কনুই এর কালো দাগ দূর করুন ঘরোয়া পদ্ধতিতে
কনুই এর কালো দাগ
আমাদের শরীরের এক অবহেলিত অংশ হচ্ছে হাতের কনুই। শরীরের অন্যান্য অংশের ত্বকের যত্নের দিকে মনোযোগী হলেও আমরা হাতের গুরুত্বপূর্ণ এ অংশের সঠিক যত্ন নিই না। যার দরুন হাতের কনুইয়ের অংশটি হয়ে থাকে কালচে, শুকনো। এমনকি অল্পবয়সেই কনুই এর চামড়া ঝুলে গিয়ে বিশ্রী আকার ধারণ করে। যা মানুষের সামনে আমাদের অস্বস্তির মধ্যে ফেলতে পারে।
কনুই এর কালো দাগ কেন হয়?
কনুই এর অংশের ত্বক হাতের অন্য অংশের ত্বক থেকে বেশি পুরু। তাই হাতের বা শরীরের অন্যান্য অংশের ত্বকের যত্নে আমরা যে ধরনের মুয়শ্চারাইজার ব্যবহার করি ঐ একই ধরনের ময়শ্চারাইজার কনুই এর ত্বকের জন্য যথেষ্ট নয়। ফলে যখন আমরা শরীরের অন্যান্য অংশের মতো একই ধরনের যত্ন কনুই এর ত্বকেও নিয়ে থাকি তখন কনুই এর মোটা চামড়ার অতিরিক্ত মেলানিন এত ত্বককে কালো করে ফেলে এবং বেশি শুকনো করে ফেলে। এজন্য চামড়া ঝুলে যায়।
প্রতিকার
এবার আমরা জেনে নিব কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি যেগুলো সঠিকভাবে ব্যবহার করলে দামি ময়শ্চারাইজার ছাড়াও কনুই এর এ অস্বস্তিকর কালো দাগ খুব দ্রুত দূর করা যায়। উল্লেখ্য – ঘরোয়া পদ্ধতি গুলোর জন্য দরকারী উপাদান গুলো আমাদের নাগালের মধ্যেই আশেপাশে সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া যাবে।
১.শসা
প্রথমে কনুই এর কালো অংশে লেবুর রস লাগাতে হবে। তারপর মোটা করে কাটা শসার টুকরা কনুই এ এবং এর আশেপাশে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ১০ মিনিট ধরে ভালো করে ঘষতে হবে। ১০ মিনিট পরে শসা ও লেবুর রসের যে মিশ্রণে থাকবে তা ৫ মিনিট ধরে রাখতে হবে। অতঃপর তা কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এ নিয়ম প্রতিদিন মেনে চললে কয়েকদিন পরেই দেখা যাবে কনুইয়ের কালো দাগ কমতে শুরু করেছে।
২.পাতিলেবু
একটি পাতিলেবু ঠিক মাঝ বরাবর কেটে সমান দুই টুকরা করতে হবে। তারপর প্রতি টুকরা থেকে রস বের করে টুকরা দারুচিনি মাখিয়ে নিতে হবে তারপর কোন এর কালচে অংশে সিনেমা খালি পাতি লেবুর টুকরা দ্বয়ে ঘষতে হবে। ৫ মিনিট ঘষার পর ৩০ মিনিট এ অবস্থায় রেখে দিতে হবে। অতঃপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। ধুয়ে ফেলার পর কনুই এর ত্বক শরীরের অন্যান্য ত্বকের জন্য লাগানো ময়েশ্চারাইজার লাগানোর মতো উপযোগী হবে।
৩.দুধের সর ও হলুদ
কনুই এর মোটা চামড়ায় যে অতিরিক্ত মেলানিন সৃষ্টি হয় হলুদ তা রোধ করে। একটি বাটিতে দুধের সর ও বাঁটা হলুদ নিয়ে পেস্ট তৈরি করতে হবে। তারপর এ পেস্ট ৫ মিনিট ধরে কনুই এ ভালোভাবে ঘষে ২০ মিনিট রেখে দিতে হবে। তারপর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
উল্লেখ্য, নারিকেল তেল অথবা অলিভ ওয়েল ময়শ্চারাইজার হিসেবে ভালো কাজ করে।