স্বাস্থ্য

মাত্র ৩ মাসে লম্বা হওয়ার উপায়

কিভাবে ৩ মাসের ভেতর লম্বা হবেন? 

 

আপনার বাড়ন্ত বয়সে আপনার আশে পাশের সব মানুষ লম্বা হয়ে চলছে কিন্তু আপনার উচ্চতা বাড়ছে না? সত্যি বলতে লম্বা হওয়ার পিছনে জিনগতভাবে দায়ী ব্যাপার তো রয়েছেই, সাথে সাথে রয়েছে আশে পাশের কিছু ফ্যাক্টর এর সংমিশ্রণ৷ এসব ফ্যাক্টর নিয়ন্ত্রণ করে আপনি খুব সহজেই আপনার উচ্চতা বাড়িয়ে নিতে পারেন। চলুন কিভাবে তা জেনে আসি –

 

সুষম পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করুন-

 

জিঙ্ক লম্বা হওয়ার জন্য অত্যন্ত জরুরি। গরু এবং ভেড়ার মাংসে উচ্চ মানের জিঙ্ক পাওয়া যায়।

আটা ময়দার রুটি, দুগ্ধজাত সকল খাদ্য, শীম, জাতীয় উদ্ভিদ, মসুর ডাল,চীনাবাদাম,মাশরুম

,সমূদ্রের মাছ, গরু এবং খাসির কলিজায় প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক রয়েছে। এসব খাদ্য বেশি করে গ্রহণ করুন। 

 

এছাড়া ভিটামিন ডি পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্রহণ করুন।  ভিটামিন ডি হাড় এবং পেশী বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। মাশরুমের এবং দুধ জাতীয় খাবারে খাবারের মধ্যে পরিমিত পরিমাণে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। তবে আপনার ভিটামিন ডি এর সিংহভাগই সূর্যের আলো থেকে আসে দিনে ১৫ মিনিট রোদে বের হওয়া নিশ্চিত করতে পারেন।

 

এছাড়াও  মটরশুটি, সয়া এবং বাদামের মতো চর্বিযুক্ত প্রোটিনগুলি পেশীর বৃদ্ধি এবং হাড়ের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। সাধারণ কার্বোহাইড্রেট যেমন পিজ্জা, কেক, মিষ্টি এবং সোডা থেকে দূরে থাকার খাদ্য গ্রহন করুন।

 

পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমান- 

 

ঘুম আমাদের শরীরের জন্য অতীব জরুরি। ঘুমালে শরীরের ক্ষয় পূরণ হয়। তাই রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমোন এবং সকালে উঠুন। এতে শরীরের ফাংশন ঠিকঠাক কাজ করবে। ২০ বছরের কম বয়সের ৮ থেকে ৯ ঘন্টা ঘুমান। পরিমান মত ঘুমালে আপনার শরীরে হরমোন তৈরি এবং লম্বা হতে সময় পায়। তাই নিয়মিত এক টাইমে ঘুমানো অভ্যাস করুন।

 

ব্যায়ম করুন- 

তিন ধরনের ব্যায়াম অনুশীলন করুন। 

 

১. প্রথমে হাটুঁ ভাজঁ করে বাঘের মত হাতের তালু এবং পায়ের হাটুঁতে ভর দিয়ে বসেন। তারপর মাথাকে উপরের দিকে বাকাঁ করে আপনার পিটকে নিচের দিকে বাকিয়ে নিন। এবার মাথাকে নিচের দিকে নিন আর পিটকে উপর দিকে বাকিয়ে তুলুন। ১০ সেকেন্ড পর পর বেশ কয়েকবার করুন। 

 

২. সমতল মেঝে দু পা দু দিকে ছড়িয়ে দিয়ে বসেন। তারপর হাটু ভাজঁ না করে ডান হাটুঁতে নাক লাগানোর চেষ্টা করুন তারপর বাম  হাটুঁতে নাক লাগানোর চেষ্টা করুন ১১ সেকেন্ড পর পর বেশ কয়েকবার করুন।

 

৩. আপনি সমতল মেঝেতে লম্বা হয়ে শুয়ে পড়ুন। তারপর হাতের তালুতে ভর দিয়ে শরীরের উপরের অংশটি আস্তে করে উপরে তুলুন। তারপর মেরুদন্ড বাকাঁ করে মাথাটা যত পারেন বাকাঁ করুন। 

 

দুশ্চিন্তা এবং মানসিক চাপ মুক্ত থাকুন– 

 

আমাদের শরীরের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে হরমোন। ছেলে মেয়ে সবারই শরীরের উচ্চতা নির্ধারন করে তাদের হরমোনর উপর। আপনি যদি মানসিক চাপে থাকেন তাহলে আপনার হরমোন তৈরিতে বাধা প্রাপ্ত হতে পারে। আনন্দে থাকুন, স্ট্রেস ফ্রি থাকুন, মানসিক চাপ মুক্ত থাকুন। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link