স্বাস্থ্য

পায়ের কড়া দূর করার উপায় কি?

পায়ে কড়া কি?

 

ত্বকের একটি নির্দিষ্ট অংশে অনবরত ঘর্ষণ বা চাপ পড়ার কারণে কড়া পড়ে। আবার ত্বক কেটে যাওয়া থেকেও কড়া তৈরি হতে পারে, যা সাধারণ কড়া থেকে বেশি যন্ত্রণা দেয়।

 

সাধারণত পায়ের পাতা, গোড়ালি, কনুই, হাত কিংবা পায়ের আঙুলে দেখা দেয়। সাধারণ কড়ার আকৃতি বিভিন্ন রকম হলেও ব্যথা হয় এমন কড়া বৃত্তাকারই হয় বেশি।

পায়ে কড়া বা শুধু মাত্র কড়া হল পায়ের একটি অংশের চামড়া যা অতিরিক্ত ঘর্ষণ বা চাপের ফলে। পুরু হয়ে গেছে। এটি বেশীরভাগ ক্ষেত্রে সঠিক জুতাে পড়া বা ভালােভাবে পায়ের যত্ন না নেওয়ার কারণে হয়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভারতবর্ষে ১০.৬৫ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে আনুমানিক ২.৬ কোটি এই রােগে আক্রান্ত।

 

এর প্রধান কারণ ও উপসর্গগুলি কি?

 

পায়ে কড়ার লক্ষণগুলি শুধুমাত্র আক্রান্ত অংশেই দেখা যায়। এই লক্ষণগুলি হল:

  • চামড়া শক্ত হয়ে যাওয়া 
  • আক্রান্ত অংশে বৃত্তাকার বা গােলাকার আকৃতি দেখা দেওয়া
  • ব্যথা 
  • আক্রান্ত অংশটি সাদাটে, হলদেটে বা ফ্যাকাশে হওয়া 
  • হাঁটতে অসুবিধা হওয়া

 

এর প্রধান কারণগুলি কি?

 

পায়ে কড়া প্রধানত সঠিক জুতাে ব্যবহার না কড়া এবং বারংবার পায়ের চামড়ার সাথে জুতাের ঘর্ষণের ফলে তৈরি হয়। উচু হিল তােলা জুতাে পায়ে বেশী চাপ ফেলে যার ফলে এই পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে। পায়ের আঙ্গুলের অস্বভাবিকতা যেমন হাতুড়ির বা পশুপাখির নখের মত পায়ের আঙ্গুলের কারণেও পায়ের কড়া হতে পারে।

 

এটিকে কিভাবে সনাক্ত এবং চিকিৎসা করা হয়? 

 

এটির চিকিৎসা মূলত চিকিৎসক বা পােডিইয়াট্রিসটরা করে থাকে।এর জন্য পায়ের পরীক্ষা এবং রােগীর চিকিৎসা ইতিহাস গ্রহণ করা হয়। পায়ের কড়া সহজেই পা দেখে সনাক্ত করা যায়। কড়ার চিকিৎসা করার জন্য পায়ে রক্ত বা ছবি পরীক্ষা করার প্রয়ােজন কখনওই হয় না। চিকিৎসকরা স্ক্র্যাপিং বা চেঁছে ফেলার মাধ্যমে শক্ত অংশটি সরিয়ে এর চিকিৎসা করে। রােগটি প্রতিরােধ করার জন্য ডায়বেটিস ও এর মতাে কিছু অন্তরনিহিত অবস্থাকে প্রতিহত করা দরকার। পায়ের কড়ার চিকিৎসা করার জন্য বিশেষ কোন চিকিৎসা পদ্ধতির দরকার হয়না, কেবল মাত্র একটু বেশি পায়ের যত্নও ঘর্ষণ যাতে কম হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে। 

 

নিজের যত্ন নেওয়ার জন্য টিপস:

 

  • জুতাে এবং চামড়া / সােলের মধ্যে ঘর্ষণ কমাতে টাইট জুতাে পরা এড়িয়ে চলুন।
  • সর্বদা আরামদায়ক জুতাে পরুন, যে কোন জায়গায়

খালি পায়ে না যাওয়াই ভালাে।

  • আক্রান্ত জায়গাটিতে আরাম দিতে আঙ্গুলের মাঝে

উল ব্যবহার করা যেতে পারে। 

  • আক্রান্ত পায়ের আঙ্গুলটির চারপাশে ব্যাথা ও চাপ

কমাতে পায়ের নখ কেটে ছােট করে রাখুন।

  • একটি পাত্রে গরম জল নিয়ে তাতে ২০ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখতে পারেন ও তারপর একটি পিউমিক স্টোন বা ঝামা দিয়ে জায়গাটি ঘষতে পারেন। 
  • কড়া ও তার পার্শ্ববর্তী জায়গাটি নরম রাখার জন্য মইশ্চারাইজার ব্যাবহার করতে পারেন।

সর্বোপরি, পায়ের কড়া এমন একটি অবস্থা যা যত্ন নিলে সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link