বিজ্ঞান জিজ্ঞাসা

পিরামিড রহস্য

পৃথিবীর অনেক রহস্যই আছে যেগুলো হয়তো আমরা কোনদিনই জানতে পারব না তার মধ্যে একটি হলো পিরামিড এর রহস্য ।

 

এই পিরামিড নিয়ে রহস্যের শেষ নেই। যতই জানা হয় ততই বাকী থেকে যায়। আজ থেকে ৪০০০ বছর আগে এই পিরামিড কেনো সৃষ্টি করা হয়েছিলো সেটা যেমন আজও রহস্য, সেই সাথে কেনো সৃষ্টি করা হয়েছিল সেটাও রহস্য রয়ে গেছে আজও।

 

বিজ্ঞানিকদের মতে এই পিরামিড সৃষ্টি হয়েছিল আজ থেকে চার হাজার বছর আগে,কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার হলো দুনিয়ার সপ্তম আশ্চর্যের মধ্যে বাকি 6 টি আশ্চর্য সময়ের সাথে কবে যে অবলুপ্ত হয়ে গেছে আমরা জানতেই পারলাম না, এখন পড়ে রয়েছে শেষ আশ্চর্য সেটি হল গিজার মহান পিরামিড । 

 

পিরামিড গুলির সাথে আকাশের নক্ষত্রের এক বিশাল সম্পর্ক আছে পিরামিড গুলি যখন বানানো হয়েছিল তখন নক্ষত্রের অবস্থান খুব ভালোভাবে দেখে বানানো হয়েছিল, পিরামিডের 4 কোন যদি দেখা যায় তাহলে আপনি অবশ্যই দেখতে পাবেন যে, 4 কোন দিয়ে আসলে চারটি নক্ষত্রের অবস্থান বুঝানো হচ্ছে।

আরেকটা আশ্চর্যের ব্যাপার আপনি যদি পৃথিবীর মানচিত্র দেখেন এবং আপনি যদি সেখানে পৃথিবীর মূল কেন্দ্র দেখেন তাহলে আপনি পাবেন এই মূল কেন্দ্রে অবস্থান করছে এই মহান পিরামিড ।

 

 আপনার কি মনে হয় এই যে নক্ষত্রের সাথে অবস্থান এবং এই যে পৃথিবীর মূল কেন্দ্রে পিরামিডের অবস্থান এসবই কী অদ্ভুতভাবে হয়ে গেছিল নাকি এগুলো সমস্ত কিছুই প্ল্যান করে ভেবেচিন্তে বানানো হয়েছে?

 

আরেকটা আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে যে আমরা কিছুদিন আগে পর্যন্ত জানতাম যে পৃথিবী গোল নয় পৃথিবী ফ্ল্যাট তাহলে আজ থেকে চার হাজার বছর আগে যারা পিরামিড তৈরি করেছে তারা কিভাবে পৃথিবীর সেন্টার আবিষ্কার করে সেই জায়গাতে পিরামিড তৈরি করল নাকি এই পিরামিড তৈরির পিছনে বাইরের কোন সভ্যতার হাত আছে আপনি কি মনে করেন? 

 

আকাশে একটি ওরাইন বেল্ট আছে যেখানে তিনটি তারা আছে Alnitak , Alnilam , Mintaka, গিজার তিনটি পিরামিডের সাথে এই তিনটি তারা সমান সরলরেখায় অবস্থান করে ,এই পিরামিডের সাথে যে এই তারাদের অবস্থান এটাও কি এমনি এমনি হয়ে গেছিলো নাকি,এটিও সঠিকভাবে ভেবেচিন্তে বানানো হয়েছিল?

 

পিরামিড কেন বানানো হয়েছিল এটা নিয়ে অনেক তথ্য আছে বিজ্ঞানীদের কাছে?

 

১) এগুলো কি বানানো হয়েছিল মিশরীয় রাজাদের কবর রাখার জন্য?

 

২)এগুলো কি বানানো হয়েছিল তখনকার দিনে খাবার এবং বিভিন্ন বহুমূল্য জিনিসপত্র বাঁচানোর জন্য?

 

৩) এগুলো কি বানানো হয়েছিল কোন সাইন্স এক্সপেরিমেন্ট করার জন্য নাকি কোন পাওয়ার হাউজ বানানোর জন্য?

 

এরাম প্রশ্ন তো অনেক আছে কিন্তু সঠিক জবাব একটাও নেই?

 

রহস্যের মধ্যে বলতে গেলে, সবচেয়ে বড় এবং গভীর রহস্যটি হচ্ছে, আসলে এই পিরামিডগুলোকে কিভাবে বানানো হয়েছিল? কিন্তু এটার সঠিক জবাব এখনও নেই আমাদের কাছে।

 

পিরামিড যে সময় কালে তৈরি হয়েছিল সেই সময় কালে চাকার আবিষ্কার হয়নি তো তখন ওরা কিভাবে ওই ভারি পাথরগুলোকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যেত, তখন লোহারও আবিষ্কার হয়নি তাহলে ওরা ওই ভারি পাথরগুলোকে কিভাবে কেটে সঠিক আকার দিয়ে পিরামিড বানালো? 

 

মহান পিরামিডের ওজন 57 লাখ 50 হাজার টন,

আর আজকের দিনে বুর্জ খালিফার ওজন মাত্র 5 লাখ টন। তাহলে ভাবুন কত ভারী মহান পিরামিড।

আর আজ বুর্জ খলিফার ওজন মাত্র পাঁচ লাখ টন। এখন ভাবেন যে, দুর্দান্ত পিরামিডটি কতটা ভারী!

আইফেল টাওয়ারটি 450 ফুট উঁচুতে নির্মিত হওয়ার আগে গ্রেট পিরামিডটি ছিল দীর্ঘতম বিল্ডিং।  পিরামিডগুলি ২.১ মিলিয়নেরও বেশি চুনাপাথর ব্যবহার করে নির্মিত হয়েছিল, যার ওজন ২,৮০০ কিলোগ্রাম এবং ৮২,০০০ কিলোগ্রামের মধ্যে ছিল।

 

এখানে প্রশ্ন হ’ল, এমন ভারী পাথর তখন কীভাবে এত উঁচু জায়গায় পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছিল, যখন কোনও ক্রেনও ছিল না?

 

 

অনুমান করা হয় যে, গিজার মহান পিরামিড তৈরি করা হয়েছিল কুড়ি বছর ধরে , আর বলা হয়েছে যে পাহাড় থেকে এই ভারী পাথর গুলো কেটে দড়ি এবং লাঠির মাধ্যমে নিয়ে আসা হয়েছিল যদি এই ভাবেই সম্ভব হয় তাহলে,প্রতিটি পাথর কেটে উঁচু জায়গায় নিয়ে আসার জন্য তাদের কাছে সময় থাকতো মাত্র আড়াই মিনিট ।

 

এটা শুনেই মনে হচ্ছে না যে এটা সম্ভব বলে তাহলে এটা প্র্যাকটিক্যালি ভেবে দেখুন যেটা কিভাবে সম্ভব?

 

হয়তো তারা আমাদের থেকে অনেক বেশি উন্নত ছিল টেকনিক্যাল দিক থেকে, বা হতে পারে তাদের কোনো বাইরের সভ্যতা সাহায্য করেছিল এটি বানানোর জন্য ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link