ইসলামইসলামিক বিষয়াদি

গায়েব জানতেন কি মহানবী ( সা:)?

Important things to know

Mohanobi ( S.) didn’t know unknown।

Bisshonobi ( S.) । Mohammad ( S.) । 

Ayesha ( R. )।

 

৭৩৮০ | সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)

বাংলা/ العربية

English

পরিচ্ছেদঃ ৯৭/৪. আল্লাহর বাণীঃ তিনি অদৃশ্য সম্পর্কে জ্ঞাত, তিনি তাঁর অদৃশ্যের জ্ঞান কারো কাছে প্রকাশ করেন না- (সূরাহ জ্বিন ৭২/২৬)। ক্বিয়ামাতের জ্ঞান কেবল আল্লাহর কাছে রয়েছে- (সূরাহ লুক্বমান ৩১/৩৪)। তা তিনি জেনে শুনে নাযিল করেছেন- (সূরাহ আন্-নিসা ৪/১৬৬)। তাঁর অবগতি ব্যতীত কোন নারী গর্ভ ধারণ করে না বা (তার বোঝা) হালকা করে না – (সূরাহ ফাতির ৩৫/১১)। ক্বিয়ামাতের জ্ঞান কেবল তাঁরই আছে- (সূরাহ ফুসসিলাত ৪১/৪৭)।

 

৭৩৮০. ’আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি তোমাকে বলে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বীয় রবকে দেখেছেন, সে মিথ্যা বলল। কেননা আল্লাহ্ বলছেন, চক্ষু তাঁকে দেখতে পায় না। আর যে ব্যক্তি তোমাকে বলে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গায়েব জানেন, সেও মিথ্যা বলল। কেননা আল্লাহ্ বলেন, গায়িব জানেন একমাত্র আল্লাহ্। [৩২৩৪] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৬৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৬৬)

 

بَاب قَوْلِ اللهِ تَعَالَى: {عَالِمُ الْغَيْبِ فَلاَ يُظْهِرُ عَلٰى غَيْبِهِ أَحَدًا} وَ {إِنَّ اللهَ عِنْدَهُ عِلْمُ السَّاعَةِ} وَ {أَنْزَلَهُ بِعِلْمِهٖ وَمَا تَحْمِلُ مِنْ أُنْثٰى وَلاَ تَضَعُ إِلاَّ بِعِلْمِهٖ إِلَيْهِ يُرَدُّ عِلْمُ السَّاعَةِ} قَالَ يَحْيَى الظَّاهِرُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ عِلْمًا وَالْبَاطِنُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ عِلْمًا

 

مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ إِسْمَاعِيلَ عَنْ الشَّعْبِيِّ عَنْ مَسْرُوقٍ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ مَنْ حَدَّثَكَ أَنَّ مُحَمَّدًا صلى الله عليه وسلم رَأَى رَبَّهُ فَقَدْ كَذَبَ وَهُوَ يَقُولُ (لاَ تُدْرِكُهُ الأَبْصَارُ) وَمَنْ حَدَّثَكَ أَنَّهُ يَعْلَمُ الْغَيْبَ فَقَدْ كَذَبَ وَهُوَ يَقُولُ لاَ يَعْلَمُ الْغَيْبَ إِلاَّ اللهُ

 

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আয়িশা বিনত আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)  ৯৭/ তাওহীদ (كتاب التوحيد)

৭৩৮০ | সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)

