ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এন্টিবায়োটিক সেবন করছেন কোন লাভ হচ্ছে কি?

অ্যান্টিবায়োটিক এমন এক ধরনের ঔষধ যা ব্যাকটেরিয়া কে ধ্বংস করে। প্রথম লাইনটি আবার খেয়াল করে পড়লে আমরা দেখতে পারবো, এন্টিবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া কে ধ্বংস করে ভাইরাস কে নয়। তাই ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগের জন্য এন্টিবায়োটিক কার্যকরী পথ্য কিন্তু ভাইরাস ঘটিত রোগের জন্য নয়। এখানে লক্ষ্যনীয় যে, ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস দুই ধরনের রোগের কথা উল্লেখ আছে। আর একজন সাধারন মানুষ কিভাবে নির্ধারণ করবে যে তার হওয়ার রোগটি ভাইরাস ঘটিত না ব্যাকটেরিয়া ঘটিত? এর জন্য ডাক্তারের পরামর্শের বিকল্প নেই। আবার ডাক্তারের পরামর্শ নিতে গেলেও দেখা যায় ডাক্তার বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা দেন।ডাক্তার কেন এত পরীক্ষা-নিরীক্ষা দিচ্ছে এই ভেবে রোগীরা অনেক সময় রেগে রেগে যান। ডাক্তাররা পরীক্ষা-নিরীক্ষা দেন রোগ নির্ণয়ের জন্য। পৃথিবীতে শতশত ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া ঘুরে বেড়াচ্ছে। একারণেই একজন ডাক্তার যত অভিজ্ঞ হনই না কেন পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া ঠিক কোন ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে রোগীর  নির্দিষ্ট রোগটি হয়েছে তার পক্ষে নির্ণয় করা সম্ভব হয় না। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ডাক্তার বুঝতে পারেন রোগের কারণ। সে মোতাবেক তিনি রোগীকে প্রেসক্রাইবড করেন।

একজন ডাক্তারের এত এত পরীক্ষা-নিরীক্ষা অতঃপর রোগীকে নানা রকম প্রশ্ন, এত দীর্ঘ প্রণালী অবলম্বন করে তারপর প্রেসক্রাইবড করার একটি কারণ- রোগীর যে রোগটি হয়েছে  সেই রোগের জন্য ঠিক ওষুধটি যেন রোগীর শরীরে পড়ে। রোগ নির্ণয় না করে রোগীর শরীরে ঠিক ওষুধটি না পড়লে তো সে ঔষধ সেবন করার  কোনো মূল্যই নেই। 

 

তাহলে একবার সুস্থ মাথায় চিন্তা করুন একজন অভিজ্ঞ ডাক্তার যদি এত ঝক্কি ঝামেলা করে যে রোগটি নির্ধারণ করছেন, আপনি নিজের খেয়াল-খুশি মতো কোনো রকম রোগের কারণ নির্ধারণ ছাড়া একটি অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করলে কোন লাভ হচ্ছে কিনা? হয়তো আপনার ভাইরাস ঘটিত কোন রোগ হয়েছে আর  আপনি এন্টিবায়োটিক খেয়ে বসে আছেন। তাহলে এই এন্টিবায়োটিক কেনা থেকে শুরু করে সেবন করা  পর্যন্ত আপনার কি কোন লাভ হচ্ছে? আদতে কোন লাভ হচ্ছে না বরং ভুল ওষুধ সেবন করলে  হিতে বিপরীত হতে পারে এ তো সবাই জানেন। নানান রকম জটিল রোগেরও সৃষ্টি হতে পারে ভুল ওষুধ সেবনের কারণে। 

READ MORE:  জেনে নিন চুল সিল্কি করার ঘরোয়া উপায়

 

এ কারণেই ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত সামান্য জ্বর ঠান্ডার জন্য আমাদের সমাজে যেসব ওষুধ জাতীয় ওষুধে পরিণত হয়েছে (যেমন: নাপা, প্যারাসিটাম ইত্যাদি ) সেগুলো সেবন করা উচিত নয়।