আমারা অনেকেই লিঙ্গ মোটা ও শক্ত করার সহজ উপায় জানি না। যৌবনের প্রথম দিকে বিভিন্ন সঙ্গে মিশে অধিক পরিমানে হস্তমৈথন করার কারনে এখন লিঙ্গ নিস্তেজ হয়ে গিয়েছে। এমন কি আগা মোটা গোড়া চিকন হয়ে গেছে। হস্তমৈথন করার ফলে পুরুষাঙ্গের যে সাইজ থাকার কথা সেটি নায়। তার কারন যখন স্বাভাবিক ভাবে লিঙ্গ বাড়ার কথা সেই সময় অধিক বল প্রয়োগ করে মাস্টারবেশন করা হয়েছে। এর জন্য লিঙ্গ এখন আগের মত শক্ত ও মোটা হয় না। এবং অল্প সময়ের মধ্যে বীর্যপাত হয়ে যায় এতে সংসার জীবনে সুখ খুজে পাওয়া কস্ট স্বাধ্য হয়ে দ্বারায়। স্ত্রীকে পরিপূর্ণ তৃপ্তি দিতে পারেন না ফলে স্ত্রীর কাছে মাঝে মাঝে লজ্বা পেতে হয়। আর এটি দূর করার জন্য কিছু টিপস শিখে রাখুন আপনার সংসার জীবন সুন্দর ও মধুময় হবে।
লিঙ্গ বড় এবং মোটা করতে সবচেয়ে নিরাপদ এবং দীর্ঘস্থায়ী সমাধান হ’ল ব্যায়াম। অনেক এশীয় ও আফ্রিকান সংস্কৃতির মধ্যে, এই ব্যায়ামগুলি লিঙ্গ বড় ও মোটা করার প্রতিকার হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে বহু বছর ধরে। অতএব, যে সকল পুরুষরা তাদের লিঙ্গের আকার সম্পর্কে উদ্বিগ্ন, তারা যেন অকার্যকরী, ব্যয়বহুল এবং ক্ষতিকারক চিকিৎসার উপায় নিয়ে পরীক্ষা করার পরিবর্তে ডাক্তারের থেকে পরামর্শ নেন। আসুন, প্রথমে আমরা লিঙ্গ সম্পর্কিত কিছু তথ্য নিয়ে কথা বলি; লিঙ্গের গড় দৈর্ঘ্য এবং বেধ সম্পর্কে কিছু তথ্য নিচে দেওয়া রইল:
পুরুষাঙ্গের সাইজ কেমন হওয়া উচিত, যুবকদের মধ্যে লিঙ্গের স্বাভাবিক সাইজ কিরকম তা পরিমাপ করা যায় না, কারণ প্রত্যেক ব্যক্তির মধ্যে লিঙ্গ বড় হওয়ার পদ্ধতি ভিন্ন।
পুরুষদের নিয়ে পরিচালিত গবেষণা অনুযায়ী, লিঙ্গের সাধারণ সাইজ নিয়ে নিচে আলোচনা করা হ’ল:
যদি কোন ব্যক্তিরলিঙ্গের সাইজ ৮.১২ সেন্টিমিটার (৩.২ ইঞ্চি) হয়ে থাকে সাধারন, কোমল অবস্থায় তবে এটি স্বাভাবিক সাইজ।
যদি আপনার লিঙ্গ ৮.১২ সেন্টিমিটার (৩.৬ ইঞ্চি) সাইজের হয় কোনও ইরেকশন ছাড়াই, তবে এটি লিঙ্গটির গড় বেধ।
আপনার লিঙ্গটি যদি ৯.১৪ সেন্টিমিটারের (৫.১ ইঞ্চি) হয় উত্থিতঅবস্থায় তবে এটি পুরুষাঙ্গের গড় দৈর্ঘ্য।
আপনার লিঙ্গ যদি উত্থিতঅবস্থায় ১১.৪৬ সেন্টিমিটারের (৪.৫ ইঞ্চি) হয় তবে এটি স্বাভাবিক বেধ।
লিঙ্গ বড় এবং আরও মোটা করার জন্য অনেক ধরনের চিকিৎসা হয় তবে তাদের কার্যকারিতা সম্পর্কে সর্বদা আশঙ্কা থাকে। কিন্তু আপনার জীবনধারায় কিছু পরিবর্তন আনলেই, আপনি সহজেই লিঙ্গ বড় এবং পুরু করতে পারবেন। এটি করার জন্য,আপনাকে নিয়মিত ব্যায়াম করার পাশাপাশি একটি সুস্থ খাদ্যাভ্যাসও বজায় রাখতে হবে। এখানে প্রাকৃতিক উপায়ে কিছু ব্যায়ামের কথা উল্লেখ করা আছে যা আপনার লিঙ্গকে বড় এবং পুরু করতে সাহায্য করে:
আল্টিমেট স্ট্রেচার – এই ব্যায়ামটি লিঙ্গের সাইজ সম্পর্কে যারা চিন্তিত, তাদের জন্য খুব কার্যকর এবং এটি প্রমানিত। এই ব্যায়ামটি পুরুষের লিঙ্গের অস্বাভাবিক আকার ও বক্রতা ঠিক করার জন্যও উপকারি। এটি শুরু করার আগে শরীরকে রিল্যাক্স করতে হবে এবং ওয়ার্ম আপ করে নেওয়া জরুরি। এবারে আপনার লিঙ্গের ফোরস্কিনটি টেনে নামিয়ে নিন এবং আরেক হাত দিয়ে লিঙ্গের বেরিয়ে থাকা অংশটিকে ধরুন। খুব শক্ত করে ধরবেন না, তাতে ব্যথা হতে পারে এবং রক্ত সঞ্চালনে অসুবিধা হতে পারে। তারপর আপনার লিঙ্গের ডগা ধরে সামনের দিকে টানতে হবে, খেয়াল রাখতে হবে যেন লিঙ্গের গোড়ায় ব্যথা না হয়। এবার আপনার লিঙ্গটিকে টেনে রাখা অবস্থায় পেটের কাছে নিয়ে এসে ১৫-৩০ সেকেন্ড ধরে রাখুন। এবার ৫ সেকেন্ডের বিশ্রাম নিন। এর পর, একই পদ্ধতিতে ১৫ থেকে ৩০ সেকেন্ডের জন্য লিঙ্গ প্রসারিত অবস্থায় নিচের দিকে, বাম পাশে ও ডান পাশে টেনে ধরে রাখুন। এই ব্যায়ামটি এবার আরও ১০বার করুন। আপনার লিঙ্গটিকে দু’বার করে উপরের দিকে, নীচের দিকে, ডান দিকে, বাম দিকে এবং আরও অনেক দিকে টেনে ধরে রাখতে পারেন। দিনে একবার করে এই এক্সারসাইজ করতে হবে।
কেগেল ব্যায়াম – এটি একটি জনপ্রিয় ব্যায়াম। এটি মহিলাদের জন্য এবং পুরুষদের জন্যও উপকারী। এটা উন্নত রক্ত সঞ্চালন এবং পুরুষদের লিঙ্গের ইরেকশনের সময় বৃদ্ধি করার জন্য খুব সহায়ক এবং তা প্রমাণিত। এর জন্য আপনাকে প্রথমে আপনার ‘পিসি (পিউবোকক্সিজিয়াস) পেশীটিকে’ খুঁজে বের করতে হবে। এই পেশী আপনার প্রস্রাব এবং মল নিয়ন্ত্রণ করে। এই পেশীর সাহায্যে যৌনসঙ্গমের সময়ে বীর্যপাতের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এই পেশীটি খুঁজে বের করার সবচেয়ে সহজ উপায় হ’ল যখন আপনার খুব জোরে প্রস্রাব পায়, তখন আপনার লিঙ্গের যে পেশীগুলি প্রস্রাব আটকাতে পারে সেগুলিই হ’ল আপনার পিসি পেশি। এবার আপনাকে এই পেশীর সংকোচন করা অনুশীলন করতে হবে। ৫ সেকেন্ডের জন্যএই পেশী ধরে রাখুন এবং ২ সেকেন্ডের জন্য ছেড়ে দিন। প্রতিদিন অন্তত ১৫ থেকে ২০ মিনিটের জন্য এই পদ্ধতিটি অনুশীলন করুন। এটি ভীষণই কার্যকর চিকিৎসা।
লিঙ্গ বড় করার তেল :
বাজারে অনেক তেল বা মালিশ পাওয়া যায়। যা। আসলে কতটুকু কাজ করে আমার জানা নাই। তবে । আমি একটি ফর্মুলা দিতে পারবাে। যা আপনি নিজে সংগ্রহ করে, লিঙ্গে নিয়মিত মালিশ করলে, আশা করি কিছু ফল পাবেন। অন্তত বাজারে প্রচলিত তেল বা মলমের চেয়ে ভাল কাজ করবে। এবং শারীরিক কোন ক্ষতি করবেনা। কারন এটা প্রকৃতিক ফর্মুলা ও একধরনের ব্যায়াম।
লিঙ্গ মােটা করার ফর্মুলা :
