ইসলামইসলামিক বিষয়াদি

বিয়েতে হচ্ছে এসব অদ্ভূত হারাম

ISLAMIC MARRIAGE। Legal system। Illegal system। Halal। Haram। Quran । Hadis। Hadith। Sunnah। Sariah। Marriage। Islam। Muslim। 

 

ইসলামের দৃষ্টিতে বিবাহ এক প্রকারের ইবাদাত। এর জন্য ইসলামের দৃষ্টিতে কিছু নিয়ম নির্ধারণ করা আছে।যারাই নিয়ম মেনে এ কাজটি সম্পন্ন করবে তারাই অনেক সওয়াব লাভ করবেন।

 

অথচ আমাদের এই ইবাদতপূর্ণ কাজটি আজ বিভিন্ন কুসংস্কারে ভরে গেছে। এ অনুষ্ঠান কে কেন্দ্র করে আজ অনেক হারাম কাজ সংগঠিত হচ্ছে।

 

নিম্নে আমাদের সমাজে প্রচলিত কিছু বৈবাহিক অনুষ্ঠান জনিত কিছু হারাম কাজ বা কুসংস্কার তুলে ধরা হলো।

 

বিয়ের গোসল দেয় ভাবিরা, অথচ স্বামী মারা গেলে স্ত্রীকে গোসল দিতে দেয়া হয় না। হলুদ দিয়ে ভাবির হাতের গোসলের নামে চলে হারাম কাজগুলো।

 

বিয়ে করলেন আপনি, আর বিয়ের অনুষ্ঠানে আপনার হাত ধুয়ে দিবে আপনার শালি।

 

বউকে কোলে করে ঘরে নিয়ে যাবে আপনার বোনজামাই,ভাই, চাচাতো ভাই, বন্ধু ইত্যাদি । হারাম কাজে বৈধতা, অবাক নয় কি?

 

বিয়ের সম্পর্ক যৌবনের সাথে, ক্যারিয়ার গড়ার জন্য পড়ে রয়েছে সারাজীবন।

 

অথচ আমাদের দেশে বলা হয় আগে ক্যারিয়ার গড়ো তারপর বিয়ে করো। পরিণতিতে পার্কে পার্কে অবাধ প্রেমলীলা, ধর্ষণের সেঞ্চুরি আর ডাস্টবিনগুলোতে বেওয়ারিশ শিশু লাশের ছড়াছড়ি যা কুকুর, কাক আর শকুন মিলে ভাগাভাগি করে খায়।

 

বিয়ে করে বউকে খাওয়াবি কী?

 

কথাবার্তা শুনে মনে হয় বউ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ খাদক যার ক্ষুধা নিবারণ করা দুঃসাধ্য।

 

বিয়ে মানেই মেয়ের বাবার উপর খরচের পাহাড় চাপিয়ে দেয়া। অথচ ইসলামে দাওয়াত খাওয়ানোর দায়িত্ব বর পক্ষের, কন্যা পক্ষের নয়।

 

আমাদের দেশে বরপক্ষ যৌতুক নেয়। কেহ কেহ উপহারের নাম করে নানান কায়দায় চেয়ে নেয়।

 

বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে যাবার সময় অনেক বালেগ মেয়ে, নারীরা তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন করার জন্য সেজে গুজে বের হয়।

READ MORE:  দোয়া ইউনুস বাংলা অর্থসহ

 

মোহরানা না দিয়ে বাসর রাত্রে স্ত্রীর নিকট ক্ষমা চায়। অথচ ইসলামি বিধান মতে স্ত্রী মোহরানার হক্বদার, যৌতুক তো সম্পূর্ণ হারাম।

 

কতিপয় হুজুরের কথাবার্তা শুনে মনে হয় সেবা পাওয়ার হক্বদার শুধুই স্বামী। অথচ রাসূল (সা.) বলেছেন- তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তিই আল্লাহর কাছে উত্তম যে তার স্ত্রীর নিকট (দ্বীনের ক্ষেত্রে) উত্তম।

 

বিয়ের অনুষ্ঠানে বরের হাতে স্বর্ণের আংটি না পরালে মান সম্মান থাকে না, অথচ পুরুষদের জন্য স্বর্ণ ব্যবহার হারাম।

 

বিয়ের সময় উকিল বাপ বলে কাউকে মনোনীত করে। সে মেয়ের সংগে সরাসরি দেখা সাক্ষাৎ করর। অথচ এটা হারাম।

 

বিয়ে মানেই এখন আনন্দ উৎসবের অনুষ্ঠান। তাই চলে নাচ, গান সহ আরো কতকি।

 

পুরুষদের কাপড় থাকবে টাখনুর উপরে, আর মেয়েদের কাপড় থাকবে টাখনুর নিচে। অথচ বাস্তবতা?

 

বিয়ের ব্যাপারে হাজারো বাধা-বিপত্তি থাকলেও ব্যাভিচার একেবারেই সহজলভ্য।

 

রাসূলুল্লাহ (সা.) তাক্বওয়া ভিক্তিক পাত্র-পাত্রী নির্বাচন করতে বলেছেন, আর আমরা করছি চেহারা আর সম্পত্তি ভিত্তিক।

 

যাই হোক, শত শত হারাম কাজ মিলে যে বিবাহটি সম্পন্ন হয়, তাতে আর যাই হোক বরকত থাকে না। থাকেনা আল্লাহর রহমত। যার কারনে আজ চারদিকে ঘর ভাংগার শব্দ। ঘরে ঘরে আজ স্বামী পরিত্যক্তা, তালাক প্রাপ্ত নারী।

 

যার কারনে সামাজিক অবক্ষয় নেমে এসেছে। অনেক অসামাজিক কাজে জড়িয়ে যাচ্ছে আজ আমাদের কন্যা ও বোনেরা।

 

বৈবাহিক অনুষ্ঠানগুলো হোক  ইবাদতের মেজাজে। আমিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *