গ্লুকোমা যা গোপনে কেড়ে নেয় আপনার দৃষ্টিশক্তি
গ্লুকোমা চোখের একটি রোগ, যা মানুষকে নীরবেই অন্ধ করে দেয়। চোখের মধ্যেও রক্ত সঞ্চালন হয়। সারাদেহে রক্তের চাপের মতো চোখেও চাপ তৈরি হয়। চোখের মধ্যে পানি তথা অ্যাকুয়াস হিউমার আছে। অ্যাকুয়াস হিউমার মানুষের চোখের পাশ থেকে তৈরি হয়। এর মধ্যে নিউট্রিশন থাকে। চোখের মধ্যে যে সকল স্থানে রক্তনালী নেই সেসব অংশে তারা পুষ্টি সরবরাহ করে। আবার তারা চোখ থেকে বেরিয়েও যায়।
অ্যাকুয়াস হিউমারের এ সার্কুলেশন কোনো কারণে ব্যাঘাত ঘটলে চোখের প্রেশার বেড়ে যায়। প্রতি চোখের ভেতর প্রায় ১২ লাখ নার্ভ থাকে, এ নার্ভগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নার্ভের ক্ষতি হলে আমাদের ভিজ্যুয়াল ফিল্ড কমে যায়। যখন ফিল্ড একদম নষ্ট হয়ে যায়, তখন মানুষ সম্পূর্ণভাবে অন্ধ হয়ে যায়। অর্থাৎ চোখের প্রেশার বা চাপ বেড়ে গিয়ে নার্ভের ক্ষতির ফলে অন্ধত্ববরণ করাকে গ্লুকোমা বলে।
কেন এ রোগ হয়
সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া না গেলেও অদ্যাবধি চোখের উচ্চচাপই এ রোগের প্রধান কারণ বলে ধরে নেওয়া হয়। তবে স্বাভাবিক চাপেও এ রোগ হতে পারে।
সাধারণত: চোখের উচ্চচাপই ধীরে ধীরে চোখের স্নায়ুকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং দৃষ্টিকে ব্যাহত করে। কিছু কিছু রোগের সঙ্গে এ রোগের গভীর সম্পর্ক লক্ষ করা যায় এবং অন্যান্য কারণেও এ রোগ হতে পারে যেমন-
* পরিবারের অন্য কোনো নিকটাত্মীয়ের (মা, বাবা, দাদা, দাদি, নানা, নানি, চাচা, মামা, খালা, ফুপু) এ রোগ থাকা।
* ঊর্ধ্ব বয়স (চল্লিশ বা তদূর্ধ্ব)।
* ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্ত চাপ।
* মাইগ্রেন নামক মাথাব্যথা।
* রাত্রিকালীন উচ্চ রক্ত চাপের ওষুধ সেবন।
* স্টেরোয়েড নামক ওষুধ দীর্ঘদিন সেবন করা।
* চোখের ছানি অপারেশন না করলে বা দেরি করলে।
* চোখের অন্যান্য রোগের কারণে।
* জন্মগত চোখের ত্রুটি ইত্যাদি।
গ্লুকোমা রোগের লক্ষণ কী
অনেক ক্ষেত্রেই রোগী এ রোগের কোনো লক্ষণ অনুধাবন করতে পারেন না। চশমা পরিবর্তনের সময় কিংবা নিয়মিত চক্ষু পরীক্ষার সময় হঠাৎ করেই চিকিৎসক এ রোগ নির্ণয় করে থাকেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিম্নের লক্ষণগুলো দেখা দিতে পারে। যেমন-
* ঘন ঘন চশমার গ্লাস পরিবর্তন হওয়া।
* চোখে ঝাপসা দেখা বা আলোর চারপাশে রংধনুর মতো দেখা।
* ঘন ঘন মাথাব্যথা বা চোখে ব্যথা হওয়া।
* দৃষ্টিশক্তি ধীরে ধীরে কমে আসা বা দৃষ্টির পারিপার্শ্বিক ব্যাপ্তি কমে আসা। অনেক সময় চলতে গিয়ে দরজার পাশে বা অন্য কোনো পথচারীর গায়ে ধাক্কা লাগা।
* মৃদু আলোতে কাজ করলে চোখে ব্যথা অনুভূত হওয়া।
* ছোট ছোট বাচ্চাদের অথবা জন্মের পর চোখের কর্নিয়া ক্রমাগত বড় হয়ে যাওয়া বা চোখের কর্নিয়া সাদা হয়ে যাওয়া, চোখ লাল হওয়া, চোখ দিয়ে পানি পড়া ইত্যাদি।
গ্লুকোমা নির্ণয়ে কাদের চক্ষু পরীক্ষা করা জরুরি
* যাদের পরিবারে নিকটাত্মীয়ের এ রোগ আছে।
* চল্লিশ ঊর্ধ্ব প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স, বিশেষ করে যাদের ঘন ঘন চশমা পরিবর্তন করতে হচ্ছে।
* চোখে যারা মাঝে মাঝে ঝাপসা দেখেন বা ঘন ঘন চোখ ব্যথা বা লাল হওয়া অনুভব করেন।
* যাদের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, মাইগ্রেন ইত্যাদি রোগ আছে।
* যারা চোখে দূরের জন্য মাইনাস গ্লাস ব্যবহার করেন।
* যাদের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, মাইগ্রেন ইত্যাদি রোগ আছে।
* যারা চোখে দূরের জন্য মাইনাস গ্লাস ব্যবহার করেন।