বাংলা/ العربية

English

পরিচ্ছেদঃ ৯৭/৪. আল্লাহর বাণীঃ তিনি অদৃশ্য সম্পর্কে জ্ঞাত, তিনি তাঁর অদৃশ্যের জ্ঞান কারো কাছে প্রকাশ করেন না- (সূরাহ জ্বিন ৭২/২৬)। ক্বিয়ামাতের জ্ঞান কেবল আল্লাহর কাছে রয়েছে- (সূরাহ লুক্বমান ৩১/৩৪)। তা তিনি জেনে শুনে নাযিল করেছেন- (সূরাহ আন্-নিসা ৪/১৬৬)। তাঁর অবগতি ব্যতীত কোন নারী গর্ভ ধারণ করে না বা (তার বোঝা) হালকা করে না – (সূরাহ ফাতির ৩৫/১১)। ক্বিয়ামাতের জ্ঞান কেবল তাঁরই আছে- (সূরাহ ফুসসিলাত ৪১/৪৭)।

 

৭৩৮০. ’আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি তোমাকে বলে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বীয় রবকে দেখেছেন, সে মিথ্যা বলল। কেননা আল্লাহ্ বলছেন, চক্ষু তাঁকে দেখতে পায় না। আর যে ব্যক্তি তোমাকে বলে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গায়েব জানেন, সেও মিথ্যা বলল। কেননা আল্লাহ্ বলেন, গায়িব জানেন একমাত্র আল্লাহ্। [৩২৩৪] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৬৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৬৬)

 

بَاب قَوْلِ اللهِ تَعَالَى: {عَالِمُ الْغَيْبِ فَلاَ يُظْهِرُ عَلٰى غَيْبِهِ أَحَدًا} وَ {إِنَّ اللهَ عِنْدَهُ عِلْمُ السَّاعَةِ} وَ {أَنْزَلَهُ بِعِلْمِهٖ وَمَا تَحْمِلُ مِنْ أُنْثٰى وَلاَ تَضَعُ إِلاَّ بِعِلْمِهٖ إِلَيْهِ يُرَدُّ عِلْمُ السَّاعَةِ} قَالَ يَحْيَى الظَّاهِرُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ عِلْمًا وَالْبَاطِنُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ عِلْمًا

 

مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ إِسْمَاعِيلَ عَنْ الشَّعْبِيِّ عَنْ مَسْرُوقٍ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ مَنْ حَدَّثَكَ أَنَّ مُحَمَّدًا صلى الله عليه وسلم رَأَى رَبَّهُ فَقَدْ كَذَبَ وَهُوَ يَقُولُ (لاَ تُدْرِكُهُ الأَبْصَارُ) وَمَنْ حَدَّثَكَ أَنَّهُ يَعْلَمُ الْغَيْبَ فَقَدْ كَذَبَ وَهُوَ يَقُولُ لاَ يَعْلَمُ الْغَيْبَ إِلاَّ اللهُ

 

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আয়িশা বিনত আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)  ৯৭/ তাওহীদ (كتاب التوحيد)

৪৩৩৬ | সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)

বাংলা/ العربية

English

পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ الله يعلم ما تحمل كل أنثى প্রত্যেক নারী যা গর্ভে ধারন করে এবং জরায়ু তে যা কিছু কমে ও বাড়ে আল্লাহ তা জানেন। غيض হ্রাস পেল ।

 

ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ৪৩৩৬, আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ৪৬৯৭

সুরা রা’দ

 

ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বলেন, كَبَاسِطِ كَفَّيْهِ যেমন, কেউ হাত বাড়িয়ে দেয়। এটি মুশরিকের দৃষ্টান্ত যারা ’ইবাদাতে আল্লাহ্ ব্যতীত অন্যকে শরীক করে। যেমন পিপাসার্ত ব্যক্তি যে দূর থেকে পানি পাওয়ার আশা করে, অথচ পানি সংগ্রহ করতে সমর্থ হয় না। অন্যেরা বলেন, سَخَّرَ সে অনুগত হল।’’ مُتَجَاوِرَاتٌ পরস্পর নিকটবর্তী হল। الْمَثُلَاتُ (উপমা, দৃষ্টান্ত) مَثُلَةٌ-এর বহুবচন। আল্লাহ্ তা’আলা বলেছেন, ’ওরা কি ওদের পূর্বে যা ঘটেছে তারই অনুরূপ ঘটনারই প্রতীক্ষা করে? بِمِقْدَارٍ নির্দিষ্ট পরিমাণ। مُعَقِّبَاتٌ ফেরেশতা, যারা একের পর এক সকাল-সন্ধ্যায় বদলি হয়ে থাকে। যেমন عَقِيْبُ পিছনে (বদলি)। যেমন বলা হয় عَقَّبْتُ فِيْٓ إِثْرِهِ আমি তার পরে (বদলি) এসেছি। الْمِحَالِ শাস্তি كَبَاسِطِ كَفَّيْهِ إِلَى الْمَآءِ সে তৃষ্ণার্তের মত, যে নিজের দুই হাত পানির দিকে বাড়িয়ে দেয়, পানি পাওয়ার জন্য। رَابِيًا (বর্ধনশীল) رَبَايَرْبُوْ থেকে গঠিত। زَبَدٌ ফেনা, সর। الْمَتَاعُ যা দ্বারা উপকৃত হওয়া যায়, যা উপভোগ করা হয়। جُفَاءً বলা হয়, গোশতের পাতিল যখন উত্তপ্ত করা হয়, তখন তার ওপরে ফেনা জমে। এরপর ঠান্ডা হয় এবং ফেনার বিলুপ্তি ঘটে। সেরূপ সত্য, বাতিল (মিথ্যা) থেকে আলাদা হয়ে থাকে।’’ الْمِهَادُ বিছানা يَدْرَءُوْنَ তারা প্রতিহত করে। دَرَأْتُهُ ও دَفَعْتُهُ আমি তাকে দূরে হটিয়ে দিলাম। মালায়িকাহ বলবেন, سَلَامٌ عَلَيْكُمْ তোমাদের ওপর শান্তি বর্ষিত হোক। وَإِلَيْهِ مَتَابِ আমি তাঁর কাছে প্রত্যাবর্তন করছি। أَفَلَمْيَيْئَسْ এটা কি তাদের কাছে প্রকাশ পায়নি, قَارِعَةٌ আকস্মিক বিপদ فَأَمْلَيْتُ আমি অবকাশ দিয়েছি। مَلِيِّ ও مِلَاوَةٌ হতে পঠিত। সে অর্থে مَلِيًّا ব্যবহৃত। প্রশস্ত ও দীর্ঘ যমীনকে مَلًى مِنَ الْأَرْضِ বলা হয়। أَشَقُّ (অধিক কঠিন) اِسْمِ تَفْضِيْلَ-مَشَقَّةِ থেকে গঠিত। مُعَقِّبَ পরিবর্তনশীল। মুজাহিদ (রহ.) বলেন, مُتَجَاوِرَاتٌ অর্থ, কিছু জমি কৃষি উপযোগী এবং কিছু জমি কৃষির অনুপযোগী। আর তাতে একটা থেকে দুই বা ততোধিক খেজুর গাছ উৎপন্ন হয় এবং কতিপয় যমীনে পৃথক পৃথকভাবে উৎপন্ন হয়। সেরূপ অবস্থা আদম (আঃ)-এর সন্তানদের। কেউ নেক্কার আর কেউ বদকার, অথচ সকলেই আদমের সন্তান। السَّحَابُ الثِّقَالُ পানিতে পূর্ণ মেঘমালা। كَبَاسِطِ كَفَّيْهِ তৃষ্ণার্ত ব্যক্তি মুখ দিয়ে পানি চায় এবং হাত দিয়ে পানির দিকে ইশারা করে। তারপর সে সর্বদা তা থেকে বঞ্চিত থাকে। سَالَتْ أَوْدِيَةٌ بِقَدَرِهَا নানাসমূহ তার পরিমাণ মাফিক প্রবাহিত হয়ে ’’বাতনে ওয়াদী’’ কে ভরে দেয়। زَبَدًا رَابِيًا প্রবাহিত ফেনা। লোহা ও অলংকার উত্তপ্ত করা হলে যেমন ময়লা বের হয়ে আসে।

READ MORE:  সূরা ইয়াসিন কেন এতটা গুরুত্বপূর্ণ?

 

৪৩৩৬। ইব্রাহিম ইবনু মুনযির (রহঃ) … ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত , নিশ্চয়ই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ইল্‌ম গায়েব এর চাবি কাঠি পাঁচটি, যা আল্লাহ ভিন্ন আর কেউ জানেনা। তা হল, আগামী দিন কি হবে তা আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানেনা। মাতৃগর্ভে কি আছে তা আল্লাহ ভিন্ন আর কেউ জানেনা। বৃষ্টি কখন আসবে তা আল্লাহ ব্যতিত আর কেউ জানেনা। কোন ব্যাক্তি জানেনা তার মৃত্যু কোথায় হবে এবং কিয়ামত কবে সংঘটিত হবে তা আল্লাহ ভিন্ন আর কেউ জানেনা।

 

باب قوله الله يعلم ما تحمل كل أنثى وما تغيض الأرحام غيض نقص

 

حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ، حَدَّثَنَا مَعْنٌ، قَالَ حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَفَاتِيحُ الْغَيْبِ خَمْسٌ لاَ يَعْلَمُهَا إِلاَّ اللَّهُ لاَ يَعْلَمُ مَا فِي غَدٍ إِلاَّ اللَّهُ، وَلاَ يَعْلَمُ مَا تَغِيضُ الأَرْحَامُ إِلاَّ اللَّهُ وَلاَ يَعْلَمُ مَتَى يَأْتِي الْمَطَرُ أَحَدٌ إِلاَّ اللَّهُ، وَلاَ تَدْرِي نَفْسٌ بِأَىِّ أَرْضٍ تَمُوتُ، وَلاَ يَعْلَمُ مَتَى تَقُومُ السَّاعَةُ إِلاَّ اللَّهُ ‏”‏‏.‏

 

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)  ৫২/ তাফসীর (كتاب تفسير)

৪৪১৬ | সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)

বাংলা/ العربية

English

পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ্‌ তা’আলার বাণীঃ “নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌, তারই কাছে রয়েছে কিয়ামতের জ্ঞান (অর্থাৎ কখন ঘটবে)

 

ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ৪৪১৬, আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ৪৭৭৮

৪৪১৬। ইয়াহ্ইয়া ইবনু সুলায়মান (রহঃ) … আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, গায়েবের চাবি পাঁচটি। এরপর তিনি এ আয়াত পাঠ করলেনঃ কিয়ামতের জ্ঞান কেবল আল্লাহ্ তা’আলারই রয়েছে।

 

باب قوله إن الله عنده علم الساعة

 

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ حَدَّثَنِي ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ حَدَّثَنِي عُمَرُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ زَيْدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ أَبَاهُ، حَدَّثَهُ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏”‏ مَفَاتِيحُ الْغَيْبِ خَمْسٌ ‏”‏ ثُمَّ قَرَأَ ‏(‏إِنَّ اللَّهَ عِنْدَهُ عِلْمُ السَّاعَةِ‏)‏‏.‏

 

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)  ৫২/ তাফসীর (كتاب تفسير)

READ MORE:  "সেহরি খাবো রাখবো রোজা" গজলের শুদ্ধ লিরিক্স

৬৮৭৫ | সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)

