জেনে নিন অফসাইড এর খুঁটিনাটি বিষয়
ফুটবলে সম্ভবত সবথেকে বিতর্কিত বিষয় হচ্ছে অফসাইড। এই অফসাইড এর কিছু সূক্ষ্ম বিষয় রয়েছে যা না জানলে বিতর্ক হওয়াই স্বাভাবিক। এ আয়োজনে আমরা অফসাইডের খুঁটিনাটি বিষয় জানার চেষ্টা করব ।
ফুটবলে অফসাইড কাকে বলে?
অ্যাটাকে থাকা অবস্থায় বল পাস দেওয়ার মুহূর্তে বিপক্ষ দলের অর্ধে কোন ফুটবলার যদি দ্বিতীয় সারির ডিফেন্ডার ( সাধারণ অর্থে গোলকিপার এর সামনে প্রথম ডিফেন্ডার) এবং বলের আগে চলে গেলে ওই ফুটবলার অফসাইড হয়।
ফুটবল অফসাইডের নিয়ম:
১. কোন ফুটবলার অফসাইডে থাকা অবস্থায় গোল দিলে সে গোল বাতিল বলে গণ্য হবে।
২. অফসাইড হলে প্রতিপক্ষ ঠিক অফসাইডের জায়গায় একটি ফ্রি কিক পাবে।
ফুটবলে অফসাইড কিভাবে হয়?
আমাদের একথা প্রথমেই মনে রাখতে হবে যে, শুধুমাত্র পাস দেওয়ার মুহূর্তে অফসাইড হয়। পাস দেওয়ার ওই মুহূর্তের পর ফুটবলার প্রতিপক্ষের ফুটবলারের কোন অবস্থানে থেকে বল রিসিভ করছে সেটা কোন বিষয় নয়।
আর একটি বিষয় মনে রাখতে হবে যে, কোন দল তাঁর বিপক্ষ দলের অর্ধে অ্যাটাকে থাকলেই কেবল অফসাইড এর হিসাব।
কোনো দল অ্যাটাকে থাকা অবস্থায় সেই দলের কোন ফুটবলার যদি বিপক্ষ দলের অর্ধে এমনভাবে অবস্থান করে যে তাকে পাস দেওয়ার মুহূর্তে সে বিপক্ষ দলের দ্বিতীয় সর্বশেষ ডিফেন্ডার ( এক্ষেত্রে সাধারণত গোলকিপার যদি প্রথম ডিফেন্ডার হয় তাহলে তার ঠিক পরের ফুটবলারই দ্বিতীয় সর্বশেষ ডিফেন্ডার বলে বিবেচিত হয়) ও বল এর আগে অবস্থান করে এবং পরবর্তীতে সে বল তার দলের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে রিসিভও করে তবে সে ফুটবলার অফসাইড বলে বিবেচিত হয়। এক্ষেত্রে বিপক্ষ দলের দ্বিতীয় সর্বশেষ ডিফেন্ডারের হাত ছাড়া শরীরের অন্য যে কোন অংশ বিবেচিত হবে।
এক্ষেত্রে বল রিসিভের বিষয়টি লক্ষণীয়। মনে করি পাস দেওয়ার সময় সে অফসাইডে ছিল কিন্তু বুদ্ধি করে সে বলটি রিসিভ করল না। তার দলের অন্য আরেকজন ফুটবলার যে বল পাস দেওয়ার সময় অন সাইডে ছিল সে এসে বলটি রিসিভ করল তাহলে প্রথম ফুটবলার আর অফসাইড হবে না। পরবর্তীতে অন সাইডে থাকা অবস্থায় সে বল রিসিভ করতে পারবে।
বল রিসিভ ছাড়াও অফসাইড এর জন্য আরো দুইটি বিষয় লক্ষণীয়। পাস দেওয়ার মুহূর্তে অফসাইডে থাকা কোন ফুটবলার যদি বিপক্ষ দলের কোন ফুটবলারকে ফাউল করে অথবা গোলকিপারের সামনে গিয়ে এমন ভাবে দাঁড়িয়ে থাকে যাতে গোলকিপার বলটি দেখতে না পায় তাহলে বল রিসিভ না করলেও অফসাইড বলে বিবেচিত হবে।
কোন কোন ক্ষেত্রে অফসাইড হবে না?
১. বল রিসিভ এর সময় ফুটবলার যেকোনো অবস্থান এ অবস্থান করতে পারবে এবং পরবর্তীতে যেকোনো সময় বল রিসিভ করতে পারবে। এক্ষেত্রে অফসাইড হবে না।
২. কর্নার এর ক্ষেত্রেও একই নিয়ম। কর্নার এর সময় যে দল কর্নার করছে সে দলের যেকোনো ফুটবলার যে কোন অবস্থানে অবস্থান করতে পারবে এবং পরবর্তীতে যেকোনো সময় বল রিসিভ করতে পারবে। এক্ষেত্রে অফসাইড হবে না। কারণ কর্নার যে জায়গা থেকে করা হয় তা গোল লাইন বরাবর তাই বল যে জায়গা থেকেই ধরা হোক না কেন তা খেলোয়ারের সামনেই থাকবে তাই অফসাইড হবে না।
৩. গোলকিকের সময় অপর দলের খেলোয়ার যেকোনো জায়গাতেই দাঁড়াতে পারবে। অফসাইড হবে না।
৪. অফসাইডে থাকা অবস্থায়ও প্রতিপক্ষের খেলোয়ারের হাত ছাড়া শরীরের অন্য কোন স্থান ছুঁয়ে যদি বল অফসাইডে থাকা ফুটবলারের কাছে আসে তাহলে অফসাইড হবে না।
৫. দুই দলের ফুটবলার যদি ঠিক একই লাইনে থাকে তাহলেও অফসাইড হবে না।