জেনে নিন নখ দেবে যাওয়া বা কুনি নখের বিস্তারিত
কুনি নখ কি?
নখের কোনা দেবে যাওয়াই হলো কুনি নখ। আমাদের সবারই জীবনে একবার হলেও এ সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে। কুনি নখের কারণে নখের কোনা ফুলে গিয়ে নখ ভিতরের দিকে দেবে যায়, আশেপাশের লাল হয়ে রক্ত জমাট বাঁধে। এমনকি নখের গোড়ায় পুঁজ ও জমতে পারে। এর ফলে সৃষ্টি হয় তীব্র ব্যথা। এ ব্যথা এতটাই তীব্র যে অনেকের শরীরে জ্বর পর্যন্ত চলে আসে কুনি নখ এর কারণে ।
কুনি নখের কারন:
নানা কারণে কুনি নখের সৃষ্টি হতে পারে। প্রধানত নখের গোড়ায় ময়লা জমলে কুনি নখ এর সৃষ্টি হয়। এছাড়াও নখের কোনায় আঘাত লাগলে, বিপজ্জনকভাবে নখ কামড়ানো, মানুষের কোন ভরা থাকলে, নখের কোনা বড় রাখলেও কুনি নখের সৃষ্টি হতে পারে। আবার প্রতিনিয়ত অনক ও এর নিচের তোকে যে প্রোটিন স্তর তৈরি হতে থাকে এদের মধ্যে অসামঞ্জস্যতা দেখা দিলেও কুনি নখের সৃষ্টি হতে পারে।
কুনি নখ প্রতিরোধে করণীয়:
১. হাত পায়ের নখ সর্বদা পরিস্কার রাখতে হবে।
২. বাইরে থেকে আসার পর হালকা গরম পানি দিয়ে হাত পা যত্নসহকারে ধুতে হবে।
৩. দাঁত দিয়ে নখ কাটার অভ্যাস পরিত্যাগ করতে হবে।
৪. নখ কাটার সময় সাবধানে নখ কাটতে হবে। নখের কোনা যাতে বড় না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
কুনি নখের প্রতিকার:
কোন কারণে কুনি নখের সৃষ্টি হলে প্রথমেই ডাক্তারের কাছে না গিয়ে ঘরোয়া কিছু পন্থা অবলম্বন করা যেতে পারে। পরীক্ষামুলকভাবে এসব পন্থা কার্যকরী বলে বিবেচিত হয়েছে। যেমন :
১. আক্রান্ত স্থানে ১/২ ফোঁটা লেবুর রস লাগিয়ে আধাঘন্টা পর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। দিনে দুইবার। আশা করা যায় দ্রুত কুনি নখ ভালো হয়ে যাবে।
২. আক্রান্ত স্থানে নারিকেল তেল লাগিয়ে ২০ মিনিট পর যেকোনো একটি ফেসওয়াশ দিয়ে সম্পূর্ণ নখটি ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে ব্যথা কমবে এবং এবং কয়েক দিনের মধ্যে কুনি নখ ভালো হয়ে যাবে বলে আশা করা যায়। নারিকেল তেল এর স্থলে অলিভ অয়েলও ব্যবহার করা যায়।
৩. প্রথমে শ্যাম্পু দিয়ে আক্রান্ত স্থান ধুয়ে ফেলতে হবে। অতঃপর পানির সাথে বেকিং সোডা মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে আক্রান্ত স্থানে ২০ মিনিটের মতো লাগিয়ে রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে এতে ব্যথার উপশম হবে।
৪. ঘুমাতে যাওয়ার আগে ও সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর ২০ মিনিট করে গরম কাপড় দিয়ে আক্রান্ত স্থানে সেঁক দিলে আরাম পাওয়া যায়।
তবে আক্রান্ত স্থানে পুঁজ জমলে, আক্রান্ত স্থান থেকে রক্ত বের হলে, রোগী ডায়াবেটিসের রোগী হলে অবশ্যই দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।