বাংলা/ العربية

English

পরিচ্ছেদঃ ৩১০৬. আল্লাহর বাণীঃ তিনি অদৃশ্যের পরিজ্ঞাতা, তিনি তাঁর অদৃশ্যের জ্ঞান কারো কাছে প্রকাশ করেন না। (৭২ঃ ২৬)। (মহান আল্লাহর বাণী) কিয়ামতের জ্ঞান কেবল আল্লাহর কাছে রয়েছে (৩১ঃ ৩৪)। তা তিনি জেনে শুনে অবতীর্ণ করেছেন (৪ঃ ১৬৬)। কোন নারী তার গর্ভে কি ধারণ করবে এবং কখন তা প্রসব করবে তা তাঁর জানা আছে। কিয়ামতের জ্ঞান কেবল আল্লাহ্‌র হাতেই ন্যস্ত। আবূ আবদুল্লাহ্ [(বুখারী (রহঃ)] বলেন, ইয়াহ্ইয়া (রহঃ) বলেছেন, মহান আল্লাহ্‌ জ্ঞানের আলোকে সমস্ত সৃষ্টির উপর প্রকাশমান, আবার তিনি জ্ঞানের আলোকে সবকিছুতেই পরিলুপ্ত

 

৬৮৭৫। খালিদ ইবনু মাখলাদ (রহঃ) … ইবনু উমর (রাঃ) সুত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ গায়েবের কুঞ্জি পাঁচটি, যা আল্লাহ ছাড়া অন্য কেউই জাননা। (১) মাতৃজঠরে কি গুপ্ত রয়েছে তা জানেন একমাত্র আল্লাহ। (২) আগামীকাল কি সংঘটিত হবে তাও জানেন একমাত্র আল্লাহ (৩) বৃষ্টিপাত কখন হবে তাও একমাত্র আল্লাহ ছাড়া অন্য কেউই জানে না। (৪) কে কোন ভূমিতে মারা যাবে তা আল্লাহ ছাড়া অন্য কেউই জানে না। (৫) আল্লাহ ছাড়া অন্য কেউই জানে না, কিয়ামত কখন সংঘটিত হবে।

 

بَابُ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {عَالِمُ الْغَيْبِ فَلاَ يُظْهِرُ عَلَى غَيْبِهِ أَحَدًا} وَ{إِنَّ اللَّهَ عِنْدَهُ عِلْمُ السَّاعَةِ} وَ{أَنْزَلَهُ بِعِلْمِهِ} وَ{مَا تَحْمِلُ مِنْ أُنْثَى وَلاَ تَضَعُ إِلاَّ بِعِلْمِهِ}، {إِلَيْهِ يُرَدُّ عِلْمُ السَّاعَةِ} قَالَ يَحْيَى الظَّاهِرُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ عِلْمًا، وَالْبَاطِنُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ عِلْمًا

 

حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلاَلٍ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَفَاتِيحُ الْغَيْبِ خَمْسٌ لاَ يَعْلَمُهَا إِلاَّ اللَّهُ، لاَ يَعْلَمُ مَا تَغِيضُ الأَرْحَامُ إِلاَّ اللَّهُ، وَلاَ يَعْلَمُ مَا فِي غَدٍ إِلاَّ اللَّهُ، وَلاَ يَعْلَمُ مَتَى يَأْتِي الْمَطَرُ أَحَدٌ إِلاَّ اللَّهُ، وَلاَ تَدْرِي نَفْسٌ بِأَىِّ أَرْضٍ تَمُوتُ إِلاَّ اللَّهُ، وَلاَ يَعْلَمُ مَتَى تَقُومُ السَّاعَةُ إِلاَّ اللَّهُ ‏”‏‏.‏

 

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)  ৮৬/ জাহ্‌মিয়াদের মতের খণ্ডন ও তাওহীদ প্রসঙ্গ (كتاب الرد على الجهمية و غيرهمو التوحيد)

৬৮৭৬ | সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)

