ইসলামইসলামিক বিষয়াদি

সুদ খাওয়া কেন মারাত্নক অপরাধ?

আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম ৭টি কবীরাহ গুনাহকে ‘ধ্বংসাত্বক’ বলে সেইগুলোর ব্যপারে কঠোরভাবে সতর্ক করেছেন। তার মাঝে ‘সুদ’ একটি।

সহীহ বুখারীঃ ২৭৬৬;  সহীহ মুসলিমঃ ৮৯;  আবু দাউদ; নাসাঈ।

 

আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

“জেনেশুনে মানুষের কাছ থেকে মাত্র ‘এক দিরহাম’ সুদ খাওয়া অপেক্ষা ‘৩৬ বার জিনা করা’ আল্লাহর কাছে অধিক গুরুতর বিষয়।”

মুসনাদে আহমদঃ ৫/৩৩৫; ত্বাবারানীর কাবীর ও আউসাত্ব। হাদীসটি সহীহ, শায়খ আলবানী রাহিমাহুল্লাহ; সহীহুল জামিঃ ৩৩৭নং হাদীস।

 

আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেছেন,

“সুদ খাওয়ার মাঝে রয়েছে ৭০ প্রকার পাপ। এর মাঝে সবচাইতে ‘ছোট পাপ’ হচ্ছে নিজের মায়ের সাথে জিনা করার মতো।” (নাউযুবিল্লাহি মিন যালিক)!

ইবনে মাজাহঃ ২২৭৮। হাদীসটি সহীহ, শায়খ আলবানী রাহিমাহুল্লাহ; সহীহ ইবনে মাজাহঃ ১৮৪৪।

_________________________

কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান, যেমন ব্যংক, এনজিও, অর্থ লগ্নিকারী বা ঋণ দানকারী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি, যারা মানুষদেরকে ঋণ দিয়ে সুদ খায়, আল্লাহ তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেনঃ

আ’উযু বিল্লাহিমিনাশ-শাইতানির রাযীম।

 

২৭৮. হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং, যদি তোমরা সত্যিই ঈমানদার হয়ে থাক তাহলে বকেয়া সুদের টাকা ছেড়ে দাও।

 

২৭৯. আর তোমরা যদি সুদের টাকা না ছাড়, তাহলে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের সাথে যুদ্ধ করার জন্যে প্রস্তুতি গ্রহণ কর।

 

বাক্বারাহ ২/২৭৮-৭৯

 

_________________________

কোন ‘সুদখোর ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে’ সাহায্য করা বা তাদের অধীনে চাকুরী করা ‘হারাম’ এবং মারাত্মক গুনাহর কাজঃ

 

১. আল্লাহ তাআ’লা বলেন,

“সৎকর্ম এবং তাক্বওয়া (আল্লাহভীতীর) ব্যপারে তোমরা একজন আরেকজনকে সাহায্য করবে, আর পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে তোমরা একে অন্যকে সাহায্য করবেনা। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় করো। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা…।” সুরা আল-মাই’য়িদাহঃ ২।

২. আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

“যে ব্যক্তি সুদ খায় এবং যে সুদ দেয়, যে সুদের কথা লিখে রাখে এবং যারা সুদের সাক্ষী হয়, তাদের সবার উপরে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম লা’নত (বা অভিশম্পাত) করেছেন। তিনি আরো বলেছেন, এই সবগুলো মানুষ পাপের দিক থেকে সমান।”

সহীহ মুসলিমঃ ১৫৯; মুসনাদে আহমদ, আবু দাঊদ, তিরমিযী, নাসাঈ এবং ইবনে মাযাহ্। ইমাম তিরমিযী (রহঃ) এই হাদীসটিকে ‘সহীহ’ বলেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link