প্রথমে একটি নির্দিস্ট পরিমানে তিলের তেল, তিশির। তেল। এবং ভেন্না/ভেরেন্ডা বা ক্যাস্টর অয়েল যে নামেই চিনেন। ও সরিষার তেল এর সাথে আরও ২ টা তেল মিশিয়ে নিবেন। এর মধ্যে কালােজিরার তেলটা সহজে পেলেও কিউবাব অয়েল একটু দূর্লভ। তাই কোন সুপার শপ থেকে বা অনলাইন মার্কেট থেকে কিউবাব অয়েল কিনে নিতে হবে। কিউবাব অয়েল মুলত কাবাব চিনি নামক বীজ থেকে তেল আহরন করা হয়। এই ছয়টি তেল সমপরিমান নিয়ে, একটি বােতলে ভরে মিশিয়ে নিবেন। ব্যাস, হয়ে গেল লিঙ্গ বড় করার ফর্মুলা।
হারবাল অয়েলে পুরুষাঙ্গ মােটা করার উপায় :
বাজারে প্রচলিত লিঙ্গ মােটা করার তেল যা পাওয়া যায়। তাতে কতটুকু কাজ হয় জানিনা। তবে কিছু । কেমিক্যাল যুক্ত তেল বা মালিশ অথবা মলম যেগুলাে পাওয়া যায়। তাতে মারাত্মক ক্ষতির আশংকা থাকে। এটা কৃত্রিমভাবে ইন্সট্যান্ট রক্তসঞ্চালন বাড়িয়ে দেয়। ফলে তাৎক্ষনিক লিঙ্গো মােটা ও শক্ত দেখায়। এবং সেনসিটিভিটি দূর করে মিলনে দীর্ঘস্থায়ী করে। কিন্তু এভাবে নিয়মিত ব্যবহারের ফলে, এই প্রক্রিয়া ছাড়া সংঘম করা সম্ভব হয়না। একপর্যায়ে এই মলম, তেল বা মালিশ ব্যাতিত লিঙ্গ শক্তই হয়না। তাই আমি সাজেশন করবাে, এ ধরনের কেমিক্যালযুক্ত ঔষধ ব্যাবহার না করে, নিজে প্রকৃতিক তেল বানিয়ে নিন।
ইউনানী মালিশ তিলা জাদীদ লিঙ্গে ব্যবহার করতে পারেন:
বিভিন্ন বৈধ ইউনানী ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান তিলা জাদীদ গ্রুপের তেল বা মালিশ লিঙ্গোত্থানজনিত । দূর্বলতা, লিঙ্গবক্রতা, ও লিঙ্গশিথীলতার জন্য বাজারজাত করে আসছে। এর মধ্যে ফেনড্রাগ ল্যাবঃ অন্যতম। একসময় আমরা এসব দূর্লভ নিরাপদ ঔষধগুলাে সরবরাহ করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠাতাম, কিন্তু কালের বিবর্তনে এখন শুধু ফোনে সময় নস্ট করার কারনে, এই সেবা এখন বন্ধ আছে। তাই সাধারন মানুষ যেন উপকৃত হয়, সেজন্য ঔষধের নামটি সবাইকে জানিয়ে দিলাম। পারলে সংগ্রহ করে নিবেন। ৪-৬ ফোটা তেল লিঙ্গের গােড়া থেকে অগ্রভাগের দিকে আলতােভাবে কয়েকবার মালিশ করবেন। দিনে ২ বার অন্তত ২ মাস।
লিঙ্গে মালিশ করার নিয়ম :
প্রতিদিন গােসলের পর ও রাতে শােয়ার আগে, লিঙ্গে মালিশ করবেন। এমনভাবে মালিশ করতে হবে। প্রথমে লিঙ্গের গােড়া থেকে আস্তে আস্তে আগার দিকে, একটু চেপে ধরে হাত নামাবেন। হাতে খুব বেশী পরিমান তেল নিবেননা। অল্প তেল নিয়ে কয়েকবার এই নিয়মে মালিশ করুন। বেশী উত্তেজিতাে হওয়ার চেস্টা করবেননা। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। সকাল ও রাতে এই নিয়ম চালিয়ে যান। ২ মাসে আপনার নরম কোষকলার রক্তসঞ্চালন আগের চেয়ে কয়েকগুন বেড়ে যাবে। এবং লিঙ্গ শক্ত ও মােটাও হবে। এই ব্যায়াম ও মালিশ করতে গিয়ে বীর্যপাত ঘটাবেননা। ধৈর্য ধারন করতে হবে। শতভাগ সফল হতে পারবেন। প্রিতিদিন ১ বারে ২৫ টান করে দিনে ২ বার মালিশ করলে, লিঙ্গে ৫০ টান হবে। স্বাভাবিকভাবে লিঙ্গ একটু লম্বা হবে। শুধু লম্বা নয় মােটা ও শক্তও হবে।
Leave a Reply