বাংলা/ العربية

English

পরিচ্ছেদঃ ৩১০৬. আল্লাহর বাণীঃ তিনি অদৃশ্যের পরিজ্ঞাতা, তিনি তাঁর অদৃশ্যের জ্ঞান কারো কাছে প্রকাশ করেন না। (৭২ঃ ২৬)। (মহান আল্লাহর বাণী) কিয়ামতের জ্ঞান কেবল আল্লাহর কাছে রয়েছে (৩১ঃ ৩৪)। তা তিনি জেনে শুনে অবতীর্ণ করেছেন (৪ঃ ১৬৬)। কোন নারী তার গর্ভে কি ধারণ করবে এবং কখন তা প্রসব করবে তা তাঁর জানা আছে। কিয়ামতের জ্ঞান কেবল আল্লাহ্‌র হাতেই ন্যস্ত। আবূ আবদুল্লাহ্ [(বুখারী (রহঃ)] বলেন, ইয়াহ্ইয়া (রহঃ) বলেছেন, মহান আল্লাহ্‌ জ্ঞানের আলোকে সমস্ত সৃষ্টির উপর প্রকাশমান, আবার তিনি জ্ঞানের আলোকে সবকিছুতেই পরিলুপ্ত

 

৬৮৭৬। মুহাম্মাদ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) … আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে ব্যাক্তি তোমাকে বলে মুহাম্মাদসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বীয় প্রতিপালককে দেখেছে, অবশ্যই সে মিথ্যা বলল। কেননা তিনি (আল্লাহ) বলছেন, চক্ষুরাজি কখনো তাকে দেখতে পায় না। আর যে ব্যাক্তি তোমাকে বলে মুহাম্মাদসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গায়েব জানেন, অবশ্য সেও মিথ্যা বলল। কেননা তিনি (আল্লাহ) বলেন, গায়েব জানেন একমাত্র আল্লাহ।

 

بَابُ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {عَالِمُ الْغَيْبِ فَلاَ يُظْهِرُ عَلَى غَيْبِهِ أَحَدًا} وَ{إِنَّ اللَّهَ عِنْدَهُ عِلْمُ السَّاعَةِ} وَ{أَنْزَلَهُ بِعِلْمِهِ} وَ{مَا تَحْمِلُ مِنْ أُنْثَى وَلاَ تَضَعُ إِلاَّ بِعِلْمِهِ}، {إِلَيْهِ يُرَدُّ عِلْمُ السَّاعَةِ} قَالَ يَحْيَى الظَّاهِرُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ عِلْمًا، وَالْبَاطِنُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ عِلْمًا

 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ قَالَتْ مَنْ حَدَّثَكَ أَنَّ مُحَمَّدًا صلى الله عليه وسلم رَأَى رَبَّهُ فَقَدْ كَذَبَ وَهْوَ يَقُولُ ‏(‏لاَ تُدْرِكُهُ الأَبْصَارُ‏)‏ وَمَنْ حَدَّثَكَ أَنَّهُ يَعْلَمُ الْغَيْبَ فَقَدْ كَذَبَ، وَهْوَ يَقُولُ لاَ يَعْلَمُ الْغَيْبَ إِلاَّ اللَّهُ‏.‏

 

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আয়িশা বিনত আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)  ৮৬/ জাহ্‌মিয়াদের মতের খণ্ডন ও তাওহীদ প্রসঙ্গ (كتاب الرد على الجهمية و غيرهمو التوحيد)

৩৩৬ | সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)

বাংলা/ العربية

English

পরিচ্ছেদঃ ৭৬. আল্লাহর বাণীঃ ‘তিনি তাকে দেখেছেন আরেকবার’ এর ব্যাখ্যা এবং নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইসরার রাতে তার প্রতিপালককে দেখেছিলেন কিনা সে প্রসঙ্গে

READ MORE:  ভূতের অস্তিত্ব নিয়ে বিজ্ঞান ও কোরআন কি বলে?

