ইসলামইসলামিক বিষয়াদি

দোয়া কুনুত বাংলা অর্থসহ এবং না জানলে করণীয়

দোয়া কুনুত আরবী উচ্চারণ:

اَللَّمُمَّ اِنَّ نَسْتَعِيْنُكَ وَنَسْتَغْفِرُكَ وَنُؤْمِنُ بِكَ وَنَتَوَكَّلُ عَلَيْكَ وَنُثْنِىْ عَلَيْكَ الْخَيْرَ وَنَشْكُرُكَ وَلاَ نَكْفُرُكَ وَنَخْلَعُ وَنَتْرُكُ مَنْ يَّفْجُرُكَ-اَللَّهُمَّ اِيَّاكَ نَعْبُدُ وَلَكَ نُصَلِّىْ وَنَسْجُدُ وَاِلَيْكَ نَسْعَى وَنَحْفِدُ وَنَرْجُوْ رَحْمَتَكَ وَنَخْشَى عَذَابَكَ اِنَّ عَذَابَكَ بِالْكُفَّارِ مُلْحِقٌ

 

দোয়া কুনুত বাংলা উচ্চারণ:

আল্লাহুম্মা ইন্না নাস্‌তাঈ’নুকা, ওয়া নাস্‌তাগ্‌ফিরুকা, ওয়া নু’’মিনু বিকা, ওয়া নাতাওয়াক্কালু ‘আলাইকা, ওয়া নুছনী আলাইকাল খাইর। ওয়া নাশ কুরুকা, ওয়ালা নাকফুরুকা, ওয়া নাখলাউ’, ওয়া নাতরুকু মাঁই ইয়াফজুরুকা। আল্লাহুম্মা ইয়্যাকা না’বুদু ওয়া লাকানুসল্লী, ওয়া নাসজুদু, ওয়া ইলাইকা নাস’আ, – ওয়া নাহফিদু, ওয়া নারজু রাহমাতাকা, ওয়া নাখশা – আযাবাকা, ইন্না আযাবাকা বিল কুফ্‌ফারি মুলহিক্ব।

 

 

দোয়া কুনুত বাংলা:

হে আল্লাহ! আমরা তোমারই সাহায্য চাই। তোমারই নিকট ক্ষমা চাই, তোমারই প্রতি ঈমান রাখি, তোমারই ওপর ভরসা করি এবং সকল মঙ্গল তোমারই দিকে ন্যস্ত করি। আমরা তোমার কৃতজ্ঞ হয়ে চলি, অকৃতজ্ঞ হই না। হে আল্লাহ! আমরা তোমারই দাসত্ব করি, তোমারই জন্য নামায পড়ি এবং তোমাকেই সিজদাহ করি। আমরা তোমারই দিকে দৌড়াই ও এগিয়ে চলি। আমরা তোমারই রহমত আশা করি এবং তোমার আযাবকে ভয় করি। আর তোমার আযাবতো কাফেরদের জন্যই র্নিধারিত।

 

বেতের নামাজের দোয়া কুনুত না জানলে করণীয় কি?

এশার নামাযের পর বিতর নামায তিন রাকাত আদায় করতে হয় এবং এ নামাযে দোয়ায়ে কুনুত পড়া ওয়াজিব। দোয়ায়ে কুনুতের পরিবর্তে তিনবার সূরা ইখলাস পড়া গ্রহণযোগ্য মত নয়। কারণ, সূরা ইখলাস কুনুত বা দোয়া সম্বলিত সূরা নয়। বিতর নামাযে কুনুতের উদ্দেশ্য হচ্ছে- দোয়া করা। এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট দোয়া ব্যতীত অন্য যে কোনো দোয়া পড়লেও ওয়াজিব আদায় হয়ে যাবে এবং নামায সহীহ হয়ে যাবে। অবশ্য হাদীসে বর্ণিত দোয়া যেমন ‘আল্লাহুম্মা ইন্না নাসতায়িনুকা’ এটা পড়া সুন্নত সুতরাং হাদীসে বর্ণিত এ দোয়া কেউ না জানলে দ্রুত শিখে নিতে হবে।

READ MORE:  আল্লাহু আল্লাহু তুমি জাল্লে জালালু লিরিক্স | allahu allahu tumi jalla jalaluhu bangla gojol lyrics

ইমাম নববীর মতানুসারে যে কোন দোয়া পড়লে এর দ্বারা কুনুত হয়ে যাবে; এমনকি দোয়া সম্বলিত এক বা একাধিক কুরআনের আয়াত পড়লেও কুনুতের উদ্দেশ্য হাছিল হয়ে যাবে। তবে, হাদিসে যে দোয়া এসেছে সেটা পড়া উত্তম। (ইমাম নববীর ‘আল-আযকার ৫০)

 

বেতর নামাজ ও দোয়া কুনুত

বিতর নামাযের পদ্ধতি নিয়ে ওলামায়ে কেরামদের মতভেদ রয়েছে। ঐক্যমতে তিন রাকআত বিতর নামায পড়তে হয়। এর শেষ রাকআতে রূকুর পূর্বে বা পরে দু‘আ কুনূত পড়া আবশ্যক।

বেতরের নামাযে দোয়া কুনত পড়া ওয়াযিব। কিন্তু অনেকেই এ দোয়াটি জানে না অথবা শুদ্ধভাবে পড়তে পারেনা। তাই উপরের আলোচনায় যদি কারো উপকারে আসে সেজন্য এই প্রচেষ্টা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *