শুদ্ধ উচ্চারণসহ আরবি ১২ মাসের নাম
আপনি কি জানেন আরবি বারটি মাসের নাম অর্থসহ? আপনি যদি না জেনে থাকেন তাহলে এখনি সময় ১২টি নাম মুখস্ত করে ফেলার। কারণ বিভিন্ন প্রয়োজনে আমাদের এই নামগুলো দরকার পড়ে।
আর আপনি যদি মুসলমান হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই এই নামগুলো মুখস্ত রাখতে হবে। কারণ বিভিন্ন উৎসব ও ইবাদতের জন্য এই নামগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রতিটি বছর ১২ টি মাস দ্বারা গঠিত। তেমনি আরবী ক্যালেন্ডারেও বছর হয় ১২ টি মাসে। তবে বিভিন্ন ভাষায় বিভিন্ন নামে মাসগুলো গণনা করা হয়ে থাকে। হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) মক্কার কাফেরদের ষড়যন্ত্রের কারণে হিজরত করেছিলেন ৬২২ সালের জুন মাসের শেষের দিকে, যা হিজরত নামে পরিচিত। এই হিজরতের সময় থেকে হিজরি সাল গণনা করা শুরু করা হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে ৬৩৯ খ্রিস্টাব্দ থেকে হিজরী সন চালু হয়।
আরবি বারো মাসের নাম (arbi maser nam) হলো মহরম, সফর, রবিউল আউয়াল, রবিউস সানি, জমাদিউল আউয়াল, জমাদিউস সানি, রজব, শাবান, রমজান, শাওয়াল, জিলক্বদ, জিলহজ্জ।
আরবি বারো মাসের নাম বাংলায় উচ্চারণ সহ
আরবি বারো মাসের নাম | আরবি ১২ মাসের নাম বাংলায় | আরবি ১২ মাসের নাম ইংরেজিতে |
ٱلْمُحَرَّم | মহরম | Muḥarram |
صَفَر | সফর | Ṣafar |
رَبِيع ٱلْأَوَّل | রবিউল আউয়াল | Robiul Awal |
رَبِيع ٱلْآخِر | রবিউস সানি | Rabius Sani |
جُمَادَىٰ ٱلْأُولَىٰ | জমাদিউল আউয়াল | Jamadiul Awal |
جُمَادَىٰ ٱلْآخِرَة | জমাদিউস সানি | Jamadius Sani |
رَجَب | রজব | Rajab |
شَعْبَان | শাবান | Shaban |
رَمَضَان | রমজান | Ramaḍan |
شَوَّال | শাওয়াল | Shawwāl |
ذُو ٱلْقَعْدَة | জিলক্বদ | Jelkad |
ذُو ٱلْحِجَّة | জিলহজ্জ | Jilhaj |
আরবিতে ১২ মাসের নামঃ
- মহরম
- সফল
- রবিউল আউয়াল
- রবিউস সানি
- জমাদিউল আউয়াল
- জমাদিউস সানি
- রজব
- শাবান
- রমজান
- শওয়াল
- জিলক্বদ
- জিলহজ্জ
আমরা আশা করছি, আরবি মাসের নাম । আরবি 12 মাসের নাম বাংলায় (arbi maser nam) পোস্ট থেকে আরবি ১২ টি মাসের নাম কি জানতে পেরেছেন।
নামগুলো উচ্চারণ করে দেখুন এগুলো অত্যান্ত শ্রুতিমধুর। এবং এগুলো উচ্চারণ করলে মনে প্রশান্তি পাওয়া যায়। বিশেষ করে যারা কোরআন শরীফ তেলাওয়াত করতে পারে তাদের উচ্চারণে অসাধারণ সুন্দর লাগে।
অর্থসহ আরবি মাসের নাম
আরবী মাসের নামগুলো যেমন সুন্দর তার অর্থ আরো বেশি সুন্দর। সেখানে আমরা নামগুলো অর্থ সহ বিস্তারিত আলোচনা করব। আশা করব আমাদের প্রয়াস আপনার ভালো লাগবে।
আরবি মাসের নাম জানা কেন প্রয়োজন
আরবি মাসের নাম জানার অনেকগুলো কারণ রয়েছে। এখানে আমরা কতকগুলো প্রধান কারণ তুলো ধরার চেষ্টা করব।
প্রথমত, প্রতিটি মুসলমানের নৈতিক দায়িত্ব আরবি মাসের নাম জানা। সেই সাথে প্রতিটি নামের অর্থ জানা।
দ্বিতীয়তঃ সঠিক সময়ে ইবাদত করার জন্য আরবি ক্যালেন্ডার সম্পর্কে ধারণা থাকা লাগবে। কারণ চন্দ্র মাস বা আরবি মাস হিসেবে প্রতিটি ইবাদত করতে হয়।
যেমন আমরা রোজার কথা বলতে পারি। রমজান মাসের চাঁদ দেখার সাথে সাথেই প্রতিটি মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব রোজা রাখা।
আবার রমজান মাসের পরিসমাপ্তি ঘটে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার মাধ্যমে। অর্থাৎ শাওয়াল মাসের প্রথম তারিখে ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হয়। যেটা মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব।
দুটি ঈদের মধ্যে দ্বিতীয় ঈদ অর্থাৎ ঈদুল আযহা অনুষ্ঠিত হয় জিলহজ্ব মাসের ১০ তারিখে। অথচ অনেক মুসলমান পরিবারের সন্তান জানেনা ঈদুল আযহা কোন মাসে উদযাপিত হয়।
আপনি নিশ্চয়ই চাইবেন না আপনার সন্তানও এমন হোক। সুতরাং আপনার উচিত আপনার সন্তানকে এ নামগুলোর বিষয়ে শিক্ষিত করে তোলা।
কিভাবে আপনার সন্তানকে নামগুলো মুখস্ত করাবেন
প্রতিটি মুসলিম বাবা মা-ই চায় যে তার সন্তানকে আরবি বারো মাসের নাম অর্থ সহ শিখাতে কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই তা বিফল হয়। তো নিজের সন্তানকে কীভাবে আরবি বারো মাসের নাম শিখাবেন তা নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা নিয়ে কিছু লিখা হলো-
প্রথমত, শিশুকে প্রথমেই একগাদা বই কিনে দিয়ে মুখস্ত করতে বলবেননা। বাংলা ভাষা যেভাবে শিখিয়েছেন সেভাবেই শিখান।
দ্বিতীয়ত,
খেলার ছলে শেখান। একদিনে বা একইবারে সব গুলো মুখস্ত করাতে যাবেননা তাহলে একটা মুখস্ত করতে করতেই আরেকটা ভুলে যাবে। ধিরে ধিরে শেখান এবং তাকে পুরস্কৃত করুন।
কারণ শিশুমন পুরস্কার পেতে ভালোবাসে। আপনি যদি ওর এই ছোট্ট সফলতায় ওকে পুরস্কৃত করেন তাহলে সেই বিষয়ে ওর আগ্রহ বাড়বে। এভাবেই একটা শিশুকে আরবি বারো মাসের নাম শিখাতে পারেন।
একটা বিষয়ে খেয়াল রাখবেন প্রথমবার যদি শিশুর ভুল হয় বা মনে করতে পারেনা তাহলে বকাঝকা বা মারধর করবেননা, যদি করেন তাহলে তার সে বিষয়ে আগ্রহ চলে যাবে।