 

৩৩৬। যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) … মাসরুক (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, আমি আয়িশা (রাঃ) এর কাছে হেলান দিয়ে বসেছিলাম। তখন তিনি বললেন, হে আবূ আয়িশা! তিনটি কথা এমন, যে এর কোন একটি বলল, সে আল্লাহ সম্পর্কে ভীষণ অপবাদ দিল। আমি জিজ্ঞেস করলাম, সেগুলো কি? তিনি বললেন, যে এ কথা বলে যে, মুহাম্মাদ তার প্রতিপালককে দেখেছেন, সে আল্লাহর উপর ভীষণ অপবাদ দেয়। আমি তো হেলান অবস্থায় ছিলাম, এবার সোজা হয়ে বসলাম। বললাম, হে উমুল মু”মিনীন! থামুন। আমাকে সময় দিন, ব্যস্ত হবেন না। আল্লাহ তা’আলা কুরআনে কি ইরশাদ করেননিঃ “তিনি (রাসুল) তো তাঁকে (আল্লাহকে) স্পষ্ট দিগন্তে দেখেছেন, (২৩ঃ ৮১), অন্যত্র “নিশ্চয়ই তিনি তাকে আরেকবার দেখেছিলেন” (৫৩ঃ ১৩)

 

আয়িশা (রাঃ) বললেন, আমিই এ উষ্মতের প্রথম ব্যাক্তি, যে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলাম। তিনি বলেছিলেনঃ তিনি তো ছিলেন জিবরীল (আলাইহিস সালাম) কেবলমাত্র এ দু-বারই আমি তাঁকে তাঁর আসল আকৃতিতে দেখেছি। আমি তাঁকে আসমান থেকে অবতরণ করতে দেখেছি। তাঁর বিরাট দেহ ঢেকে ফেলেছিল আসমান ও যমীনের মধ্যবতী সবটুকু স্থান।

 

আয়িশা (রাঃ) আরও বলেন, তুমি কি শোননি? আল্লাহ তা’আলা বলেছেনঃ তিনি (আল্লাহ) দৃষ্টির অধিগম্য নন, তবে দৃষ্টিশক্তি তাঁর অধিগত এবং তিনই সূক্ষ্মদর্শী ও সম্যক পরিজ্ঞাত” (৬ঃ ১০৩) এরুপ তুমি কি শোননি? আল্লাহ তা’আলা বলেছেনঃ “মানুষের এমন মর্যাদা নাই যে, আল্লাহ তার সাথে কথা বলবেন ওহীর মাধ্যম ব্যতিরেকে অথবা পর্দার অন্তরাল ব্যতিরেকে অথবা এমন দুত প্রেরণ ব্যতিরেকে যে তাঁর অনুমতিক্রমে তিনি যা চান তা ব্যক্ত করেন, তিনি সমুন্নত ও প্রজ্ঞাময়” (৪২ঃ ৫১)।

 

আয়িশা (রাঃ) বলেন, আর ঐ ব্যাক্তিও আল্লাহর উপর ভীষণ অপবাদ দেয়, যে এমন কথা বলে যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর কিতাবের কোন কথা গোপন রেখেছেন। কেননা আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেছেনঃ হে রাসুল! আপনার প্রতিপালকের কাছ থেকে যা অবতীর্ণ হয়েছে তা প্রচার রুকন, যদি তা না করেন তবে আপনি তার বার্তা প্রচারই করলেন না। (৫ঃ ৬৭)

 

তিনি (আয়িশা (রাঃ) আরো বলেন, যে ব্যাক্তি এ কথা বলে যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর ওহী ব্যতীত কাল কি হবে তা অবহিত করতে পারেন, সেও আল্লাহর উপর ভীষন অপবাদ দেয়। কেননা আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ “বল, আসমান ও যমীনে আল্লাহ ব্যতীত গায়েব সম্পর্কে কেউ জানে না।” (২৭ঃ ৬৫)

 

باب مَعْنَى قَوْلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ: {وَلَقَدْ رَآهُ نَزْلَةً أُخْرَى} وَهَلْ رَأَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَبَّهُ لَيْلَةَ الإِسْرَاءِ

