বাংলা, আরবি এবং ইংরেজি দিন কিভাবে গণনা করা হয়?
বিশ্বে দু ধরনের পঞ্জিকা ব্যবহৃত হয়। চান্দ্র আর সৌর। প্রথম দিকে মূলত চান্দ্র পঞ্জিকাই ব্যবহার শুরু হয়, সৌর পঞ্জিকা আসে আরো অনেক পরে। কিন্তু চান্দ্র পঞ্জিকার সমুদয় সমস্যার কারণে সৌর পঞ্জিকার ব্যবহার বৃদ্ধি পায়। যদিও আরব রা এবং চৈনিকরা এখনো চান্দ্রবর্ষ মেনে চলে।
১) শত শত বছর যাবত সৌর পঞ্জিকার নতুন দিন সূর্য উদয়ের পরই শুরু হত। কিন্তু সারা বিশ্বের মাঝে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতি হলে দেখা যায় যে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে দিনক্ষণ নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়। তাই এর সমাধান হিসেবে খ্রিষ্টীয়( গ্রেগরীয়) পঞ্জিকার দিন রাত ১২ টা থেকে গণনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
২) বাংলা পঞ্জিকাও একটি সৌর পঞ্জিকা। শত বছর যাবত এটির দিনও সূর্যোদয় শুরু থেকে গণনা করা হচ্ছে। কিন্তু ১৪০২ বঙ্গাব্দ থেকে গ্রেগরীয় পঞ্জিকার সাথে মিল রেখে বাংলা পঞ্জিকার দিনও রাত ১২ টা থেকে গণনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বাংলা একাডেমি কতৃক।
৩) চান্দ্র পঞ্জিকার নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে যে চান্দ্র বর্ষের দিন শুরু হয় সন্ধ্যার পর থেকে। অর্থাৎ, সন্ধ্যার পর থেকে নতুন তারিখ বা পরবর্তী দিনের শুরু। তাই ঈদের সময় চাঁদ উঠার পর থেকেই ঈদের সময়সীমা শুরু হয় এবং স্থায়ী হয় পরবর্তী দিন সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত।
ভিন্নতার কারণঃ
পঞ্জিকা ভেদে দিন শুরু সময়ের পার্থক্য থাকাটা বাঞ্চনীয় এবং স্বাভাবিক। সৌর বর্ষের দিন শুরু হবে সূর্য উঠার পরে অর্থাৎ সকাল বেলা। আর চান্দ্র বর্ষের দিন শুরু হবে চান্দ উঠার পর মানে সন্ধ্যা হতে।
আর রাত ১২ টার বিষয়টা এসেছে আধুনিক কালের প্রয়োজনে।