রোজাসিয়া রোগের সহজ চিকিৎসা

খেয়াল করে দেখবেন অনেকের গালেই লাল র্যাশ ও ব্রণর মতো সমস্যা দেখা দেয়। হাজার চিকিৎসা, ত্বক পরিচর্যা করেও রেহাই মেলে না। রোদে বেরোলে সমস্যা আরও বাড়তে থাকে। ত্বকের এই সমস্যার নাম রোজ়েসিয়া। কিন্তু কেন হয় রোজ়েসিয়া? এই সমস্যার সমাধানই বা কী?

 

রোজাসিয়া রোগের লক্ষণ

 

ত্বক লাল হয়ে যাওয়া, লাল ব্রণ, তার মধ্যে পুঁজ হওয়া… এ সবই মূলত রোজ়েশিয়ার লক্ষণ। তবে এই রোগের অনেক ধরন রয়েছে। সেই অনুযায়ী রোগের লক্ষণও বদলাতে থাকে।

 

রোজাসিয়া রোগের কারণ

 

এই রোগটি সাধারণত মুখের উপরে হয় যা মাইটের ফলে হতে পারে। এই রোগ হওয়ার অন্যান্য সাম্ভাব্য কারণগুলি হল:

 

  • রক্ত ধমনীর অস্বাভাবিকতা।

 

ক্যাফিনযুক্ত পানীয় বা গরম পানীয় যেমন কফি বা

 

স্যুপ।

 

ইউভি রে এক্সপোজার।

 

মানসিক চাপ।

 

  • রেড ওয়াইন বা অন্যান্য মদ।

 

অতিরিক্ত গরম।

 

অতিরিক্ত পরিশ্রম।

 

ওষুধ।

 

রোজাসিয়া  কিভাবে নির্ণয় এবং চিকিৎসা করা হয়?

 

শারীরিক পরীক্ষা এবং সম্পূর্ণ মেডিকেল ইতিহাস নেওয়ার মাধ্যমে রোজাসিয়ার নির্ণয় করা হয়। রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে লুপাস এরিথেমাটোসাসের মতো একই লক্ষণযুক্ত রোগের থেকে রোজাসিয়াকে আলাদা করে চিহ্নিত করা হয়। তাই, চিকিৎসকের কাছে গেলে এই রোগের অন্তর্নিহিত কারণ চিহ্নিত করা আরও সহজ হতে পারে।

 

তবে, সাধারণ মানুষ ব্রণ, সেবোরিক ডার্মাটাইটিস এবং পেরিওরাল ডার্মাটাইটিসের উপসর্গগুলির সঙ্গে এই রোগের উপসর্গগুলিকে গুলিয়ে ফেলতে পারে।

 

এই রোগের চিকিৎসাগুলির মধ্যে রয়েছে:

 

অন্তর্নিহিত কারণগুলি এড়িয়ে চলা।

 

নিয়মিত মুখ পরিষ্কার করা।

 

সান্সক্রিন লোশনের ব্যবহার।

 

ফোটোথেরাপি।

 

ডক্সিসাইক্লিন এবং মাইনোসাইক্লিনের মতো অ্যান্টিবায়োটিক।

 

ক্রিম এবং লোশনের মাধ্যমে টপিক্যাল চিকিৎসা।

 

ডায়াথার্মি।

 

  • লেজার চিকিৎসা।

 

আইসোট্রেটিনয়েনের প্রয়োগ।

 

সার্জারি বা অস্ত্রোপচার।

READ MORE:  ধনেপাতার যত ওষুধি গুণ