স্বাস্থ্য

ভালো চা চেনার উপায়

 চা আমাদের সংস্কৃতির অংশ৷ বাসায় মেহমান আপ্যায়নের অবিচ্ছেদ্য অংশ চা। কিন্তু আমরা অনেকেই ভালো চা কোনটা তা চিনতে পারি না। চলুন দেখে নিই ভালো চা চেনার উপায়- 

 

১) স্পর্শ করে দেখা:

ভাল মানের পাতার মধ্যে কিছুটা মসৃণতা থাকে। প্রকৃতপক্ষে, বিশেষজ্ঞদের মতে, পাতা হালকা অনুভব করে এবং হাতের তালুতে পাতা রেখে এটির মান পরীক্ষা করা যায়। যে কোনাে ধরনের রুক্ষতা পরীলক্ষিত হলে সেই পাতাগুলাে খুঁজে বের করে ফেলে দেওয়াই হল সেরা উপায়।

 

 ২) ঘ্রাণশক্তির ব্যবহার করুন: চায়ের নিজস্ব স্বতন্ত্র সুগন্ধ রয়েছে এবং যা যে কোন। ভেজাল চা পাতা থেকে সহজেই আলাদা করা যায়। পাতার গন্ধে যদি বিবর্ণ গন্ধ থাকে তবে তা নিম্নমানের | চা। চায়ের একটি শক্তিশালী, ঘাসযুক্ত এবং তাজা সুগন্ধ রয়েছে, যা এর নিজস্বতা যাচাই করতে সহায়তা করে।

 

৩) চা পাতার চেহারা:

বৃক্ষ তােমার নাম কি? ফলে পরিচয়। ঠিক তেমনি ভালাে মানের চা পাতা নিছক চেহারা দেখেই চেনা সম্ভব। বিশেষজ্ঞদের ধারণা অনুযায়ী, চা পাতায় দাগ বা ডালপালা থাকা উচিত নয় এবং কম চূর্ণবিচূর্ণ হওয়া উচিত। এছাড়াও, নিশ্চিত করতে হবে যে পাতাগুলিতে যেনাে কাঠের টুকরাে না থাকে, এটি পাতাকিম সুগন্ধযুক্ত করতে পারে।

 

৪) স্বাদ পরীক্ষা করুন: ভালাে চায়ের কোনাে পরিচয়ের প্রয়ােজন হয় না এর স্বাদই এটির সতেজতা নির্ধারণ করে এবং সর্বোপরি স্বাদ বিচার করাই সর্বোত্তম উপায়। আপনি যে ধরনের চা-ই পছন্দ করেন না কেন শুধুমাত্র একটি চুমুক আপনার স্বাদ সংবেদনকে উদ্দীপিত করতে পারে এবং আপনি বুঝে যাবেন চা পাতা ভাল না খারাপ। 

 

চা খাওয়ার উপকারিতা –

 

চায়ে আছে এপিগ্যালোক্যাটেচিন-গ্যালেট (ইজিসিজি) নামের একধরনের রাসায়নিক পদার্থ, যা খুব কার্যকর অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট। ভিটামিন ‘সি’-এর চেয়ে ১০০ গুণ বেশি ফলদায়ক। এটা ডিএনএ সেলকে এমনভাবে সুরক্ষা দেয়, যেন ক্যানসারের প্রভাবে এর রূপান্তর না ঘটে।

 

* গ্রিন টি তুলনামূলক ভালো, কারণ এটা চা-পাতা শুধু ভাপে সেদ্ধ করে শুকিয়ে তৈরি করা হয়।

 

* গ্রিন টির ইজিসিজি ইউরোকিনেজ নামের এনজাইম তৈরিতে বাধা দেয়। এই এনজাইম ক্যানসার কোষের সংখ্যা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

 

* শুধু চা বেশি উপকারী। দুধ-চিনি মেশানো চায়ের স্বাদ অবশ্য বেশি ভালো। তবে বিজ্ঞানীরা হালকা লাল চায়ের কথাই বেশি বলেন।

 

অতিরিক্ত চা খাওয়ার ক্ষতিকর দিক

 

 যদিও পরিমাণমতাে চা খাওয়া বেশিরভাগ মানুষের জন্য স্বাস্থ্যকর, তবে অত্যধিক চা পান নেতিবাচক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণ হতে পারে, যেমন উদ্বেগ, মাথাব্যথা, হজম সংক্রান্ত সমস্যা এবং অনিদ্রা ইত্যাদি। নীচে অতিরিক্ত চা পানের অপকারিতা সমূহ তুলে ধরা হলাে:

 

  • আয়রন গ্রহণ করার ক্ষমতা কমায় 
  • উদ্বেগ, মানসিক চাপ এবং অস্থিরতা বাড়িয়ে দিতে পারে 
  • অনিয়মিত নিদ্রা 
  • বমি বমি ভাব 
  • হজমে সমস্যা দেখা দিতে পারে
  • গর্ভাবস্থায় জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে 
  • মাথাব্যথা ও মাথা ঘােরানাে 
  • ক্যাফেইনের প্রতি অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link