কী এবং কেন?

কিভাবে কাজ করে (VAR) ভিডিও এসিস্ট্যান্ট রেফারি?

ভিডিও এসিস্ট্যান্ট রেফারি VAR কিভাবে কাজ করে??

 

এই বিশ্বকাপে ইতিমধ্যে ১০ টি গোল বাতিল হয়েছে অফসাইডের কারণে। এই অফসাইড সনাক্ত করা হয়েছে ভিডিও এসিস্ট্যান্ট রেফারি এর মাধ্যমে। এই প্রযুক্তি ফিফা বিশ্বকাপে এই প্রথম ব্যবহার করা হচ্ছে। 

 

কীভাবে কাজ করে এই VAR প্রযুক্তি? 

 

খেলার মাঠে ব্যবহৃত ৩৩ টি ব্রডকাস্ট ক্যামেরার সমন্বয়ে এই ‘VAR’ টিম কাজ করে। এই ভিএআর টিম পরিচালনার জন্য ১৩ জন রেফারি রয়েছেন যারা এই ৩৩ টি ক্যামেরার এক্সেস পেয়ে থাকেন। এবং আরও দুইটি বিশেষ ক্যামেরা রয়েছে যা শুধু অফসাইড নির্ধারণের ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হচ্ছে। 

উল্লেখ্য যে, ভিএআর টেকনোলজি নিজে কোন সিদ্ধান্ত নেয় না, এটির পরিচালনায় নিয়োজিত রেফারিরা ক্যামেরার ভিডিওগুলো দেখে পর্যালোচনা করে মাঠে থাকা রেফারিকে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করে থাকেন। 

মাঠের বেশ কয়েকটি স্থানে বসানো রয়েছে ভিএআর ডিসপ্লে মনিটর যার মাধ্যমে কোন প্রকার রিভিউ এর আবেদন আসলে রেফারি ভিএআর কন্ট্রোলরুমের সাথে যোগাযোগ করে সেই ডিসপ্লে মনিটরের মাধ্যমে রিপ্লে দেখে সিদ্ধান্ত নেন। এছাড়া প্লেয়ারদের শরীরে ১৩টি সেন্সর লাগানো থাকে যা থেকে ডাটা কালেকশন করা হয়। ফুটবলের ভেতর ঠিক মাঝখানেও রয়েছে একটি সেন্সর। 

 

VAR(ভিএআর) কী কী সিদ্ধান্ত নিতে পারে?

 

মূলতঃ চারটি বিশেষ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে এই ভিএআর টেকনোলজি কাজ করছে। 

১. গোল হওয়া কিংবা না হওয়ার সিদ্ধান্ত , অনেক সময় অফসাইড থাকা অবস্থায় গোল হয় কিংবা বলটি সত্যিকার অর্থে গোলপোস্টে ঢুকলো কি না সেটা পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে  এই প্রযুক্তি কাজ করে। গোলপোস্টের পেছনে একাধিক ক্যামেরা লাগানো রয়েছে যেগুলো প্রয়োজনে সুপার স্লো-মোশনে রিপ্লাই করে দেখার ব্যবস্থা রয়েছে।

২.পেনাল্টি এর সিদ্ধান্ত কিংবা প্রতিপক্ষ আবেদন করলে তা খতিয়ে দেখা হয়। অনেক সময় গোলপোস্ট-বক্স এর মধ্যে হ্যান্ডবল, ফাউল হয়ে থাকে এবং রেফারি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দিলে সেক্ষেত্রে প্রতিপক্ষ রিভিউ এর আবেদন করতে পারে।

৩. বড় ধরণের কোন অঘটন ঘটলে সরাসরি লাল কার্ড প্রদানের সিদ্ধান্ত । 

৪. এবং মাঠের রেফারি কিছু মিস করলে তাকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করা। 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link