স্বাস্থ্য

দ্রুত সময়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট করুন ঘরোয়া পদ্ধতিতে!

প্রেগনেন্সি টেস্ট: 

গর্ভাবস্থা বা প্রেগনেন্সি বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্রেগনেন্সি টেস্ট আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে একটি কার্যকরী পদ্ধতি। 

 

ডাক্তারের কাছে গিয়ে আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে প্রেগনেন্সি টেস্ট করা সবচেয়ে নির্ভুল ও নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি হলেও ঘরোয়া কার্যকর কিছু পদ্ধতি আছে যেগুলো মধ্য যুগের জন্য ছিল ভরসার পদ্ধতি। বর্তমানেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে এসব ঘরোয়া পদ্ধতিগুলো সঠিক ফলাফল দেয় বলে গবেষণায় জানা গিয়েছে । আপনি ঘরোয়া পদ্ধতিতে প্রেগনেন্সি টেস্ট করে ইতিবাচক ফলাফল দেখলে পরবর্তীতে ডাক্তারের কাছে চূড়ান্ত নিশ্চয়তার জন্য  যেতে পারেন। এতে করে প্রাথমিক অবস্থায় আপনার গোপনীয়তা থাকবে।

 

ঘরোয়া পদ্ধতিতে প্রেগনেন্সি টেস্ট করার জন্য তিনটি সহজলভ্য উপাদান এবং পদ্ধতি নিম্নরূপ:

 

লবণ দিয়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট: 

একটি পরিষ্কার বাটি বা গ্লাসে সকালের প্রথম মূত্রের ( ইউরিন ) নমুনা (কিছু পরিমাণ) ঢালতে হবে। এরপর উক্ত ইউরিনে ১/২ চিমটি লবণ যোগ করে তিন মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। ফলাফল ইতিবাচক হলে লবণ ইউরিনের সাথে বিক্রিয়া করবে এবং ক্রিমের মতো জমাট বাঁধবে । আর ফলাফল নেতিবাচক হলে এ জমাট বাঁধবে না। 

 

টুথপেস্ট দিয়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট:

সামান্য পরিমাণ টুথপেস্ট বাটি বা গ্লাসে রাখা ইউরিনের নমুনায় নিলে যদি নীল বর্ণ দেখা যায় বা টুথপেস্টে ফেনা উঠে তবে ফলাফল ইতিবাচক। রং পরিবর্তন বা ফেনা না উঠলে ফলাফল নেতিবাচক। 

 

চিনি দিয়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট:

নমুনায় ১/২ চিমটি চিনি যোগ করলে যদি জমাট বেঁধে নিচে পড়ে থাকে তবে ফলাফল ইতিবাচক। আর জমাট না বেঁধে চিনি দ্রবীভূত হয়ে গেলে ফলাফল নেতিবাচক।

 

প্রেগনেন্সি

 

 

প্রেগনেন্সি টেস্ট মাসিক বন্ধ হওয়ার কতদিন পর করবেন?

 

মাসিক হওয়ার নির্দিষ্ট সময়ের এক সপ্তাহের মধ্যে মাসিক না হলে এক সপ্তাহ পর প্রেগনেন্সি টেস্ট করতে হবে । এর আগে না এবং এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে করাই উত্তম ।

READ MORE:  কণ্ঠের যত্নে অবহেলা করছেন না তো?

সঠিক সময়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট না করলে ভুল রিপোর্ট আসতে পারে।

প্রথমবার প্রেগনেন্সি টেস্ট করার পর ফলাফল নেতিবাচক আসলে তিন দিন পর আবার প্রেগনেন্সি টেস্ট করতে হবে । এরপরও ফলাফল নেতিবাচক আসলে এবং গর্ভাবস্থার লক্ষণগুলো দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

 

সঠিক সময়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট না করলে টেস্ট এ ভুল রিপোর্ট আসার সম্ভাবনা বেশি । তাই প্রেগনেন্সি টেস্ট করা বিষয় এ নির্দিষ্ট সময় মেনে চলা অত্যন্ত জরুরী ।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *