ঘুমের মধ্যে কথা বলা বা স্লিপ টকিং কেন হয়?

স্লিপ টকিং বা ঘুমের মধ্যে কথা বলা!! 

 

এটি বোবা ধরার মতো বাংলাদেশেও একটি বিখ্যাত ঘটনা।  এই ঘটনাকে সাধারণত ইংরেজীতে সোমনিলোকি বলা হয়।  সামনিলোকুইয়ের ব্যক্তি ঘুমের মধ্যে কথা বলেন, কিন্তু ঘুম থেকে ওঠার পরে তার ঘুমের মধ্যে কই কথা বলেছলো তা মনে থাকে না।  মনোবিজ্ঞানীদের মতে, এটি মানসিকভাবে এতটা গুরুতর নয়, যতক্ষণ না ঘুমন্ত ব্যক্তি কোনও গোপন কথা ফাঁস করছে।

 

স্লিপ টকিং কী:

ঘুমে অজ্ঞান হয়ে ঘুমোচ্ছে এবং কথা বলছে, এমন বিষয় এটি।  এটি ঘুমের সময় ঘটে এমন একধরণের অস্বাভাবিক আচরণ, যার ফলে ঘমুমের সেই মুহুর্তে ব্যক্তিটি নিঃসঙ্গ বা কাল্পনিক চরিত্রের সাথে কথা বলতে পারে।  এর বিষয়বস্তু সুদূর অতীত বা সাম্প্রতিক অতীতের কোনও ঘটনা বা কোনও ব্যক্তির জীবনে ঘটে যাওয়া সম্পূর্ণ কল্পিত ঘটনা হতে পারে।  যে কেউ এই সমস্যায় ভুগতে পারেন তবে পুরুষ ও শিশুরা বেশি ভোগেন।

 

 

 

স্লিপ টকিংয়ের কারণঃ-

ঘুমের মধ্যে কথাবার্তা কেন হয়, এটা সম্পর্কে কোনও পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যায়নি।  তবে গবেষণায় কিছু কারণ উঠে এসেছে।  যেমন অতিরিক্ত চাপ, হতাশা, জ্বর, পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব, অতিরিক্ত মদ্যপান ইত্যাদি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে অল্প ঘুমের কারণে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।  বিভিন্ন কারণে কম ঘুমের প্রবণতা বাড়ে।  ঘুমের সময় কোনও ব্যক্তি উচ্চস্বরে বা নরমভাবে কথা বলতে পারে এবার কখনও আর্তনাদ করতে পারে । যে লোকের ঘুমের মধ্যে কথা বলে তারা সাধারণত নিজের সাথে কথা বলে।  তবে মাঝে মাঝে তাকে অন্যের সাথে কথা বলতে দেখা যায়।  একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে দশজনের মধ্যে একজন শিশু তাদের ঘুমের মধ্যে সপ্তাহে একাধিকবার কথা বলে।

 

 

স্লিপ টকিংয়ের প্রতিকারঃ- 

স্লিপ কথা বলা বন্ধ করার কোনও নির্দিষ্ট পদ্ধতি নেই।  তবে আপনি কিছু দিক অনুসরণ করতে পারেন। যেমনঃ-

READ MORE:  ভয়ংকর রহস্যময় জায়গা বিজ্ঞানীদের কাছে এখনও অমীমাংসিত

১. ঘুমোতে যাওয়ার আগে খুব বেশি খাবার না খাওয়া

২. অ্যালকোহল পান না করা

৩. ঘুমানোর সময় খুব বেশি চিন্তা না করা

৪. পর্যাপ্ত ঘুম পেয়ে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।  ৫.চিনিযুক্ত এবং ক্যাফিন সমৃদ্ধ খাবার এড়িয়ে চলুন।

 

 

ডাক্তারের সাথে পরামর্শঃ-

আপনার যদি ঘুমের তীব্র সমস্যা হয় তবে আপনাকে অবশ্যই দেরি না করেই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে হবে।  বিভিন্ন সময় বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার কারণে ঘুমের সমস্যা দেখা দেয়।  এজন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে উপযুক্ত চিকিৎসা ও ওষুধ খাওয়া দরকার।