আপনিও কি Sapiosexual?

বাহ্যিক সৌন্দর্য্য নয় বুদ্ধিমত্তা দেখে বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকৃষ্ট হওয়াকেই  Sapiosexual বলে। স্যাপিওসেক্সুয়ালিটির  এই সাধারণ সঙ্গা দেখেই অনেকে হয়তোবা নিজেদেরকে স্যাপিওসেক্সুয়াল (Sapiosexual) বলে দাবি করতে পারেন। কিন্তু একজন ব্যক্তি আসলেই স্যাপিওসেক্সুয়াল (Sapiosexual) কিনা এবার এ বিষয়ে আমরা বিস্তারিত জানার চেষ্টা করব। 

 

সর্বপ্রথমে বলতে হবে যে স্যাপিওসেক্সুয়ালরা লাভ এন্ড ফার্স্ট সাইট এ বিশ্বাসী হবেন না। কারণ তারা কারও শারীরিক সৌন্দর্য্য বা চেহারা দেখে নয় বরং তার বুদ্ধিমত্তা, তার ব্যক্তিত্ব দেখে তার প্রেমে পড়ে। আর একজন মানুষের ব্যক্তিত্ব প্রথম দেখাতেই সম্পূর্ণ বুঝতে পারা সম্ভব নয়। এর জন্য সময় দরকার। দরকার একাধিকবার সাক্ষাৎ। 

 

স্যাপিওসেক্সুয়ালরা প্রথম দেখাতেই কারো প্রতি আকর্ষণ অনুভব করেন না। পরবর্তীতে তার প্রতি হয়তোবা সে প্রেম অনুভব করবে কিন্তু প্রথম দেখাতে এ বিষয়ে কোন মনস্তত্ত্ব তার কাজই করে না। একাধিকবার দেখা হওয়া বা আলোচনার সময় স্যাপিওসেক্সুয়ালরা তার সঙ্গীর ব্যক্তিত্ব, গভীরভাবে চিন্তা করার পদ্ধতি, স্রোতের বিপরীতে প্রশ্ন ছুড়ে দেওয়ার অ্যাপ্রোচ সর্বোপরি তাঁর বুদ্ধিমত্তাকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে। দিনের পর দিন ধীরে ধীরে সঙ্গীর এসব মানসিক দৃষ্টিভঙ্গি স্যাপিওসেক্সুয়ালদের আকর্ষণ করে এবং এক পর্যায়ে তারা প্রেমে পড়ে যায়। তবে স্যাপিওসেক্সুয়ালরা অত্যধিক বুদ্ধিমান কাউকে আবার পছন্দ করেনা। ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, স্যাপিওসেক্সুয়ালরা ৯৯% এর উপর আইকিউ ধারীদের এড়িয়ে চলে। তারা সাধারনত ৯০% এর আশেপাশে আইকিউ ধারীদের কে পছন্দ করে।

 

তবে আরেকটি প্রশ্ন হচ্ছে স্যাপিওসেক্সুয়ালরা কি সৌন্দর্য্যের প্রেক্ষিতে  শারীরিক আকর্ষন অনুভব করে না? উত্তর হচ্ছে- করে। সৌন্দর্য্যের প্রেক্ষিতে শারীরিক আকর্ষণ অনুভব করে। কিন্তু এ শারীরিক আকর্ষণ তাদের কাছে গৌণ বলেই বিবেচিত হয়। বরং বুদ্ধিমত্তা লক্ষ করে তারা যে আকর্ষণ অনুভব করে সেটাই মুখ্য বলে বিবেচিত হয়। 

 

আর ও পড়ুনঃ  বজ্রপাতের সময় ঘরের বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির সংযোগ বন্ধ করা কি যুক্তিসঙ্গত?

READ MORE:  শুক্রাণু সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণ কি, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা

 

এখন আরেকটি প্রশ্ন; সম্ভবত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হচ্ছে আপনি স্যাপিওসেক্সুয়াল কিনা তা আপনি কিভাবে বুঝবেন? স্যাপিওসেক্সুয়ালদের  কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আপনি সে বৈশিষ্ট্য গুলোর সাথে নিজেদের বৈশিষ্ট্যকে মিলিয়ে নিতে পারেন। 

 

স্যাপিওসেক্সুয়ালরা-

১. গর্ত জীবি ধরনের মানুষ। অর্থাৎ নিজস্ব  চেনাজানা ছোট পরিবেশে থাকতে পছন্দ করে। 

২. ঘনিষ্ঠ মানুষের সংখ্যা নেহাতই কম। 

৩. নিজেদের পছন্দের বিষয় নিয়ে সঙ্গীর সাথে আলোচনা করায় স্বর্গীয় আনন্দ পায়।

৪. ছোটখাটো বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলাতে আগ্রহ পায় না।

৫. নিজে যদিও মজা করতে পছন্দ করে কিন্তু সঙ্গী বোকামি ধরনের মজা করুক এমনটা চায় না। মজা করার মধ্যে গভীরতা থাকুক এমনটা চায়।

৬. অত্যন্ত কঠিন বা খারাপ পরিস্থিতিতেও মেজাজ ঠান্ডা রেখে যুক্তি দিয়ে সে পরিস্থিতি সামাল দেয় এমন কাউকে পছন্দ করে। 

৭. বোকামি করে, অল্পতেই চিৎকার চেঁচামেচি করে এমন কাউকে একদমই পছন্দ করে না।