গ্লুকোমা চোখের একটি রোগ, যা মানুষকে নীরবেই অন্ধ করে দেয়। চোখের মধ্যেও রক্ত সঞ্চালন হয়। সারাদেহে রক্তের চাপের মতো চোখেও চাপ তৈরি হয়। চোখের মধ্যে পানি তথা অ্যাকুয়াস হিউমার আছে। অ্যাকুয়াস হিউমার মানুষের চোখের পাশ থেকে তৈরি হয়। এর মধ্যে নিউট্রিশন থাকে। চোখের মধ্যে যে সকল স্থানে রক্তনালী নেই সেসব অংশে তারা পুষ্টি সরবরাহ করে। আবার তারা চোখ থেকে বেরিয়েও যায়।
অ্যাকুয়াস হিউমারের এ সার্কুলেশন কোনো কারণে ব্যাঘাত ঘটলে চোখের প্রেশার বেড়ে যায়। প্রতি চোখের ভেতর প্রায় ১২ লাখ নার্ভ থাকে, এ নার্ভগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নার্ভের ক্ষতি হলে আমাদের ভিজ্যুয়াল ফিল্ড কমে যায়। যখন ফিল্ড একদম নষ্ট হয়ে যায়, তখন মানুষ সম্পূর্ণভাবে অন্ধ হয়ে যায়। অর্থাৎ চোখের প্রেশার বা চাপ বেড়ে গিয়ে নার্ভের ক্ষতির ফলে অন্ধত্ববরণ করাকে গ্লুকোমা বলে।
গ্লুকোমা রোগের লক্ষণ কী
অনেক ক্ষেত্রেই রোগী এ রোগের কোনো লক্ষণ অনুধাবন করতে পারেন না। চশমা পরিবর্তনের সময় কিংবা নিয়মিত চক্ষু পরীক্ষার সময় হঠাৎ করেই চিকিৎসক এ রোগ নির্ণয় করে থাকেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিম্নের লক্ষণগুলো দেখা দিতে পারে। যেমন-
* ঘন ঘন চশমার গ্লাস পরিবর্তন হওয়া।
* চোখে ঝাপসা দেখা বা আলোর চারপাশে রংধনুর মতো দেখা।
* ঘন ঘন মাথাব্যথা বা চোখে ব্যথা হওয়া।
* দৃষ্টিশক্তি ধীরে ধীরে কমে আসা বা দৃষ্টির পারিপার্শ্বিক ব্যাপ্তি কমে আসা। অনেক সময় চলতে গিয়ে দরজার পাশে বা অন্য কোনো পথচারীর গায়ে ধাক্কা লাগা।
* মৃদু আলোতে কাজ করলে চোখে ব্যথা অনুভূত হওয়া।
* ছোট ছোট বাচ্চাদের অথবা জন্মের পর চোখের কর্নিয়া ক্রমাগত বড় হয়ে যাওয়া বা চোখের কর্নিয়া সাদা হয়ে যাওয়া, চোখ লাল হওয়া, চোখ দিয়ে পানি পড়া ইত্যাদি।
গ্লুকোমা নির্ণয়ে কাদের চক্ষু পরীক্ষা করা জরুরি
* যাদের পরিবারে নিকটাত্মীয়ের এ রোগ আছে।
* চল্লিশ ঊর্ধ্ব প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স, বিশেষ করে যাদের ঘন ঘন চশমা পরিবর্তন করতে হচ্ছে।
* চোখে যারা মাঝে মাঝে ঝাপসা দেখেন বা ঘন ঘন চোখ ব্যথা বা লাল হওয়া অনুভব করেন।
* যাদের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, মাইগ্রেন ইত্যাদি রোগ আছে।
* যারা চোখে দূরের জন্য মাইনাস গ্লাস ব্যবহার করেন।
* যাদের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, মাইগ্রেন ইত্যাদি রোগ আছে।
* যারা চোখে দূরের জন্য মাইনাস গ্লাস ব্যবহার করেন।
গ্লুকোমা রোগের চিকিৎসা
গ্লুকোমা রোগকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব; কিন্তু নিরাময় সম্ভব নয়। এ রোগে দৃষ্টি যতটুকু হ্রাস পেয়েছে তা আর ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। দৃষ্টি যাতে আর কমে না যায়, তার জন্য আমাদের চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে।
প্রচলিত তিন ধরনের চিকিৎসা রয়েছে-
* ওষুধের দ্বারা চিকিৎসা
* লেজার চিকিৎসা
* শৈল্য চিকিৎসা বা সার্জারি
যেহেতু চোখের উচ্চচাপ এ রোগের প্রধান কারণ, তাই ওষুধের দ্বারা চোখের চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়। একটি ওষুধ দ্বারা নিয়ন্ত্রণে রাখা না গেলে একাধিক ওষুধ ব্যবহার করতে হবে। তদুপরি তিন মাস অন্তর অন্তর চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে এ রোগের নিয়মিত কতগুলো পরীক্ষা করিয়ে দেখতে হবে এ রোগ নিয়ন্ত্রণে আছে কিনা। যেমন-
* দৃষ্টিশক্তি পরীক্ষা
* চোখের চাপ পরীক্ষা
* দৃষ্টি ব্যাপ্তি বা ভিজুয়্যাল ফিল্ড পরীক্ষা
* চোখের নার্ভ পরীক্ষা
এ রোগের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো নিয়মিত ওষুধ ব্যবহার করা এবং সময়মতো চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে চক্ষু পরীক্ষা ও তার পরামর্শ মেনে চলা।
রোগীর করণীয়
* চিকিৎসক রোগীর চক্ষু পরীক্ষা করে তার চোখের চাপের মাত্রা নির্ণয় করে তা নিয়ন্ত্রণের জন্য যে ওষুধের মাত্রা নির্ধারণ করে দেবেন তা নিয়মিত ব্যবহার করা।
* দীর্ঘদিন একটি ওষুধ ব্যবহারের কার্যকারিতা কমে যেতে পারে বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে; তাই নিয়মিত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া।
* সময়মতো চোখের বিভিন্ন পরীক্ষা (যা পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে) করিয়ে দেখা, তার গ্লুকোমা নিয়ন্ত্রণে আছে কিনা।
* পরিবারের সবার চোখ পরীক্ষা করিয়ে গ্লুকোমা আছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া।
এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা। ঠিকমতো ওষুধ ব্যবহার করে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চললে গ্লুকোমা রোগী তার স্বাভাবিক দৃষ্টি নিয়ে বাকি জীবন সুন্দরভাবে অতিবাহিত করতে পারেন।
গ্লুকোমা রোগকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব; কিন্তু নিরাময় সম্ভব নয়। এ রোগে দৃষ্টি যতটুকু হ্রাস পেয়েছে তা আর ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। দৃষ্টি যাতে আর কমে না যায়, তার জন্য আমাদের চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে।
প্রচলিত তিন ধরনের চিকিৎসা রয়েছে-
* ওষুধের দ্বারা চিকিৎসা
* লেজার চিকিৎসা
* শৈল্য চিকিৎসা বা সার্জারি
যেহেতু চোখের উচ্চচাপ এ রোগের প্রধান কারণ, তাই ওষুধের দ্বারা চোখের চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়। একটি ওষুধ দ্বারা নিয়ন্ত্রণে রাখা না গেলে একাধিক ওষুধ ব্যবহার করতে হবে। তদুপরি তিন মাস অন্তর অন্তর চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে এ রোগের নিয়মিত কতগুলো পরীক্ষা করিয়ে দেখতে হবে এ রোগ নিয়ন্ত্রণে আছে কিনা। যেমন-
* দৃষ্টিশক্তি পরীক্ষা
* চোখের চাপ পরীক্ষা
* দৃষ্টি ব্যাপ্তি বা ভিজুয়্যাল ফিল্ড পরীক্ষা
* চোখের নার্ভ পরীক্ষা
এ রোগের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো নিয়মিত ওষুধ ব্যবহার করা এবং সময়মতো চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে চক্ষু পরীক্ষা ও তার পরামর্শ মেনে চলা।
রোগীর করণীয়
* চিকিৎসক রোগীর চক্ষু পরীক্ষা করে তার চোখের চাপের মাত্রা নির্ণয় করে তা নিয়ন্ত্রণের জন্য যে ওষুধের মাত্রা নির্ধারণ করে দেবেন তা নিয়মিত ব্যবহার করা।
* দীর্ঘদিন একটি ওষুধ ব্যবহারের কার্যকারিতা কমে যেতে পারে বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে; তাই নিয়মিত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া।
* সময়মতো চোখের বিভিন্ন পরীক্ষা (যা পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে) করিয়ে দেখা, তার গ্লুকোমা নিয়ন্ত্রণে আছে কিনা।
* পরিবারের সবার চোখ পরীক্ষা করিয়ে গ্লুকোমা আছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া।
এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা। ঠিকমতো ওষুধ ব্যবহার করে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চললে গ্লুকোমা রোগী তার স্বাভাবিক দৃষ্টি নিয়ে বাকি জীবন সুন্দরভাবে অতিবাহিত করতে পারেন।