স্বাস্থ্য

ফোঁড়া থেকে বাঁচার উপায়

আমাদের সবারই কম বেশি এক বার না এক বার ফোড়া হয়েছে জীবনে।  ফোড়া হলো ত্বক এবং এর নিচের অংশে সংক্রমণের কারণে তৈরি জমা পুঁজ। এটিকে অনেকে ফুসকুড়ি, ফোড়া, বিষফোড়া বলে থাকে। এখানে-ওখানে অনেকের ফোড়া হতে দেখা যায়, বিশেষ করে শিশুদের।

ত্বকের নিচে প্রথমে সংক্রমণ হয়, চারপাশের ত্বক লালচে বা গোলাপি হয়ে ওঠে, ব্যথা হয় এবং স্পর্শেই ব্যথা বাড়ে। পরে এই ফুলে ওঠা লালচে বা বাদামি বিষফোড়ার মধ্যে হলদে বা সাদাটে রঙের পুঁজ জমে, তখন একে চিকিৎসার ভাষায় অ্যাবসেস বলে।

ফোড়া হওয়ার কারণ কি?

  • একটি ফোড়া সাধারণত তখনই গঠিত হয় যখন ব্যাকটেরিয়া বা অন্যান্য সূক্ষ্ম-জীব (মাইক্রোঅরগানিজম) যেমন ভাইরাস, ছত্রাক এবং প্যারাসাইট দ্বারা সৃষ্ট কোন ধরনের ইনফেকশন বা সংক্রমণ হয়। 
  • কোন অঙ্গে বাইরের কোন একটি বস্তু ঢুকেও একটি

ফোড়া সৃষ্টি করতে পারে। 

  • দুর্বল রােগপ্রতিরােধ ক্ষমতা সহ মানুষের মধ্যে একটি ফোড়া হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। যে অবস্থাগুলির ফলে দুর্বল ইমিউন সিস্টেম বা রােগ প্রতিরােধক ক্ষমতা তৈরি হয় সেগুলি হল: ০ এইডস ০ ডায়াবেটিস ০ ক্যান্সার ০ কেমােথেরাপি বা রেডিওথেরাপি ০ মদে নেশাগ্রস্ত হওয়া 
  • এটা প্রয়ােজনীয় নয় যে ফোড়া শুধুমাত্র অন্যান্য রােগের উপস্থিতিতেই হতে পারে। একজন সুস্থ ব্যক্তিরও একটি ফোড়া হতে পারে। • ভেতর দিকে বাড়তে থাকা চুলের ফলিক্যাল সংক্রমিত হয়ে তাদের চারপাশে একটি ফোড়ার সৃষ্টি করে, যাকে ফারাংকেল বা লােমফোড়া বা ফোস্কা বলা হয়।।

ফোড়ার নির্ণয় পদ্ধতি এবং চিকিৎসা 

  • আপনার চিকিৎসক সহজ ক্লিনিকাল পরীক্ষার দ্বারা

একটি ত্বকের ফোড়া নির্ণয় করতে পারেন। কারণ। নিশ্চিত করার জন্য, অন্যান্য স্থানে ফোড়া আছে কিনা

তা জানতে একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ মেডিকেল ইতিহাস এবং চেক-আপ একটি অত্যন্ত আবশ্যক বিষয়। 

  • যদি একটি সংক্রমণ বা ইনফেকশন সন্দেহ করা হয়, তাহলে চিকিৎসক রক্ত পরীক্ষা বা ফোড়ার মাঝখান থেকে তরল নিয়ে কালচার করার নির্দেশও দিতে পারেন।

  • ক্ষতিগ্রস্ত অঙ্গের একটি এক্স-রে বা সিটি স্ক্যান একটি ফোড়ার উপস্থিতি পরীক্ষা করতে সাহায্য করে, যা খালি চোখে দেখা যায় না। 

  • ফোড়ার আকার এবং অবস্থানের উপর ভিত্তি করে চিকিৎসার ধরণ পরিবর্তিত হয়। যদি এটি একটি একক, ছােট ত্বক ফোড়া হয়, তাহলে অ্যান্টিবায়ােটিকের সঙ্গে গরম সেকের মত ঘরের যত্নই এর জন্য যথেষ্ট।

  • অঙ্গের মধ্যে একটি বড় ফোড়ার ক্ষেত্রে, চিকিৎসা হিসেবে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নিষ্কাশন করা যেতে পারে। রােগীকে অ্যানেস্থেশিয়া করে, চিকিৎসক ফোড়ার মুখ দিয়ে গর্ত করবেন যাতে ফোড়ার ভিতরের উপাদানগুলি বের করে ফেলা যায়। সংক্রমণটি পুরােপুরি সারার জন্য এই বার জন্য সেই সঙ্গে অ্যান্টিবায়ােটিকও দেওয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link