স্বাস্থ্য

নাকের পলিপাস কি? এটি থেকে বাঁচার উপায়

পলিপাস কি?

 

নাকের পলিপাস একটি খুবই মারাত্মক রোগ। পলিপাস থেকে বাঁচতে কিছু বিষয় জানা অত্যন্ত জরুরি। 

 

মানবদেহের রক্তের ইসনোফিল ও সিরাম আইজিই এর পরিমাণ বেড়ে গেলে ঠান্ডা, সর্দি, হাঁচি লেগে থাকে এবং নাকের ভেতরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়ে থাকে যা শ্লৈষ্মিক ঝিল্লিগুলোতে অ্যালার্জি প্রদাহ সৃষ্টি করে। এক ধরনের মাংসপিন্ড ধিরে ধিরে বাড়তে থাকে । প্রথমে এটি আকারে ছোটো থাকে এবং মটরশুটির মতো দেখা যায় । পরবর্তীতে এটি আকারে বড় হয়ে নাকের ছিদ্র বন্ধ করে দেয় । কখনো কখনো নাক থেকে রক্তক্ষরণও হয়ে থাকে । 

 

পলিপাসের প্রকারভেদঃ

নাকের পলিপাস দুই ধরনের হয়ে থাকে । যথাঃ ১) ইথময়ডাল পলিপাস যা এলার্জির কারণে দুই নাকে দেখা দেয়। 

২) এন্ট্রোকোয়ানাল পলিপাস যা ইনফেকশনের কারণে এক নাকে হতে দেখা যায়।

 

পলিপাস এর কারনঃ

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অ্যালার্জি জনিত এবং দীর্ঘমেয়াদী নাক ও সাইনাসের প্রদাহ বা ক্ষত পলিপাস এর প্রধান কারন । কারো কারো ঋতু পরিবর্তনের কারনে অ্যালার্জির কারনে পলিপাস হয় ।  অনেক সময় বংশগত কারনে পলিপাস হয়ে থাকে ।

 

পলিপাস এর লক্ষনঃ

পলিপাস এর বিভিন্ন লক্ষন রয়েছে । যেমনঃ একনাগাড়ে হাঁচি , নাক দিয়ে পানি পড়া , নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম , নাক এবং তালু চুলকানো , নাকে ব্যাথা , মাথা ব্যাথা , জ্বর জ্বর অনুভূতি, খাবারে অরুচি, ঘুমের সময় নাক ডাকা, শরীর শুকিয়ে যাওয়া ও কখনো নাকের মাংস বাইরে বের হয়ে যাওয়া ইত্যাদি ।

 

পলিপাসের চিকিৎসাঃ

পলিপাসের এলোপ্যাথিক চিকিৎসা সাধারনত অপারেশন । তবে অপারেশন করলেই যে ভালো হয়ে যাবে এমন নয় । অ্যালার্জি থেকে দূরে থাকতে পারলে এই রোগ নিয়ন্ত্রনে রাখা সম্ভব । ঠান্ডা লাগা ও ধুলাবালি থেকে দূরে থাকতে হবে।

 

পলিপাস থেকে মুক্ত থাকতে জীবনযাপন পদ্ধতি উন্নত করন খুবই জরুরী। ঠাণ্ডা গরম , ধুলাবালি এড়িয়ে চলতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। সাধারণ কনভেনশনাল চিকিৎসায় পলিপাসের সমস্যায় অপারেশনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসক গণ। তবে হােমিওপ্যাথি চিকিৎসায় অপারেশন ছাড়া পলিপসের চিকিৎসা সম্ভব। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link