ইসলামইসলামিক বিষয়াদিকী এবং কেন?

রোজা ভঙ্গের কারণসমূহ

কোন ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ ভুলগুলো না করে থাকে তাহলে রোজা ভঙ্গ হবে না। তবে তাদের এই ভুলের জন্য মহান আল্লাহ তা’আলার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা যেতে হবে। আর এখন আমরা জেনে নিব রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ। আমরা আপনাদেরকে রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ জানানোর পাশাপাশি সেই কারণগুলো প্রমাণস্বরূপ কিতাব সমূহের নাম উল্লেখ করে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব।

 

  • আমাদের যদি ভুলবশত কোন খাবার বা পানি পান করে ফেলি কিন্তু যদি আমরা ভেবে নেই যে রোজা ভেঙে গেছে এবং তখন আমরা ইচ্ছেকৃতভাবে আবার খাবার অথবা পানি পান করি। ( ফাতওয়া শামি, খন্ড- ৩, পৃষ্ঠা- ৩৭৫)।
  • রোজা রাখার পরে যদি আমরা কোন মাদক সেবন করি। যেমনঃ সিগরেট, হুক্কা ইত্যাদি। ( জাওয়াহিরুল ফিকাহ, খন্ড- ০১, পৃষ্ঠা- ৩৭৮)।
  • কাঁচা চাল, আটার খামি বা অনেক বেশি পরিমাণে লবণ খেলে। (ফাতওয়া আল- হিন্দিইয়্যা, খন্ড- ০১, পৃষ্ঠা- ১৯৯)।
  • কানে বা নাকের ছিদ্র তে তরল জাতীয় কোন ঔষধ দেওয়া। ( ইমদাদুল  ফাতাওয়া, খন্ডঃ ২, পৃষ্ঠাঃ ১২৭)।
  • পাথর, কাদামাটি, তৃণলতা,তুলা, সুতা, কংকর, খরকুটো এবং কাগজ গিলে ফেলা। ( ফাতাওয়া আল- হিন্দিইয়্য, খন্ডঃ ১, পৃষ্ঠাঃ ২০৩)।
  • ভুলবশত স্ত্রী সম্ভোগের রোজা ভেঙ্গে গেছে, এটি মনে করা এবং ইচ্ছাকৃত ভাবে স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস করলে।( ফাতাওয়া শামী, খন্ডঃ৩, পৃষ্ঠাঃ ৩৭৫)।
  • মুখে পান দিয়ে ঘুমিয়ে যাওয়া এবং এই অবস্থায় ঘুম থেকে ওঠা সাদিকের সময়। ( এমদাদুল ফাতাওয়া, খন্ডঃ২, পৃষ্ঠাঃ ১৭২)।
  • এমন কোন বস্তু খেয়ে ফেলা যা সাধারণত খাওয়া হয়না। যেমনঃ লোহা, কাঠ, কয়লা, পাথর, মাটি ইত্যাদি। ( ফাতাওয়া আল- হিন্দিইয়্য, খন্ডঃ ১, পৃষ্ঠাঃ ৩৭৮ )
  • নিজের থুতু  গিলে ফেলা। (ফাতাওয়া আল- হিন্দিইয়্য, খন্ডঃ ১, পৃষ্ঠাঃ ২০২)।
  • বৃষ্টি বা বরফের টুকরো খাদ্যনালীর ভেতরে চলে যাওয়া। ( ফাতাওয়া আল- হিন্দিইয়্য, খন্ডঃ ১, পৃষ্ঠাঃ ২০৩)।
  • সূর্যাস্ত হয়ে গেছে মনে করে ভুলে ইফতার করা। (বুখারি, হাদিসঃ ১৯৫৯)।
  • কাউকে জোরজবস্তি করে পানাহার করিয়ে দেওয়া। (ফাতাওয়া আল- হিন্দিইয়্য, খন্ডঃ ১, পৃষ্ঠাঃ ২০২)।
  • হস্তমৈথুন করা। (ফাতাওয়া হারুল উলুম দেওবন্দ, খন্ডঃ ৬, পৃষ্ঠাঃ ৪১৭)।
  • রোজা থাকা অবস্থায় যদি কুলি অথবা নাকে পানি দেওয়া হয় আর সেই সময় যদি কণ্ঠনালীতে পানি চলে যাওয়া। (আহসানুল ফাতাওয়া, খন্ডঃ ৪, পৃষ্ঠঃ ৪২৯)।
  • রাত মনে করে সুবহে সাদিকের পর  সেহেরী খাওয়া। (জাওয়াহিরুল ফিকাহ, খন্ডঃ ১, পৃষ্ঠাঃ ৩৭৮)।
  • দাঁত দিয়ে রক্ত বের হলে এবং সে পরিমাণ বেশি হয় এবং কণ্ঠনালীতে চলে গেলে। (ফাতাওয়া শামি, খন্ডঃ ৩, পৃষ্ঠাঃ ৩৬৭)।
  • যদি কেউ রাত ধারণা করে স্ত্রী সহবাসে লিপ্ত হয় এবং অতঃপর সুবহে সাদিকের কথা জানতে পেরে তৎক্ষনাৎ সহবাস থেকে বিরত হয়ে যায়। (ফাতাওয়া শামি, খন্ডঃ৩, পৃষ্ঠাঃ ৩৭৪)।
  • ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করা বা বমি আসার পর তা গিলে ফেলা। (ফাতহুল কাদির, খন্ডঃ ২, পৃষ্ঠাঃ ৩৩৭)।
READ MORE:  বমি: বমির পোশাক: শিশুর বমি কি নাপাক?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *