যে কোন পরিবেশকে যে কোন সময় গরম বা ঠাণ্ডা করা কি সম্ভব?

হ্যাঁ সম্ভব। কীভাবে? আসুন দেখি।

শুরুটা করতে চাই বাস্তব একটি অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে। জানুয়ারি মাসে প্রচন্ড ঠান্ডা পড়ে। আর আমার রাতে নামাজ পড়ার অভ্যাস ছিল, সেটি অনেক সময় ১০ টা কিংবা ১১ টায়ও গড়াত। আমি যে এলাকায় থাকি সেখানে প্রচুর ঠাণ্ডা তার উপর থাকি টপ ফ্লোরে। তাই ঠান্ডায় কাবু হওয়ার মত অবস্থা। আর সেই ঠান্ডায় আমি যখন ওযু করতে যেতাম। তখন ঠান্ডা পানি ধরতেও ভয় পেতাম। কিন্তু হটাত একদিন অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম, ওজু করার পর রুমে এসে আগের মত আর ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে না তারই সাথে উষ্ণ এক প্রভাব রুমে লক্ষ্য করলাম। স্বাভাবিকভাবেই মনে প্রশ্ন জাগবে গরম লাগছে কেনাে?
রুমে তাপমাত্রা কি বেড়ে গেল! না, প্রকৃতপক্ষে কোন কিছুই চেঞ্জ হয়নি তাপমাত্রা আগের মতই আছে রুমের ভেতরে এবং বাইরে।
তাহলে কি হয়েছিল?

আসলে যা হয়েছিল সেদিন। রুমের তাপমাত্রা যদি সেদিন ধরে থাকি ১২ ডিগ্রী সেলসিয়াস, যেখানে আমি জবুথবু অবস্থায় বসে ছিলাম। কিন্তু যখন পানির সংস্পর্শে এসে ছিলাম সেই পানির সাপ্লাই হচ্ছিল বাহির থেকে অর্থাৎ, পানির ট্যাংক ছিল ছাদের প্রচণ্ড ঠান্ডায়। নিশ্চিতভাবেই ট্যাংকের পানির তাপমাত্রাও বাইরের প্রকৃতির সাথে কমে গিয়েছিল অথাৎ পানির তাপমাত্রা হয়তাে ছিল ১০ থেকে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা রুমের তাপমাত্রা থেকে কম। ( রুমের তাপমাত্রা অবশ্যই বাহিরের তাপমাত্রা থেকে বেশি ছিল কারন রুমের দরজা জানালা বন্ধ থাকায় তা কিছুটা তাপ ধারণ করেছে। তাই কম তাপমাত্রার পানি ব্যবহারের ফলে আমার দেহ ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে মানিয়ে নিয়ে ছিল। আর যখন ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে বেশি তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রির রুমে প্রবেশ করি তখন গরম অনুভূত হয়েছে।
তাহলে মূল বিষয়টি দাঁড়াচ্ছে সাপেক্ষ বিবেচনা। কোন পরিবেশকে ঠাণ্ডা পেতে চাইলে তার থেকে অধিক গরম পরিবেশ থেকে সেখানে প্রবেশ করতে হবে। ঠিক একই ভাবে কোন পরিবেশ গরম পেতে চাইলে তার থেকে অধিক ঠাণ্ডা পরিবেশ থেকে সেই পরিবেশে প্রবেশ করতে হবে।

READ MORE:  ভয়ংকর সুন্দর সুন্দরবন চলুন ঘুরে আসা যাক