 

حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ دَاوُدَ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ مَسْرُوقٍ، قَالَ كُنْتُ مُتَّكِئًا عِنْدَ عَائِشَةَ فَقَالَتْ يَا أَبَا عَائِشَةَ ثَلاَثٌ مَنْ تَكَلَّمَ بِوَاحِدَةٍ مِنْهُنَّ فَقَدْ أَعْظَمَ عَلَى اللَّهِ الْفِرْيَةَ ‏.‏ قُلْتُ مَا هُنَّ قَالَتْ مَنْ زَعَمَ أَنَّ مُحَمَّدًا صلى الله عليه وسلم رَأَى رَبَّهُ فَقَدْ أَعْظَمَ عَلَى اللَّهِ الْفِرْيَةَ ‏.‏ قَالَ وَكُنْتُ مُتَّكِئًا فَجَلَسْتُ فَقُلْتُ يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ أَنْظِرِينِي وَلاَ تَعْجَلِينِي أَلَمْ يَقُلِ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ‏(‏ وَلَقَدْ رَآهُ بِالأُفُقِ الْمُبِينِ‏)‏ ‏(‏ وَلَقَدْ رَآهُ نَزْلَةً أُخْرَى‏)‏ ‏.‏ فَقَالَتْ أَنَا أَوَّلُ هَذِهِ الأُمَّةِ سَأَلَ عَنْ ذَلِكَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏”‏ إِنَّمَا هُوَ جِبْرِيلُ لَمْ أَرَهُ عَلَى صُورَتِهِ الَّتِي خُلِقَ عَلَيْهَا غَيْرَ هَاتَيْنِ الْمَرَّتَيْنِ رَأَيْتُهُ مُنْهَبِطًا مِنَ السَّمَاءِ سَادًّا عِظَمُ خَلْقِهِ مَا بَيْنَ السَّمَاءِ إِلَى الأَرْضِ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَتْ أَوَلَمْ تَسْمَعْ أَنَّ اللَّهَ يَقُولُ ‏(‏ لاَ تُدْرِكُهُ الأَبْصَارُ وَهُوَ يُدْرِكُ الأَبْصَارَ وَهُوَ اللَّطِيفُ الْخَبِيرُ‏)‏ أَوَلَمْ تَسْمَعْ أَنَّ اللَّهَ يَقُولُ ‏(‏ وَمَا كَانَ لِبَشَرٍ أَنْ يُكَلِّمَهُ اللَّهُ إِلاَّ وَحْيًا أَوْ مِنْ وَرَاءِ حِجَابٍ أَوْ يُرْسِلَ رَسُولاً فَيُوحِيَ بِإِذْنِهِ مَا يَشَاءُ إِنَّهُ عَلِيٌّ حَكِيمٌ‏)‏ قَالَتْ وَمَنْ زَعَمَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَتَمَ شَيْئًا مِنْ كِتَابِ اللَّهِ فَقَدْ أَعْظَمَ عَلَى اللَّهِ الْفِرْيَةَ وَاللَّهُ يَقُولُ ‏(‏ يَا أَيُّهَا الرَّسُولُ بَلِّغْ مَا أُنْزِلَ إِلَيْكَ مِنْ رَبِّكَ وَإِنْ لَمْ تَفْعَلْ فَمَا بَلَّغْتَ رِسَالَتَهُ‏)‏ ‏.‏ قَالَتْ وَمَنْ زَعَمَ أَنَّهُ يُخْبِرُ بِمَا يَكُونُ فِي غَدٍ فَقَدْ أَعْظَمَ عَلَى اللَّهِ الْفِرْيَةَ وَاللَّهُ يَقُولُ ‏(‏ قُلْ لاَ يَعْلَمُ مَنْ فِي السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ الْغَيْبَ إِلاَّ اللَّهُ‏)‏ ‏.‏

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *