লজ্জাস্থানের কালো দাগ দূর করার উপায় বিস্তারিত

মানুষ স্বভাবতই লজ্জাস্থান নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলতে বা কারাে কাছে শেয়ার করতে সাচ্ছন্দবোধ করে না। হ্যা, তবে কোন সমস্যা থাকলে অবশ্যই সমস্যার কারণ জানতে হবে ও সমস্যার সমাধান করতে হবে। লজ্জাস্থান বা ঘনিষ্ঠ এলাকাগুলাে কালাে হওয়ার অনেকটা স্বাভাবিক। তবে এ নিয়ে উদ্বেগ না থাকলেও অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে লজ্জা স্থান কালাে কেন এবং লজ্জাস্থানের কালাে দাগ দূর করার উপায় কি?

আজকের লেখাজুড়ে আলােচনা করবাে- লজ্জাস্থান ও আশপাশের স্কিন কালাে হওয়ার কারণ, লজজা/স্থানের কালাে দাগ দূর করার উপায়, ক্রিম ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ

 

লজ্জাস্থান কালাে হওয়ার কারণ কি?

লজ্জা স্থান কালাে হওয়া একটি নরমাল বিষয়। তবে বিভিন্ন কারনে আমাদের লজ্জাস্থান কালাে হয়ে থাকে চলুন যেন আসি এর ধারা গুলো,

ঘর্ষণ

আমাদের লজ্জাস্থান বা অন্তরঙ্গ এলাকাগুলাে কালাে হওয়ার অন্যতম কারণ হতুে ঘর্ষণ। শুধুমাত্র টাইট অন্তর্বাস বা টাইট পােশাকের কারনে এটি হয় এমন না। দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজ যেমন- ব্যায়াম, সে-ক্স, এমনকি হাটার কারনে এমন হতে পারে। তাই অনেক সময় চাইলেও এড়ানাে যায় না।

ঘাম

আমাদের স্কিনের রঙ পরিবর্তনের জন্য ঘাম বিশেষ ভাবে দায়ী। আপনি যদি অনেক বেশি ঘামেন তবে আপনি খেয়াল করবেন আপনার লজ্জাস্থান ও এর আশপাশের এলাকায় একটি গাঢ় রঙ ধারন করেছে।

বয়স

বয়সের সাথে সাথে আমাদের শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গের ও স্কিনে পরিবর্তন আসে। যৌবন কালে মানুষকে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় লাগে। বয়সের সাথে সাথে শরীরের কিছু অংশ কালাে হতে শুরু করে।

বিশুদ্ধ বাতাসের অভাব

শুধু মাত্র শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্যই বিশুদ্ধ বাতাস প্রয়ােজন না। লজ্জা স্থানের হেফাজত, পর্দা করা আমাদের দায়িত্ব আর তাই বেশিরভাগ সময় আমাদের শরীরের লজ্জাস্থান ও গােপনতা কাপড় দ্বারা আবৃত করে রাখা হয়। যা অনেক সময় পর্যাপ্ত বাতাস যেতে দেয় না। আর এর কারনে আমাদের লজ্জাস্থানের রঙ পরিবর্তন হতে পারে।

READ MORE:  মাংসপেশি সুদৃঢ় করতে খান এই ১০টি খাবার

সেভিং

শরীরের অবাঞ্ছিত লােম নিয়মিত পরিষ্কার করা উচিত। অন্যথায় এ থেকে আমাদের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। তবে সেভ করার সময় ব্যবহৃত নানা কেমিক্যাল ও শেভিং ক্রিম ও লােশনে থাকা রাসায়নিক এর কারনের ত্বকের ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি লজ্জা স্থানের চারপাস কালাে ও জ্বালাপােড়া হতে পারে।

 

 

লজ্জাস্থানের কালাে দাগ দূর করার ৫ টি উপায়:

 

 

