বাজারের কোন টুথপেষ্ট আপনার দাঁতের জন্য ভালো?
দাঁত (teeth) আমাদের অনেক বড় সৌন্দর্যের জায়গা। আমাদের সবার উচিত দাঁতের যত্ন নেয়া। বাজারে হরেক রকম টুথপেষ্ট পাওয়া যায়। আমাদের দাঁত এর অবস্থা সবার এক নয়। নানা কারণে এবং যত্নের তারতম্যের কারণে আমাদের দাঁত এর অবস্থার ভিন্নতা দেখা দেয়। তাই আমাদের দাঁত এর অবস্থা ভেদে আমাদের দাঁত এর জন্য টুথপেষ্ট নির্বাচন করে নেয়া উচিত। বাজারে সব টুথপেষ্ট এক নয়। এক এক টুথপেষ্ট এক এক রকম উপাদান দ্বারা তৈরি। চলুন জেনে নিই কোন টুথপেস্ট আপনার জন্য পারফেক্ট ।
১) সময়ের আগে মাড়ির রোগ রুখতে চান? তাহলে অ্যান্টি ব্যাক্টিরিয়াল টুথপেস্ট কিনতে পারেন। এতে জিনজিভাইটিস বা মাড়ির রোগ প্রতিরোধ করা যায়। বাজারে গাম কেয়ার কিংবা অ্যান্টি-জিনজিভাইটিস দেওয়া টুথপেস্ট দেখে কিনবেন।
২) অনেকের দাঁত সংবেদনশীল। গরম চা-কফি কিংবা ঠান্ডা আইসক্রিম খেলেই দাঁত ঝনঝন করে ওঠে। এমন মানুষদের জন্য বিশেষ টুথপেস্ট রয়েছে। পটাশিয়াম নাইট্রেট বা স্ট্রোনিয়াম ক্লোরাইড দেওয়া টুথপেস্ট ব্যবহার করা ভাল। তা দাঁতের সংবেদনশীলতা কমায়। অবশ্য তাতে কিছুটা সময় লাগে।
৩) অনেকের দাঁতে দাগ-ছোপের সমস্যা থাকে। বিশেষ করে যারা ধূমপান করেন বা যাদের পান খাওয়ার সমস্যা থাকে, তাদের বেকিং সোডা দেওয়া টুথপেস্ট ব্যবহার করতে পারেন। বেকিং সোডায় দাঁতের দাগ দূর হয়ে যায়। যদি টুথপেস্টের প্যাকেটে বেকিং সোডার পরিমাণ দেওয়া থাকে তাহলে খুবই ভাল।
৪) জিঙ্ক সাইট্রেট, ট্রাইক্লোসান এবং ফাইরোফসফেট যুক্ত পেস্ট ব্যবহার করতে পারেন। এতে দাঁতের ওপরের ব্যাকটেরিয়ার আবরণ ধ্বংস হয়। পাশাপাশি ছাতা পড়ার প্রবণতাও কমায়।
৫) প্রাকৃতিক উপাদানের কোনোও বিকল্প নেই। তাতে কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও থাকে না। হারবাল টুথপেস্ট খুঁজে পেতে বেশি বেগ পেতে হবে না।
৬) অনেকে মুখের ফ্রেশনেস ও সুগন্ধের উপর জোর দিয়ে থাকেন। এমন ক্ষেত্রে মিন্টযুক্ত টুথপেস্ট ব্যবহার করতে পারেন।
৭) অনেকে ফেনাযুক্ত টুথপেস্ট পছন্দ করেন। তাঁরা সোডিয়াম লরেল সালফেট যুক্ত টুথপেস্ট ব্যবহার করতে পারেন। এতে প্রচুর ফেনা হয়।