স্বাস্থ্য

বিটের উপকারিতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন না তো?

বিট আসলে একধরনের মূলজাতীয় সবজি। অর্থাৎ বিটগাছের মূলই হচ্ছে এর প্রধান খাদ্যোপযোগী অংশ। সাধারণত, এই বিটের মূল গাঢ় বেগুনি-লাল বর্ণের হয়ে থাকে। বিটের চোখজুড়ানো লাল রং আসলে বিটালাইন বা এন্থোসায়ানিনযুক্ত রঞ্জক পদার্থেরই অবদান। কিন্তু পৃথিবীতে হলুদ, সাদা, এমনকি বহুরঙা বিটরুটও পাওয়া যায়। অসম্ভব রসাল এই প্রধানত বেগুনি-লাল বিটে জলীয় অংশ অনেক বেশি। তাই খোসা ছিলতে বা কাটতে গেলেই একেবারে ছলকে রক্তবর্ণ রস বেরিয়ে আসে।

 

বিট মিষ্টি স্বাদের হয়। সেই সঙ্গে মিষ্টি আলুর মতোই খুব অন্য রকম একটা মেটে ফ্লেভার পাওয়া যায় বিটে। বিট থেকে বিভিন্ন দেশে চিনিও উৎপাদিত হয়। এটি কাঁচা অবস্থায় সালাদে, সেদ্ধ বা বেক করে, বিভিন্ন অন্যান্য উপকরণের সঙ্গে স্যুপ, স্টু, স্টার ফ্রাই, সস বানিয়ে ইত্যাদি মজার মজার কায়দায় খাওয়া যায়। বিটের পাতাও শাকের মতো ভেজে খেতে খুবই উপাদেয়।

 

১। এর ফলে ডায়বেটিসে উপকার করে বিট।

 

২। অ্যানিমিয়া, হাই ব্লাড প্রেশার ইত্যাদিও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে বিট।

 

৩। থাইরয়েডের সমস্যা একটি বড়ো সমস্যা। তাতেও খুবই উপকারীএই বিট।

 

৪। বিটের মধ্যে রয়েছে নাইট্রেট নামক একটি উপাদান। এটি শরীরের রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে। স্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা দূর করে।

 

৫। লিভার ভালো রাখতে হলে বিট খাওয়া খুবই জরুরি। বিট হজম শক্তিকে বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে বাইরের খাবার, মশলাদার খাবার খেয়েও বদহজম হওয়ার আশঙ্কা থাকে না।

 

৬। পেটের বিভিন্ন রোগ যেমন জন্ডিস, ডায়েরিয়া ও কলেরা প্রভৃতি নিরাময়ে খুবই উপকারী।

 

৭। ফ্যাটি লিভারের সমস্যাও নিয়ন্ত্রণ করে বিট।

 

৮। বিটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।

 

৯। ক্যানসারের মতো রোগকেও প্রতিরোধ করার ক্ষমতা আছে বিটে। বিট শরীর থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন বের করে দেয়।

 

১০। বিট হাড় শক্ত করতেও সাহায্য করে। শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রা কমে হাড়ের ক্ষয় হয়। ক্যালসিয়াম ধরে রাখতে সাহায্য করে বিট। অল্প বয়স থেকে বিট খেলে বয়সকালে হাড়ের সমস্যা দেখা দেবে না।

 

১১। শরীরের শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে থাকে বিট।

 

১২। সকাল সকাল শরীরচর্চা করে, জিম করে শরীরে ক্লান্তি আসে। তখন শরীরকে চাঙ্গা করতে জন্য বিটের রস খুবই উপকারী। বিটের জুস প্রতি দিন সকালে খেলে শক্তি বাড়ে। পেশির শক্তি বাড়ে।

 

১৩। বিটে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে। অ্যানিমিয়া, রক্তসল্পতায় বিট খুবই উপকারী। শরীরে রক্তের ঘাটতি পূরণ করতে সহায়তা করে।

 

১৪। অনিয়মিত মাসিকের সমস্যায় বিট খুবই উপকারী একটি খাদ্য।

 

১৫। শরীরের রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। হতাশা দূর করে, মনও ভালো রাখে। বিটের জুস খেলে মন সঙ্গে সঙ্গে ভালো হয়ে যায়। বিটের বিটেইন নামক উপাদান মন ভালো রাখতেও সাহায্য করে।

 

১৬। এ ছাড়া বিট ত্বক ভালো রাখতেও সাহায্য করে। ত্বককে ভেতর থেকে সুন্দর ও উজ্জ্বল করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link