যেসব ভুলে পড়ছে চুল এবং চুল পড়া বন্ধ করার উপায়

চুল পড়া বন্ধ করার উপায়

চুল পড়া বন্ধ করার উপায় কী?

চুল কিরূপ অমূল্য সম্পদ, সেটি সেই ব্যক্তিই উপলব্ধি করতে পারেন যার চুল পড়ে টাক হয়ে যাচ্ছে। চুল পড়ে যাচ্ছে এটি যেন তখন একমাত্র চিন্তার বিষয়। পূর্বে, নানারুপ বাহারি সাজে চুল কাটা হত। চুল পড়ে যাচ্ছে বলে এখন অন্যের পরামর্শ মত চুল ছোট করে রাখছে বলে আগের সেই সৌন্দর্য এখন আর আয়নায় ফুটে উঠে না। 

এরূপ চিন্তা ধারা নিয়ে প্রতিনিয়ত সমাধান খুঁজে যাচ্ছে চুলের সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা। চুল কিন্তু কম বেশি সবারই পড়ে তবে এটি চিন্তার কারন হয়ে দাঁড়ায় যখন সেটি মাত্রা অতিরিক্ত হয়ে চুলের ঘনত্ব কমিয়ে দেয়। একটি কথা প্রচলিত রয়েছে, চুল অতিরিক্ত পড়ার কারণ নাকি চুল নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা ভাবনাই দায়ী। কথা যেটিই হোক মূল বিষয়টি হচ্ছে চুল কেন পড়ে যাচ্ছে তা খুজে বের করে চিকিৎসার আওতায় আসাই চুল পড়া বন্ধ করার উপায়। 

চুলের যত্ন নেওয়া এর মানে এই নয় যে শুধু বাইরে থেকে যত্ন নেওয়া। চুলের বাহ্যিক যত্নের সাথে সাথে পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ বাঞ্চিয়। যেমন সকালের নাশতায় অবশ্যই দুধ, ডিম ও কলা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এই তিনটি খাবার চুলের জন্য খুব উপযোগী। এছাড়াও আর ও কয়েকটি বিষয় রয়েছে যা আমাদের চুলের স্বাস্থ্য ভাল রেখে চুল পড়া পুরোপুরি বন্ধ করতে পারে। 

 

প্রাকৃতিকভাবে চুল ঘন করার উপায়

 

খাদ্যাভ্যাসে চোখ রাখুনঃ

চুল পড়ার অন্যতম একটি কারন হচ্ছে পরিমিত পুষ্টির অভাব। তাই নিয়মিত সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। চুল নিজেও একটি প্রোটিন এবং এর প্রয়োজন প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাবার। সামুদ্রিক মাছ, ভিটামিন ই যুক্ত খাবার ডিম, দুধ চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

 

অবশ্যই চুলে তেল দিতে হবে:

চুল পড়া বন্ধের আরও একটি কার্যকরী সাধারণ উপায় হচ্ছে তেলের ব্যবহার।চুল পড়া বন্ধ করার তেল হিসেবে সব থেকে উপকারি হচ্ছে নারিকেল তেলের ব্যবহার। সপ্তাহে একদিন অবশ্যই নারকেল তেল ব্যবহার করে ম্যাসাজ করতে হবে। এর মাঝে উপস্থিত অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য, ব্যাকটেরিয়া বা ফাঙ্গাসের আক্রমণ থেকে চুলকে রক্ষা করে। 

 

 

হেয়ারপ্যাক: 

চুল যদি বেশি পড়তে থাকে তাহলে হেয়ার প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। কিছু প্রকাতিক উপাদান যেমন ঘৃতকুমারী, নিমের গুঁড়ো, আমলকী সম পরিমাণে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করতে হবে। ১ ঘণ্টার মত রেখে হালকা গরম পানি ব্যবহারে ধুয়ে ফেলতে হবে। এছাড়াও টক দই, ডিম, মেথির গুঁড়ো ব্যবহারেও হেয়ার প্যাক বানাতে পারেন। হেয়ার প্যাক সপ্তাহে দুই দিন ব্যবহারে ভাল ফল পাওয়া যায়।    

 

 

কেমিক্যালযুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন না: 

কেমিক্যালযুক্ত শ্যাম্পুতে এমন কিছু কার্যকরী কেমিক্যাল থাকে যা আপনার চুল পড়াকে তাড়নিত করতে পারে। শ্যাম্পুর উপাদানে প্রাকৃতিক উপাদান যেমন বিটরুট নির্যাস, তেঁতুলের বীজ আছে কি না তা দেখে শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। এই উপাদানগুলো কার্যকরভাবে মাথার তালু পরিষ্কার করতে সক্ষম। 

 

পেঁয়াজের রস ব্যবহার করুনঃ

চুল পড়া বন্ধে পেঁয়াজের রসের কার্যকরীতা মোটামোটি সবারই জানা। পেয়াজের রসে থাকে সালফার মিনারেলস এবং ভিটামিন যা চুল পড়া বন্ধের সাথে সাথে চুল ঘন করতে ও দারুণ ভুমিকা রাখে।   

 

 

চুল পরিষ্কারে ব্যবহার করুন কুসুম গরম পানিঃ

অনেকে ভেবে থাকি গরম পানি ব্যবহারে ময়লা ভাল পরিষ্কার হয়। হ্যাঁ সেটি সঠিক , তবে আপনার মাথার ত্বককে অন্য সাধারণ বস্তুর সাথে তুলনা করলে চলবে না। মনে রাখতে হবে গরম পানি মাথার তালুর ক্ষতি করে থাকে, এতে চুল চুল দুর্বল হয়ে পড়া আর ও বেড়ে যেতে পারে। তাই চুল ধুতে হালকা কুসুম গরম পানি ব্যবহার করা উপযোগী।

চুল পড়া বন্ধ করার উপায়

 

 

চুল পড়া বন্ধ করার ঔষধ

চুল পড়া বন্ধের কার্যকরী ও প্রচলিত দুটি  ওষুধ হচ্ছে মিনোক্সিডিল এবং ফিনাস্টেরাইড। এর ভেতর ফিনাস্টেরাইড শুধু মহিলাদের ব্যবহারের জন্য এবং মিনোক্সিডিল পুরুষ ও মহিলা উভয়ের জন্য। এরা চুল পড়া রোধ করে চুল দ্রুত ঘন করতে সক্ষম। এবং কিছু মাসের ভেতর চুল পূর্বের তারুন্যে ফিরে যায়। তবে এর ব্যবহার করতে হয় নিয়মিত এবং নিদিষ্ট সময় পড় এর ব্যবহারএর ঘনমাত্রা বাড়াতে হয়। ব্যবহার বন্ধে আবার চুল পড়া শুরু হতে পারে।

 

চুল পড়া বন্ধ করার দোয়া

ইসলামের কোন রোগ মুক্তি ও সুরাহার জন্য দোয়ার ব্যবহার রয়েছে। কারণ একমাত্র সিফা বা সুস্থতা দান করা সৃষ্টিকর্তার হাতে।

চুল পড়া বন্ধ করার দোয়া টি হচ্ছে  “মুসাল্লামা তুল্লা শিয়াতা ফি-হা (সুরা বাকারাহ আয়াত ৭১)

তেল হাতের তালুতে নিয়ে দোয়াটি তিনবার পড়ে তেলে ফু দিয়ে মাথায় মালিশ করতে হবে।

 

উপরের প্রতিটি বিষয় চুল পড়ার কারণ এবং এর প্রতিকার। উপরের চুল পড়া বন্ধ করার উপায় ছেলেদের এবং মেয়েদের উভয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *