নিয়মিত হাঁটা কি ওষুধের মতো কাজ করে?
ইংরেজিতে একটি প্রবাদ আছে, ” Walking is the best medicine “.কথাটা কি সত্য? হাঁটা আবার কিভাবে ওষুধের মতো কাজ করতে পারে? হাঁটার মাধ্যমে আমাদের শরীরের কেমন উপকার হয়? কীভাবে হয়? চলুন জেনে আসি। হাঁটার উপকারিতা
হাঁটার উপকারিতা
বিশ্বের স্বাস্থ্য গবেষকদের মতে হাঁটা আমাদের শরীরের সুস্থতার জন্য অপরিসীম ভূমিকা পালন করে। নিয়মিত যদি কেউ হাঁটে তবে তার হৃদপিণ্ড সুস্থ থাকে। ফুসফুসের কর্মক্ষমতা বাড়ে হাঁটার ফলে। অনেক রকম গবেষণা থেকে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে নিয়মিত হাঁটলে স্ট্রোক, ডায়বেটিস ও রক্তচাপের মতো মরণব্যধি থেকে মুক্ত থাকা যায়। শুধুই কি শারীরিক সুস্থতা? মানসিক ভাবে সুস্থ থাকতে চাইলেও আমাদের অবশ্যই হাঁটতে হবে। নিয়মিত হাঁটলে দেহের কর্মক্ষমতা বাড়ে। মানুষ নিরোগ হয়। দেহের অক্সিজেন গ্রহণ ক্ষমতাও বাড়ে হাঁটার ফলে। ডাক্তাররা বলেন, যারা টানা তিন ঘন্টা দ্রুত গতিতে হাঁটেন তাদের দেহের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে। হৃদপিণ্ড হয় সুস্থ সবল, কর্মক্ষমতা বাড়ে হৃদপিণ্ডের। নিয়মিত হাঁটলে শরীরে কোলেস্টেরল এর ভারসাম্য বজায় থাকে, এলডিএল এর পরিমাণ কমে এবং এইচডিএল এর পরিমাণ বাড়ে। এতে শরীর সুস্থ থাকে। নিয়মিত হাঁটলে প্রাণবন্ত থাকা যায়। যারা সপ্তাহে ৪-৫ দিম জোরে হাঁটে তাহলে তাদের ডায়বেটিস আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত কম। আর যারা উচ্চ রক্তচাপ, ডায়বেটিস এসব রোগে আক্রান্ত, তারা যদি নিয়মিত হাঁটে তবে তাদের ডায়বেটিস, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই চিকিৎসকরা এসব রোগে আক্রান্ত রোগীদের নিয়মিত হাঁটার পরামর্শ দেন। নিয়মিত হাঁটলে কোলন ক্যান্সার ও মহিলাদের স্তন ক্যান্সার প্রতিহত হয়। নিয়মিত হাঁটলে হাড় ক্ষয় রোধ হয়, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়। নিয়মিত হাঁটলে মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক থাকে। ফলে মস্তিষ্ক অধিকতর কর্মক্ষম হয়ে ওঠে। এছাড়াও নিয়মিত সকাল বিকাল হাঁটলে আপনি দেখবেন আপনার মনে এক ধরনের সুখানুভূতি তৈরি হবে। আপনার স্ট্রেস কমে যাবে, আপনি হবেন প্রাণবন্ত। হাঁটার ফলে মানুষের বিষণ্নতা দূর হয়। দিনে বেশি হাঁটলে রাতে ভালো ঘুমও হয়। হাঁটার ফলে মানুষের আয়ু বৃদ্ধি হয়। হাঁটার উপকারিতা
সুস্থ থাকতে চাইল জোরে হাঁটতে হবে দিনে অত্যন্ত ৩৫ মিনিট। প্রতিদিন হাঁটলে আপনি যেমন হবেন প্রাণবন্ত তেমনি আপনার পরবর্তী প্রজন্মও হবে সুস্থ সবল। তাই সুস্থ থাকতে চাইলে নিয়মিত হাঁটুন।