কী এবং কেন?স্বাস্থ্য

ভাজা লবণ খাওয়ার উপকারিতা

কাঁচা লবণের অপকারিতা:

অতিরিক্ত লবণ খাওয়া হলে রক্তচাপ বৃদ্ধি, পেটে ক্যান্সার, স্থূলতা এমনকি হাঁপানির সমস্যা দেখা দেয়। অতিরিক্ত লবণ খাওয়া হলে হৃদয় ও কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে।

 

স্বাস্থ্য গবেষকদের মতে, রক্তসঞ্চালন প্রক্রিয়া ও স্নায়ুতন্ত্রের উপরেও খারাপ প্রভাব ফেলে কাঁচা লবণ।

খাবারের স্বাদ বৃদ্ধিতে লবণ যেমন প্রয়োজনীয় একটি উপাদান তেমনি দৈহিক স্বাভাবিক ক্রিয়াকলাপের জন্যও লবণ অপরিহার্য। তবে প্রয়োজনের অতিরিক্ত লবণ দেহের জন্য ক্ষতিকর৷

 

লবণ ভেজে বা টেলে খাওয়া কি উপকারী?

 

খাবার লবণের মূল উপাদান হলো সোডিয়াম ও ক্লোরাইড। এছাড়া আয়োডিনসহ বেশ কিছু খনিজ উপাদান অল্প পরিমাণে বিদ্যমান। বিভিন্ন খনিজের মধ্যে সোডিয়াম মানব দেহের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ তাই দৈনিক পরিমিত লবণ গ্রহণ করা উচিত৷ 

 

একজন সুস্থ মানুষের জন্য দৈনিক ১৫০০ থেকে ২৩০০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম প্রয়োজন, যা প্রায় ৫-৬ গ্রাম বা এক চা চামচ খাবার লবণে পাওয়া যায়। 

 

আমরা একজন স্বাভাবিক মানুষ দৈনিক তরকারিতে প্রায় ২০০০ থেকে ৩০০০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম গ্রহণ করে থাকি৷ তাই পাতে বা আলগা লবণ খাওয়ার প্রয়োজন হয় না৷ তবুও স্বভাববশত বা স্বাদ বৃদ্ধির জন্য অনেকে কাঁচা লবণ খেয়ে থাকি, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। 

 

যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে তাদের জন্য কাঁচা লবণ গ্রহণ করা একেবারে অনুচিত। এটি উচ্চ রক্তচাপ ও এর ফলে সৃষ্ট বিভিন্ন রোগ যেমন হৃদরোগ, স্ট্রোক ও কিডনিরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়৷

 

অনেকে আছেন যারা কাঁচা লবণ খাওয়া ছাড়তে পারেন না। ফলে লবণকে ভেজে বা টেলে সেটি খাবারের সাথে গ্রহণ করেন। এটি কি স্বাস্থ্যসম্মত? উত্তর হচ্ছে না।

 

লবণ ভাজলে বা টেলে নিলেও এতে সোডিয়াম থেকে যায়, যা প্রয়োজনের অতিরিক্ত গ্রহণে সমস্যা সৃষ্টি করে৷ তাই পাতে কাঁচা এবং ভেজে বা টেলে লবণ গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে। 

READ MORE:  ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ, করণীয় এবং প্রতিরোধ

 

আবার অনেকে আছেন যারা পাতে লবণ খাওয়া বলতে শুধু ভাতের সাথে আলগা লবণ খাওয়াকে বোঝে থাকেন। কিন্তু ভাতের সাথে খাওয়া ছাড়াও আমরা অনেক লবণ খেয়ে থাকি, যা হিসাবের মধ্যে রাখি না।

 

ভর্তা বা সালাদ বানাতে লবণ ব্যবহার করি। বাদাম ও ঝালমুড়িসহ এ জাতীয় খাবারের সাথে। শসা, গাজর, পেয়ারা, আমড়া ও জাম্বুরাসহ বিভিন্ন ফল খাওয়ার সময় প্রচুর লবণ খেয়ে থাকি। এসব খাবারের সাথেও লবণ বর্জন করা উচিত বা খুব অল্প পরিমাণে খাওয়া উচিত। আর যাদের ডাক্তারের নিষেধ আছে তাদের বর্জন করাই শ্রেয়। 

 

এছাড়া বিভিন্ন প্যাকেটজাত, প্রক্রিয়াজাত খাবারে প্রচুর পরিমাণে লবণ থাকে৷ যেমন: চিপস, চানাচুর, সসেজ, নাগেট, সয়া সস ও টমেটো সস ইত্যাদিতে৷ এগুলো এড়িয়ে চলা উচিত৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *