যবহার করা হচ্ছে। আচ্ছাদিত জলপাই থেকে এই তেল তৈরি করা হয়। সয়াবিনের বিকল্প হিসেবে এই তেল ব্যবহার করা যায়। কোলেস্টেরল কম থাকায় এটি হৃদপিণ্ডজনিত রোগের ঝুঁকি কমায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *