স্বাস্থ্য

যৌনরোগ ব্যালানাইটিস থেকে বাঁচতে যা জানতে হবে।

যৌনরোগের মধ্যে ব্যালানাইটিস অন্যতম। যৌন রোগ কোনো গোপন করার বিষয় নয়। যৌন রোগ গোপন করলে ভবিষ্যতে তা ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনবে। এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। আসুন আজ ব্যালানাইটিস রোগটি কি, কেন হয়, ব্যালানাইটিস রোগ থেকে বাঁচার উপায় এবং চিকিৎসা সম্পর্কে জানব।

 

[ Balanitis is one of the sexually transmitted diseases. Sexually transmitted disease is not a secret. Concealing sexually transmitted diseases will lead to dire consequences in the future. It can even lead to death. Let’s know today what is balanitis, why it happens, how to get rid of balanitis and treatment. ]

 

ব্যালানাইটিস কি? – What is balanitis?

 

গ্লান্স পেনিস অর্থাৎ লিঙ্গের মাথার অংশের যন্ত্রণাকেই ব্যালানাইটিস বলে। আনসার্কামসাইস্ড, অর্থাৎ ফোরস্কিন অস্ত্রোপচার করে সরানো হয়নি এমন পুরুষদের ক্ষেত্রে এটি বর্তমানে খুব সাধারণ সমস্যা যা নিম্নমানের স্বাস্থ্যবিধি এবং ফোরস্কিনের নিচে ইস্ট সহ অন্যান্য অণুজীব জমে যাওয়ার ফলে হয়। ফলে ব্যালানোপসথাইটিস (গ্লান্স এবং ফোরস্কিনের যন্ত্রণা) এবং পার্শ্ববর্তী পেনাইল টিস্যুতেও ইনফ্ল্যামেশন হতে থাকে। এটি সাধারণত এইচআইভি, ডায়াবেটিস এবং ক্যান্সার আছে তাদের মধ্যে দেখা যায়। এছাড়া অন্যান্য কারণেও হয়। পরিষ্কার-পরিচ্ছিন্ন থাকলে এবং এলার্জি জাতীয় পদার্থ থেকে দূরে থাকলে অনেকটাই এ রোগ প্রতিরোধ করা যায়। বাংলাদেশ মুসলিম প্রধান দেশ। এখানে ছোট থাকতেই প্রায় সবার মুসলমানি (খাৎনা) করা হয়। তাই ব্যালানাইটিস এর রোগী অনেক কম পাওয়া যায়।

 

ব্যালানাইটিস রোগের লক্ষণ  গুলি কী কী?- What are the symptoms of balanitis?

 

  • জনন অঙ্গে চুলকানো

 

  • আক্রান্ত জায়গায় ব্যথা অনুভব হওয়া

 

  • যন্ত্রণাদায়ক ইরেক্শ

 

  • লালভাব ও ছোটো ছোটো ফুসকুড়ি

 

  • লিঙ্গে ফোলাভাব

 

  • গন্ধ যুক্ত ডিসচার্জ

 

এছাড়াও যে লক্ষণ গুলি ব্যালানাইটিস এর দেখা দেয়, তা হলো —

 

ফিমোসিস (ফোরস্কিনের দৃঢ়তা)

 

প্যারাফিমোসিস (ফোরস্কিনকে যখন পূর্ব অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যায় না)

 

ব্যালানাইটিস রোগের কারণ  কী? – What causes balanitis?

 

  • ব্যালানাইটিস আসলে এক ধরনের ইনফ্ল্যামেশন যা কোনো ইনফেকশন অথবা ত্বকের ক্রনিক সমস্যার কারণে হয়৷ 

 

  • গ্লান্সের ত্বকে উপস্থিত অণুজীবগুলির অতিবৃদ্ধির কারণেই ইনফ্ল্যামেশন হয়। উষ্ণ আর্দ্র পরিবেশ এইসব প্রাণীর বৃদ্ধির পক্ষে সহায়ক হয়ে ওঠে।

 

  • এটি মূলত ছত্রাক ক্যানডিডা অ্যালবিকান্স দ্বারা সংক্রমণের কারণে হয়। ডায়াবেটিস সহ কিছু ত্বকের রোগের কারণেও ব্যালানাইটিস হতে পারে।

 

  • অপরিষ্কার এবং নিম্নমানের স্বাস্থ্যবিধির ফলেও ব্যালানাইটিস হতে পারে।

 

  • ফোরস্কিনের নিচে জীবাণু, ঘাম, নোংরা ও মৃত চামড়া জমে চুলকানি হয় ৷

 

  • টাইট ফোরস্কিন এই সমস্যাটিকে আরো বাড়িয়ে তুলতে পারে ৷

 

  • পুরুষের লিঙ্গে সুগন্ধী সাবান, লোশন, এবং স্প্রে-র ব্যবহার ব্যালানাইটিসের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে ৷

 

  • বারবার সাবানের ব্যবহার জনন অঙ্গের ত্বককে শুষ্ক করে তোলে।

 

  • পুরুষের লিঙ্গ পরিষ্কারের সময় সাবান ঠিকমতো ধোয়া না হলে ব্যালানাইটিস হতে পারে।

 

  • কিছু যৌন সংক্রামিত রোগ যেমন গনোরিয়া, ট্রাইকোমোনাস এবং সিফিলিস রোগের কারণে ব্যালানাইটিসের উপসর্গ দেখায়।

 

  • অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস এবং রিয়্যাক্টিভ আর্থারাইটিসের কারণেও ব্যালানাইটিস হতে পারে।

 

  • কিছু ঘুমের ওষুধ, পেইনকিলার, ল্যাক্সেটিভ, অ্যান্টিবায়োটিকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলেও ব্যালানাইটিসের উপসর্গ দেখা দিতে পারে।

 

কিভাবে ব্যালানাইটিস কে নির্ণয় এবং চিকিৎসা করা হয়? – How is balanitis diagnosed and treated?

 

ব্যালানাইটিস নির্ণয় করা হয় যেগুলাের সাহায্যে:

  • ক্লিনিকাল লক্ষণ: এরিথেমেটাস ফুসকুড়ি সঙ্গে

চুলকানি এবং ব্যথা। 

  • চেহারা: লাল প্যাচ এবং তার সাথে ছােটো প্যাপুলা

বা চকচকে কিন্তু ফ্যাকাসে লাল।

  • মাইক্রোস্কোপি: সংক্রমণের জন্য দায়ী জীব সনাক্ত

করা। 

  • ত্বকের বায়ােপসি: শুধুমাত্র যদি রােগ নির্ণয় অস্পষ্ট

থাকে। 

  • মূত্র বিশ্লেষণ: গ্লুকোজের উপস্থিতি পরীক্ষা করা। চিকিৎসায় যা যা লাগে:
  • ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ চিকিৎসা করার জন্য

অ্যান্টিবায়ােটিক। 

  • প্রদাহের জন্য স্টেরয়েড ক্রিম।
  • অ্যান্টি-ফাংগাল ওষুধ ফাংগাল সংক্রমণ এর যত্ন

নিতে ব্যবহার করা যেতে পারে। 

  • পরিস্থিতি গুরুতর হলে, সার্কাপ্সিশন করে নেওয়া সবথেকে ভালাে, কারণ শক্ত চামড়া ওই জায়গাটা পরিষ্কার করতে বাধা দেয়। 
  • ওই জায়গাটা পরিষ্কার করার জন্য সাধারণ লবন জলের ব্যবহার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link