১. লেবু ও দইয়ের পেস্ট

লেবুতে প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে যা আপনার স্কিন উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। আপনার পিউবিক এলাকার ত্বকের কালাে দাগ দূর করতে এটি বেশ দারুণ কাজ করে। লজ্জাস্থানের কালাে দাগ কুরতে একটি বাটিতে ১টি লেবুর রস নিন এবার লেবুর রসের সাথে দুই চা চামচ দই মিশিয়ে পেস্টের মত তৈরি করে কালাে স্কিনে লাগান। এভাবে ১৫ মিনিট রেখে দিন এবং নরমল পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। শেভ করলে সেদিন ব্যবহার না করে দুই একদিন পরে করুন অন্যথায় সামান্য জ্বালাপােড়া করতে পারে। পাশাপাশি এটি আপনার ত্বক নরম ও হাইড্রেটড রাখতে একটি ভালাে মানের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।

২. শসার রস

ত্বকের যত্নে শসার বহুল ব্যবহার আমাদের অনেকেরই জানা আছে। অনেকের মতে এটি প্রাকৃতিক স্কিন লাইটনার। শসায় রয়েছে ভিটামিন এ যা মেলানিন উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে এবং আমাদের ত্বকের কালাে ভাব কমাতে সাহায্য করে। একটি শসা নিন এবং ঘেঁতাে করে পিউবিক অঞ্চলের চারপাশে লাগান। ১৫ মিনিট এভাবে রেখে দিন এবং পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আপনি চাইলে দিনে দুইবার প্রয়ােগ করতে পারেন।

৩. হলুদ ও দই

হলুদে রয়েছে প্রদাহ প্রতিরােধী ও অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্য। পাশাপাশি এটি আমাদের স্কিনকে হালকা করে। আপনার লজ্জাস্থানের কালাে দাগ দূর করার জন্য এক চামচ হলুদ গুঁড়াে এবং এক চা চামচ দই ও সাথে দুই চামচ লেবুর রস নিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে লজ্জাস্থানের কালাে যায়গায় লপ্পান৷ ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলিন। দিনে একবার ব্যবহার করতে পারেন। নিয়মিত ব্যবহারে খুব শীগ্রই ভালাে ফল পাবেন।

READ MORE:  রাতে ঘুম আসে না? তাহলে লিখাটি আপনার জন্যই

৪. এলভেরা

স্কিনের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে এলভেরার বহুল ব্যবহার দেখা যায়। এটি আমাদের দ্বককে প্রশমিত করে এবং হালকা করে তােলে। একটি এলভেরা গাছের পাতা নিয়ে জেল বের করে নিন এবং এই লেজ আপনার লজ্জাস্থানের কালাে দ্বকে লাগান। ৩০ মিনিট রেখে দিন এবং পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

৫. ঢিলাঢালা পােশাক

নিজের বাহ্যিক সৌন্দর্য প্রকাশ করতে আমরা অনেকেই তাই জামাকাপড় পরে থাকি। এগুলাে না করে সঠিক মানাসই পােশাক পড়ন। বিশেষ করে টাইট জিন্স, ও পলিস্টারের আন্ডারওয়্যার পড়া থেকে বিরত থাকুন। এছাড়া রাতে ঘুমানাের সময় ও বাসায় আন্ডারওয়্যার ছাড়া (খােলামেলা নয়) পােশাক পড়ন।

 

 

লজ্জাস্থানের কালাে দাগ দূর করার ক্রিম

বর্তমানে লজ্জাস্থানের কালাে দাগ দূর করার জন্য বাজারে নানা ধরনের ক্রিম পাওয়া যায়। তবে এই সকল ক্রিম নানা রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে তৈরি। গােপন অঙ্গ ও এর আশপাশের এলাকা খুবই সংবেদনশীল তাই এই সকল ক্রিম জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়াতে পারে। তাই ঘরােয়া পদ্ধতি চেষ্টা করুন।