কী এবং কেন?

ফুটবল বিশ্বকাপে পাকিস্তানের একক আধিপত্য

ফিফা র‌্যাংকিংয়ে পাকিস্তানের অবস্থান দু’শরও নিচে। ভারত তো বটেই, বাংলাদেশও এখন পাকিস্তানের উপরে। কিন্তু ১৯৯০ সাল থেকে প্রায় প্রতিটি বিশ্বকাপেই হাজির পাকিস্তান। ম্যারাডোনা থেকে রোমারিও, জিদান থেকে মেসি, পাকিস্তানের সঙ্গ এড়াতে পারেননি কেউই। সেভাবে বললে ঠিক পাকিস্তানও নয়, বলা যেতে পারে পাকিস্তানের ছোট্ট শহর শিয়ালকোট। পাঞ্জাবের উত্তরে এই শহরেই তৈরি হয়েছে কাতার বিশ্বকাপের সব ফুটবল। শিয়ালকোটে তৈরি ফুটবল নিয়েই যুদ্ধে মেতেছিলেন মেসি-রোনাল্ডো-নেইমাররা। শুধু কাতার বিশ্বকাপ নয়, শিয়ালকোট বরাবরই পৃথিবীর ফুটবল তৈরির কারখানা। ১৯৯০ সাল থেকে প্রায় প্রতিটি বিশ্বকাপেই ফুটবল গেছে শিয়ালকোট থেকে। শুধু ফুটবল বিশ্বকাপই নয়, এই মুহূর্তে শিয়ালকোটে তৈরি করা ফুটবলেই খেলা হয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, জার্মানির বুন্দেসলিগা ও ফরাসি লিগ। সারা পৃথিবীর ৪০ শতাংশ ফুটবল তৈরি হয় শিয়ালকোটে।

 

কিভাবে ফুটবল তৈরিতে একক রাজত্ব তৈরি করল পাকিস্তানের শিয়ালকোট? 

 

শিয়ালকোটে ফুটবল তৈরির শুরু অনেকটা কাকতালীয়ভাবে। ভারতে বসবাসকারী ব্রিটিশদের কাছে ফুটবল বরাবরই ছিল জনপ্রিয় খেলা। তাদের জন্য জাহাজে ইংল্যান্ড থেকে ফুটবল আসত ভারতে। অনেক সময় ফুটবল আসতে দেরি হতো। তো এক ইংরেজ একবার তার নষ্ট ফুটবল শিয়ালকোটের এক মুচিকে দেন ঠিক করতে। মুচি তার হাতের সুনিপুণ দক্ষতায় এত সুন্দর করে ফুটবলটি সারিয়ে দেন যে ইংরেজ খুশি হয়ে তাকে অর্থ প্রদান করেন একদম নতুন একটি ফুটবল বানিয়ে দেয়ার জন্য। সেই থেকে শুরু। শিয়ালকোট এর কারিগররা ফুটবল তৈরিতে পেছনে ফেলেছে সবাইকে। আর পাকিস্তান বিশ্বকাপ না খেলেও প্রতিবারই উপস্থিত ফুটবল বিশ্বকাপে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link